Home » » জেনে নিই, দীর্ঘ জীবন পাওয়ার রহস্য !

জেনে নিই, দীর্ঘ জীবন পাওয়ার রহস্য !

Written By Unknown on সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ২:১৮ AM

জেনে নিই, দীর্ঘ জীবন
পাওয়ার রহস্য !
নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘজীবন
কে না চায়? সব মানুষই চায়
দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে।
তবে সেই বেঁচে থাকা কি সুস্থ,
সুন্দর হবে? না অসুস্থ অবস্থায় শুধু
বেঁচে থাকাটাকেই আপনি জীবন
বলবেন? তবে সুশৃঙ্খল
জীবনযাত্রা অবশ্যই একটা বড় কারণ।
সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন বলতে ঠিক
কী বোঝায়? শুধু খাওয়া-দাওয়া,
ব্যায়াম, নাকি দীর্ঘজীবী হওয়ার
রহস্য অন্য কিছু?
বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?
ম্যাজিক শব্দ- ‘অ্যান্টি এইজিং’
এই জাদু শব্দটির
মধ্যে কী লুকিয়ে আছে? জার্মান
বিশেষজ্ঞদের মতে,
দীর্ঘজীবী হতে তিনটি জিনিস
প্রয়োজন৷ শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জন,
হাঁটাচলা, অর্থাৎ সচল
থাকা এবং ভালোবাসা৷ আর এ
তিনটি বিষয়ই রয়েছে মানুষের
নিজের হাতে, যা প্রকৃতিই
তাদের দিয়েছে৷ তাই এই
বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিলেই তারুণ্য
ধরে রাখা সম্ভব।
দীর্ঘজীবী হওয়ার রাজকীয় পন্থা
তারুণ্য
ধরে রাখতে বা দীর্ঘজীবী হতে নিয়মিত
উপোস করা বা রোজা রাখা- এর
মানে কিন্তু না খেয়ে থাকা নয়।
প্রফেসর ডা. ইয়োহানেস হুবার
বলেন, সপ্তাহে দু’দিন রাতের
খাবার বিকেল ৪টায়
এবং আরো দু’দিন সন্ধ্যা ৬টায়
খেতে হবে৷
খালি পেটে বিছানায়
যাওয়া এবং খাওয়ার সময় পেট
ভরে না খাওয়া।
অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়
ডা. হুবার আরো বলেন, রাতে কম
খেলে ক্যানসার, ডায়াবেটিস,
হৃদরোগ এবং স্মৃতিভ্রষ্ট হওয়ার
ঝুঁকি কমে৷ তাছাড়া রাতে দু-চার
দিন পেট খালি থাকলে, অর্থাৎ
কম খেলে রক্তে শর্করার
মাত্রা কমে এবং প্যানক্রিয়াসে ইনসুলিনের
মাত্রা হ্রাস পায়৷
এছাড়া রাতে শরীরের বিভিন্ন
অংশ বিশ্রাম করারও সুযোগ পায়।
মানসিকভাবে সুস্থ
থাকতে মস্তিষ্কের ব্যায়াম
মানসিকভাবে সুস্থ থাকাই তরুণ
মস্তিষ্কের প্রমাণ৷ তাই প্রতিদিন
একটি করে কবিতা মুখস্থ করুন, পড়ুন
আর ৫০ বছরের পর
যে কোনো বাদ্যযন্ত্র
বা বিদেশি ভাষা শেখা শুরু করুন।
এগুলো ব্রেনের স্টেম
সেলগুলো সক্রিয় রাখতে সাহায্য
করে৷ ফলে স্মৃতি শক্তির
ট্রেনিং হয়, যা আলৎসহাইমার
মতো অসুখের ঝুঁকি কমায়।
ভালোবাসা
মানসিক কষ্ট হৃদয় ভেঙে দেয়,
সেকথা কে না জানে৷ সুস্থ শরীর
এবং মনের জন্য
ভালোবাসা অপরিহার্য। তাই
নিজে ভালোবাসুন
এবং অন্যকে ভালোবাসার সুযোগ
দিন। দাম্পত্যজীবন যেন সুখের ও মধুর
হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিন৷
কারণ তারুণ্য ধরে রাখার
ক্ষেত্রে সুস্থ যৌনজীবনের
ভূমিকা অনেক।
খাওয়া-দাওয়া
শরীরের এবং মস্তিষ্কের জন্য
প্রয়োজন সামুদ্রিক মাছ, শাক-
সবজি, ফল, আঁশযুক্ত খাবার, বাদাম,
বিশেষকরে কাঠ বাদাম ও আখরোট৷
পাশাপাশি গ্রিন টি ও যথেষ্ট
পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
আর অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপান
থেকে দূরে থাকা৷ মোট
কথা খাদ্যের পুষ্টিগুণ বা মানই
আসল, খাবারের পরিমাণ নয়।
ব্যায়াম
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা.
বারবারা ফেবার্স লিপমান
মনে করেন, তারুণ্য
ধরে রাখতে হাঁটা-
চলা বা ব্যায়ামের জুড়ি নেই। বয়স
বাড়ার
সাথে সাথে হাড়গুলো ক্ষয়
হতে শুরু করে, কাজেই
ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত
হাঁটা, সাইকেল
চালানো বা হালকা ব্যায়াম
করতে হবে, সপ্তাহে অন্তত
তিনদিন ৪৫ মিনিট করে।
মনকে প্রফুল্ল রাখা
সুশৃঙ্খল জীবন, স্বাস্থ্যকর খাবার,
ব্যায়ামের
পাশাপাশি মনকে প্রফুল্ল
রাখা এবং স্ট্রেস
থেকে দূরে থাকা দরকার। যার
যা ভালো লাগে দিনে কিছুক্ষণের
জন্য হলেও তা করুন। যেমন গান
শোনা, বন্ধুকে ফোনা করা,
গাছের পরিচর্যা বা কম্পিউটার
গেম খেলা৷ এছাড়া শারীরিক ও
মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে যথেষ্ট
ঘুমেরও প্রয়োজন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন