Home » » রংপুরে পুলিশের সাথে কথিত সংঘর্ষে শ্রমিক কল্যাণ নেতা নিহত রংপুর অফিস ১০ মার্চ ২০১৫,মঙ্গলবার, ২৩:৫৯ রংপুর মিঠাপুকুরের বলদিপুকুরে গত রোববার রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশের সাথে কথিত ‘সংঘর্ষে’ বাংলাদেশ

রংপুরে পুলিশের সাথে কথিত সংঘর্ষে শ্রমিক কল্যাণ নেতা নিহত রংপুর অফিস ১০ মার্চ ২০১৫,মঙ্গলবার, ২৩:৫৯ রংপুর মিঠাপুকুরের বলদিপুকুরে গত রোববার রাত সাড়ে ৩টায় পুলিশের সাথে কথিত ‘সংঘর্ষে’ বাংলাদেশ

Written By Unknown on সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫ | ১১:১৫ AM

রংপুরে পুলিশের সাথে কথিত
সংঘর্ষে শ্রমিক কল্যাণ
নেতা নিহত
রংপুর অফিস
১০ মার্চ ২০১৫,মঙ্গলবার, ২৩:৫৯
রংপুর মিঠাপুকুরের বলদিপুকুরে গত
রোববার রাত সাড়ে ৩টায়
পুলিশের সাথে কথিত ‘সংঘর্ষে’
বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামীর
সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ
ফেডারেশনের নেতা নাজমুল
হুদা লাভলু (৩০) নিহত হয়েছেন।
তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ
করে বলেছে, পুলিশ
লাভলুকে ধরে নিয়ে গুলি করে হ
পর সংঘর্ষের নাটক সাজিয়েছে।
অন্য দিকে জামায়াত ও শিবির
নেতৃবৃন্দ এ ঘটনার বিচার
বিভাগীয় তদন্ত ও দোষীদের
বিচার ও জাতিসঙ্ঘসহ
আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ
দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে।
নিহতের বড় দুলাভাই মাসুদ
নয়া দিগন্তকে জানান, গত
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় পীরগঞ্জ
উপজেলার শানেরহাটের
কালানুর শাহপুর গ্রামে আমার
বাড়ি থেকে সাদা পোশাকের
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাজমুল
হুদা লাভলুকে অস্ত্রের
মুখে তুলে নিয়ে যায়।
আমরা তাদের পরিচয়
চাইলে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহি
লোক বলে জানান। গতকাল
দুপুরে পুলিশ আমাদের খবর দেয়
লাভলুর লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
জেলা গোয়েন্দা দফতরের
সিনিয়র উপপরিদর্শক শরীফুল
ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,
‘গত রোববার রাত সাড়ে ৩টার
দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের
বলদীপুকুর এলাকায় এক দল দুর্বৃত্ত
গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করছিল। এ
সময় টহল পুলিশ তাদের
বাধা দিলে তারা পুলিশকে ল্য
করে ককটেল ও
পেট্রলবোমা নিপে করে। পুলিশ
আত্মরার্থে পাল্টা গুলি ছুড়লে স
বাধে।
একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে য
পরে পাশের একটি পুকুর
থেকে শাহ নাজমুল
হুদা লাভলুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল
কলেজ
হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত
ডাক্তার তাকে মৃত্যু
ঘোষণা করেন।
এ সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল ও
পেট্রলবোমায় একজন এসআই আহত হন
বলে দাবি করেছেন শরীফুল।
তিনি জানান, নিহত লাভলু
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের
মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর
ইউনিয়নের ও
ইসলামী ছাত্রশিবিরের
উপজেলার সাবেক
সেক্রেটারি। তিনি উপজেলার
লতিফপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর
গ্রামের নরুন্নবী শাহের ছেলে।
গোয়েন্দা বিভাগের এই জ্যেষ্ঠ
পরিদর্শক আরো জানান, নিহত
লাভলু গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রংপুর-
ঢাকা মহাসড়কের জায়গীর
বাতাসন এলাকায়
বাসে পেট্রলবোমা হামলা মাম
এক নম্বর আসামি।
তবে পুলিশের এই
বক্তব্যকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন
বলেছেন নিহতের পরিবার ও
স্থানীয় জামায়াত-শিবির
নেতারা।
মাসুদ আরো জানান, আমার
শ্যালককে আমার
বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তারা রাতে
ক্রসফায়ারের নাটক
সাজিয়েছে। তিনি বলেন,
আমার শ্যালকের ডান চোখ
বরাবর গুলি করেছে তারা।
গুলি মাথার পেছন দিয়ে বের
হয়েছে।
হাসপাতালে গিয়ে আমরা দেখ
পেছন দিয়ে তাজা রক্ত বের
হচ্ছে। ওরা আমার
ভাইকে বিনা অপরাধে গুলি কর
আমি জড়িতদের বিচার চাই।’
লাভলুর পিতা নুরুন্নবী শাহ
নয়া দিগন্তকে বলেন, রোববার
সন্ধ্যায় পুলিশ আমার
ছেলেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে
নাটক সাজিয়েছে। এই
নির্মমতা মেনে নেয়া যায় না।
এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক
বিচার দাবি করেন তিনি।
জামায়াত ও শিবিরের নিন্দা :
ক্রসফায়ারের নামে মানুষ
হত্যা বন্ধ এবং দোষীদের
শাস্তি দাবি জানিয়ে বিবৃতি
মহানগর জামায়াত আমির
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল,
জেলা আমির মাওলানা এ
টি এম আজম খান, নায়েবে আমির
অধ্যক্ষ আব্দুল গনি, মহানগর
সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহ
মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ ও
জেলা সেক্রেটারি ওবায়দুল্লা
সালাফি, মিঠাপুকুর
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির
মাওলানা এনামুল হক, মহানগর
শিবির সভাপতি আল আমিন
হাসান, সেক্রেটারি হারুনুর
রশিদ,
জেলা সভাপতি শাহী রাজ
আলম,
জেলা সেক্রেটারি নায়েবুজ্জ
নিন্দা জানিয়ে এক যৌথ
বিবৃতিতে তারা দাবি করে বল
শাহ নাজমুল
হুদা লাভলুকে রোববার সন্ধ্যায়
পুলিশ তার বোনের
বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে রাতে
গদবাধা নাটক সাজিয়েছে।
তারা বিবৃতিতে বলেন,
এটা একটা নির্মম হত্যাকাণ্ড।
পুলিশের সাজানো নাটক জনগণ
বিশ্বাস করে না।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও
প্রতিবাদ
জানিয়ে বিবৃতিতে তারা দাব
সরকার
এভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দি
হত্যা করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়
তারা এ ঘটনার বিচার
বিভাগীয় তদন্ত এবং জড়িতদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন
বিবৃতিতে। এ ছাড়াও
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এভাবে মানুষ
হত্যার বিষয়ে জাতিসঙ্ঘসহ
আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ
কামনা করেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন