খালেদার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা,
তারেকের হাজিরার
নির্দেশ
ঢাকা :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)
দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল
ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ
ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়
বিএনপির চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়াসহ তিনজনের
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন
আদালত। একই
সঙ্গে মামলাগুলোর
আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক
রহমানকে পরবর্তী ধার্য দিন
আগামী ৪ মার্চ
আদালতে হাজির করার নির্দেশ
দিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির
পর তা প্রত্যাহার
চেয়ে খালেদা জিয়ার
আইনজীবীদের আবেদন খারিজ
করে দিয়েছেন আদালত। এ সময়
তারা আদালতকে বলেন,
‘সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন
একটি তারিখ দেওয়া হোক।’
আদালত শুনানি শেষে এ
আবেদনও খারিজ করে দেন।
কোনো আসামি না থাকায়
মামলার বাদী ও প্রথম
সাক্ষী দুদকের উপপরিচালক
হারুন-অর-
রশিদকে আসামিপক্ষের
জেরা বাতিল করে আগামী ৪
মার্চ দ্বিতীয় সাক্ষীর
সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য
করেছেন আদালত।
দুদকের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট
মোশাররফ হোসেন কাজল
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এ মামলার
আসামি তারেক
রহমানকে হাজির করানোর
আবেদন জানান। তিনি বলেন,
‘অসুস্থতাজনিত কারণ
দেখিয়ে চিকিৎসার
কথা বলে জামিন
নিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন
তারেক রহমান। এখন তিনি সুস্থ
আছেন বলে আমরা জেনেছি। তাই
মামলার বিচারিক কার্যক্রম
অব্যাহত রাখার
স্বার্থে তাকে আদালতে হাজির
করানো প্রয়োজন।’
এরপর আসামিপক্ষের
আইনজীবী অ্যাডভোকেট
সানাউল্লাহ
মিয়াকে আগামী ধার্য
তারিখে (৪ মার্চ) অবশ্যই
তারেক রহমানকে হাজির
করানোর আদেশ দেন আদালত।
রাজধানীর বকশীবাজার
এলাকায়
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত
ঢাকার বিশেষ আদালত জজ-৩-এর
বিচারক আবু আহমেদ
জমাদ্দারের আদালত বুধবার
সকালে খালেদা জিয়ার
আইনজীবীর সাক্ষ্য গ্রহণ
মুলতবি রাখার জন্য সময়ের
আবেদন নাকচ
করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
অপর দুজন হলেন কাজী সালিমুল
হক কামাল ও
ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
সময়ের আবেদনে সানাউল্লাহ
মিয়া উল্লেখ করেন, বেগম
খালেদা জিয়া হরতাল-
অবরোধে নিরাপত্তাজনিত
কারণে আদালতে হাজিরা হতে পারেননি।
এ ছাড়া বিচারক
বদলি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট
পিটিশন থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ
মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের
অর্থ আত্মসাতের
অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩
জুলাই রমনা থানায়
মামলা করে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই
কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩
টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
আনা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট
খালেদা জিয়া, তার
ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের
বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়
দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-
মাগুরার প্রাক্তন সাংসদ
কাজী সালিমুল হক কামাল,
ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ,
প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব
কামাল উদ্দিন
সিদ্দিকী এবং প্রয়াত
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের
ভাগনে মমিনুর রহমান।
জিয়া চ্যারিটেবল
ট্রাস্টের
নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫
লাখ ৪৩ হাজার
টাকা লেনদেনের অভিযোগ
এনে খালেদা জিয়াসহ
চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১
সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও
থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-
খালেদা জিয়ার প্রাক্তন
রাজনৈতিক সচিব হারিছ
চৌধুরী, হারিছের
সহকারী একান্ত সচিব ও
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-
নিরাপত্তা ও ট্রাফিক
বিভাগের ভারপ্রাপ্ত
পরিচালক জিয়াউল ইসলাম
মুন্না এবং ঢাকার প্রাক্তন
মেয়র সাদেক হোসেন খোকার
একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম
খান। মামলায় হারিছ
চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।
২০১২ সালের ১৬
জানুয়ারি আসামিদের
বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
দেয় দুদক। গত বছরের ১৯ মার্চ
খালেদা জিয়ার
উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ
গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ-৩-এর
বিচারক বাসুদেব রায়।
Home »
খালেদার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
,
তারেকের হাজিরার
নির্দেশ
» খালেদার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা,
তারেকের হাজিরার
নির্দেশ
খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, তারেকের হাজিরার নির্দেশ
Written By Unknown on বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ২:২২ AM
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন