Home » » আল্লাহ আপনার ভবিষ্যৎ সন্তান কি দিবেন? ২০১৫ মার্চ ০৮ ২৩:০৮:৫৮ ফকির উয়ায়ছী: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন সূরা আম্বিয়ার ২

আল্লাহ আপনার ভবিষ্যৎ সন্তান কি দিবেন? ২০১৫ মার্চ ০৮ ২৩:০৮:৫৮ ফকির উয়ায়ছী: পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন সূরা আম্বিয়ার ২

Written By Unknown on সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫ | ১১:১৮ PM

আল্লাহ আপনার ভবিষ্যৎ
সন্তান কি দিবেন?
২০১৫ মার্চ ০৮ ২৩:০৮:৫৮
ফকির উয়ায়ছী:
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ
বলেছেন সূরা আম্বিয়ার ২১:৭#
“আপনার পূর্বে আমি মানুষই প্রেরণ
করেছি, যাদের
কাছে আমি ওহী পাঠাতাম। অতএব
তোমরা যদি না জান
তবে জ্ঞানীদের
কাছে জিজ্ঞেস কর”।
এই আয়াতটি যে শুধু নবীদের জন্য
প্রযোজ্য তা আল্লাহ বলেন নাই।
এমনকি নির্ধারিত কোন
একটি বিষয়ের উপর ভীত্তি করেও
বলেন নাই। উক্ত আয়াতটি সমস্ত
মানব জাতী প্রত্যেকের জন্য
এবং প্রত্যেক বিষয়ের জন্য
বলেছেন মনে করি কিয়াতম পর্যন্তই
তা প্রযোজ্য।
কিছু কিছু মানুষ বলেন কোরআন
আছে কারও কাছেই যাওয়ার
দরকার নাই। কোরআন হাদিসে সবই
আছে। কিন্তু আল্লাহ যে বলেন
আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার জন্য
উসিলা তালাশ করতে। এই
উসিলা কি জড় কোন বস্তু
হতে পারে? মোটেই
তা পারে না।
জানতে হলে যে জাননে ওয়ালা
কাছে যেতে হবে তার বিকল্প
নাই। চিন্তা করার অনুরোধ
করবো কোন
কাজটা উসিলা ব্যতীত হয়?
আল্লাহর দুনিয়ায় এমন কোন কাজ
নাই সেটার জন্য
উসিলা লাগে না। তাহলে মহান
সৃষ্টিকর্তাকে উসিলা ব্যতীত
পাওয়ার আশা যারা করেন
তারা নেহায়েত অলিক কল্পনার
অধিকারী। আর অলিক
কল্পনা যে সত্য হয়
না সেটা কোরআনে আল্লাহ
নিজেই বলে দিয়েছেন পবিত্র
কোরআনে।
নিম্নে দুটি আয়াত
নিয়ে আলোচনা করবো।
৪২:৪৯# “নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের
রাজত্ব আল্লাহ তা’আল্লারই।
তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন,
যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান
এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান
করেন”।
৪২:৫০# “অথবা তাদেরকে দান
করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই
এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন।
নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল”।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এই
আয়াত নাজিল করেছেন।
এতে যারা কোন রকম সন্দেহ করবেন
তাতে আল্লাহর সাথে মত বিরোধ
করা হবে। তবে আল্লাহ কখন
কাকে কি সন্তান দান করবেন
সেটা তিঁনিই জানেন।
কিছুদিন আগে ওন লাইন
মোটামুটি অনেক পেপারেই
লিখেছেন ডাক্তারি শাস্ত্র
দিয়ে কিভাবে কি করলে ছেলে
হবে কিভাবে কি করলে মেয়ে সন্
হবে। বাস্তবিক আপনার
আশেপাশে খেয়াল করলেই
দেখতে পাবেন অনেক ডাক্তার
সাহেবগনই এই অশান্তিতে ভুগছেন।
নাম না প্রকাশ করেই
বলছি ঢাকা শহরের এক সুনামধন্য
বেশ পরিচিত ডাক্তার আছেন
তিনার ৬ মেয়ে এক ছেলে আমার
জানামতে। তাহলে কন্যা সন্তান
ছেলে সন্তান হওয়ার
অধ্যায়টি বোধহয় আমার পরিচিত
ডাক্তার ভাইটি এড়িয়ে গেছেন
বা পড়তে ভুলে গেছেন।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন
আমি তোমাদের (মানুষকে)
সৃষ্টি করেছি ৮৬:৬# “সে সৃজিত
হয়েছে সবেগে স্খলিত
পানি থেকে”। অর্থাৎ- বীর্য
থেকে। তা আপনারা সকলেই
জানেন। এই কয়েকদিন
আগে দেখলাম পেপার
পত্রিকাতে ভারতের এক পন্ডিত
প্রভু রামদেভ তৈল ব্যবসা শুরু
করেছেন ধর্মভীরু বিশ্বাসীদের
কাছে। এই তেল
দোকানে দোকানে বিক্রি হচ্ছে।
সে তেল
ব্যবহারে নাকি ছেলে সন্তান
হবে! তেল কি বীর্য
বানাবে ছেলে সন্তানের জন্য?
তবে তো ভারতের
হরিয়ানা প্রদেশের জন্য অন্য রকম
তেল বানাতে হবে।
যাতে করে মেয়ে জন্ম হয়।
মিডিয়ার বদলতে জানা যায়
হরিয়ানাতে এখনো মেয়ে খরিদ
করে বাবা ছেলে একই
মেয়ে ভোগ করে। এই সভ্য সমাজেও
এত নোংড়ামী মানুষ
করে হরিয়ানার দিকে নজর
করলে আশ্চর্যই লাগে। এই
ব্যপারে প্রভু দেবের দ্বিতীয় তেল
আবিষ্কারের
চিন্তা করতে হবে অচিরেই।
একটা কথা বিশ্বাস করতেই
হবে যে সন্তান দাতা আল্লাহ
এবং সন্তানের সৃষ্টি হওয়ার মূল
উপাদান বীর্য সেটা আল্লাহ যার
যার মেরুদন্ড থেকে নির্গত করেন
তাই বলেছেন কোরআনে।
এই নির্গত বীর্যের ব্যবহার
বিধি যারা জানেন তাদের
কাছে গেলে জানা যায়
কিভাবে ছেলে সন্তান
পাওয়া যায়;
এমনকি কিভাবে মেয়ে সন্তান
পাওয়া যায়। আল্লাহর অসংখ্য গুন
বাচক নাম
আছে এবং প্রত্যেকটি নামের
আলাদা আলাদা মাহত্য আছে।
সেসব নামগুলির
মধ্যে থেকে আল্লাহকে নিদৃষ্ট
নামে ডেকে নিজেদের মন
বাসনা পূর্ণ করা যায়।
যদি সঠিকটা জেনে আল্লাহর
কাছে আরজি জানানো যায়
আল্লাহ তাতে সন্তুষ্ট হয়ে অবশ্যই মন
বাসনা পূর্ণ করে দিবেন। আল্লাহর
একটি নাম আছে রাজ্জাক
আমরা রিজিকের আশায় এই নাম
জপন করি। একটি নাম
আছে ‘কাহহারু’ অর্থাৎ
মহাশাস্তিদাতা এই
নামে তো কেউ
আল্লাহকে ডাকে না রহমত
বা শান্তি পাবার আশায়। এ
কথাটাই
বুঝাতে চাচ্ছি যে আল্লাহকে সন্তু
করার জন্য সঠিক
নামে ডাকতে হবে। আর এই ডাক
অনেক পির ফকিরগন জানেন
তাতে ফলও লাভ হয় আল্লাহ দেনও
ফকিরদের উসিলায়। তাতে ফকির
বা পির সাহেবদের কোন কৃতিত্ত
নাই। শুধু মাত্র
সে ডাকটি ডাকতে শিখানোর
উসিলা মাত্র। কাজেই আল্লাহর
উপর বিশ্বাস রেখে আল্লাহর
কাছে কারো উসিলা দিয়েই
চেয়ে নিয়ে মন বাসনা পূর্ণ
করা যাবে। আর আল্লাহও
কোরআনে বলেছেন
তুমি যে ব্যপারে জাননা;
যে জানে তার কাছে যাও। এই
কথায় নির্ধারিত কোন
একটা বিষয়ের ব্যপারে আল্লাহ
বলেন নাই বলেই আমার বিশ্বাস।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন