Home » » বাংলাদেশি পাসপোর্টের বৈধতা হারিয়েছে তারেক রহমান

বাংলাদেশি পাসপোর্টের বৈধতা হারিয়েছে তারেক রহমান

Written By Unknown on শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫ | ৯:০৮ PM

বাংলাদেশি পাসপোর্টের
বৈধতা হারিয়েছে তারেক
রহমান
সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়ার ছেলে ও দলের
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
তারেক রহমানের
বাংলাদেশি পাসপোর্টটি বৈধতা হারিয়েছে।
২০১৩ সালেই তাঁর পাসপোর্টের
মেয়াদ শেষ
হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত
করেছে লন্ডন ও ঢাকার একাধিক
সূত্র। তাই যুক্তরাজ্যে তিনি এখন
শরণার্থী স্ট্যাটাসে অবস্থান
করছেন বলে জানা গেছে। আর এই
কারণেই দুই মাস আগে ভাইয়ের
মৃত্যুর খবর শুনেও
মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তিনি।
তারেক ২০০৮ সালের
সেপ্টেম্বরে লন্ডনে যাওয়ার পর
ওই বছরের ডিসেম্বরে তার
পাসপোর্ট সর্বশেষ নবায়ন করেন।
এরপর তিনি পাসপোর্ট নবায়ন
করতে কখনোই লন্ডনে বাংলাদেশ
দূতাবাসে যোগাযোগ
করেননি বলে দূতাবাস
থেকে ঢাকায় পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন
সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক
ব্রিটিশ পাসপোর্টও পাননি।
“সম্ভবত তিনি ব্রিটিশ
কোনো ডকুমেন্ট
নিয়ে সেখানে রয়েছেন। আর ওই
ডকুমেন্টে তাকে শরণার্থী মর্যাদা দেওয়া হয়েছে,
আর তা নিয়ে তিনি অন্য
দেশে যেতে পারবেন না,”
বলছে ওই সূত্র।
ধারণা করা হচ্ছে, মালয়েশিয়ায়
গত ২৪ জানুয়ারি ছোট ভাই
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর
এই কারণেই তারেক
ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তখন
কুয়ালালামপুরে যেতে পারেননি।
২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলাসহ
ডজন খানেক মামলা মাথায়
নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান
তারেককে ফিরিয়ে আনতে অনেক
দিন ধরেই
তৎপরতা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ
নেতৃত্বাধীন সরকার।
লন্ডনের সূত্র নিশ্চিত করেছে,
বাংলাদেশের বারংবার
আহ্বানে যুক্তরাজ্য সরকারও
তারেকের বিষয়টি গুরুত্বের
সঙ্গে নিয়েছে; যদিও
চিকিৎসাকেই অবস্থানের কারণ
হিসেবে দেখিয়ে আসছেন
তিনি।
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময়
গ্রেপ্তার তারেক
জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার
জন্য লন্ডন পাড়ি দিলেও
সেখানে বিএনপির বিভিন্ন
কর্মসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ
করে আসছিলেন।
মামলায় পলাতক থাকা তারেকের
বিভিন্ন বক্তব্যে বিতর্কের ঝড়
বইলে এক পর্যায়ে বাংলাদেশের
আদালত তার বক্তব্য-
বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
১৯৫৮ সালে গৃহীত শরণার্থী সনদের
ওপর ভিত্তি করে তারেকের
রাজনৈতিক
কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের
কথা যুক্তরাজ্যের
কাছে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ
সরকার।
ওই সনদ
অনুযায়ী শরণার্থী যে দেশে থাকে সেখানে কোনো রাজনৈতিক
তৎপরতায় অংশ নিতে পারে না।
“তারেককে দেশে ফেরত
নিতে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের
পদক্ষেপই নিচ্ছে,”
বলেছে লন্ডনের ওই সূত্র।
লন্ডন হাই কমিশন
থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে,
গত দুই মাসে তারেক তার
চলাফেরা সীমাবদ্ধ রেখেছেন।
কোকোর
গায়েবানা জানাজা ছাড়া আর
কোথাও তাকে দেখা যায়নি।
ওই সূত্র বলেছে, “সম্ভবত আমাদের
চিঠির পর ব্রিটিশ সরকার
তাকে (তারেক) রাজনৈতিক
কর্মসূচিতে অংশ নিতে বারণ
করেছে।”
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
কর্মকর্তারা বলেন,
তারেককে ফেরতের
বিষয়ে দেওয়া চিঠির কী জবাব
দেবে যুক্তরাজ্য, এখন তার
অপেক্ষায় রয়েছে সরকার
এবং তা শিগগিরই
আসবে বলে আশা করছেন তারা।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন