২ মাস পর সালাহউদ্দিন
আহমদের খোঁজ মেলায়
পেকুয়ায় আনন্দ মিছিল ও
মিষ্টি বিতরণ
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব
সাবেক সফল যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
পেকুয়া উপজেলার প্রতিষ্টাতা শত শত
উন্নয়নের রূপকার সালাহউদ্দিন আহমদ
নিখোঁজের ৬২ দিন পর খোঁজ পাওয়ার
সংবাদ প্রথমে ফেইসবুক ও পরে
টেলিভিশনের পর্দায় ভেসে উঠলে
পেকুয়ায় বি এন পি ও অঙ্গ সংগঠনের
নেতাকর্মীসহ সাধারণ লোকজন আনন্দ
মিছিল বের করে। বিভিন্ন জায়গায়
মিষ্টি বিতরণ ও করা হয়। বি এন পির এ
নেতা নিখোঁজ হওয়ার পর পরই পেকুয়া
উপজেলা বি এন পির শীর্ষ পদস্থ এক
নেতা মামলায় আসামী হয়ে গেলে
অপর এক শীর্ষ নেতা নিজেই
আত্মগোপনে ছিলেন অনেকদিন।
এছাড়াও ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের
অধিকাংশ নেতাকর্মীরা
আত্মগোপনে ছিল। উপজেলা পর্যায়ের
শীর্ষ এক নেতাসহ আত্মগোপনে থাকা
সে সব নেতারা এখন সালাহউদ্দিন
আহমদের খোঁজ মেলার সংবাদ পেয়ে
আনন্দ মিছিলে যোগদেন। যখন বি এন
পির মূখপাত্র ও যুগ্ম আহবায়ক
সালাহউদ্দিন আহমদ যখন নিখোঁজ হয়ে
যায় তখন ওনাকে নিখোঁজ করার
প্রতিবাদে আন্দোলন সংগ্রামে এসব
নেতারা কোথায় ছিল। আনন্দের
দিনের এসব নেতারা সালাহউদ্দিনের
শুভকাঙ্গি হতে পারে না। কিন্তু অনেক
নেতারাই এখন পলাতক এবং অনেকই
জেলেবন্দী আছেন। কিন্তু এসব
নেতাদের কোন মামলা ছিল না
তারপরও নিজেরাই আত্মগোপনে গিয়ে
আ’লীগ নেতাদের সাথে আতাত করে
পেকুয়ার আন্দোলন কে ধমিয়ে
রেখেছিল। সরকারের পুলিশ ও
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘ দুই মাস
ধরে বি এন পির এ নেতার হদিস দিতে
না পারলেও গত ১২ মে সকাল ১০ টায়
হঠাৎ বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশ
ভারতের মেঘালয় সেলং মিনহান্স
হাসপাতাল থেকে বি এন পি নেতা
সালাহউদ্দিন আহমদ এর স্ত্রী চকরিয়া
পেকুয়া আসনের সাবেক এমপি
এডভোকেট হাসিনা আহমদের
মোবাইলে কল করে তিনি জীবিত
আছেন এবং তোমাদের ও সকলের
দোয়ায় সুস্থ আছেন বলে জানান বি এন
পির এ নেতার স্ত্রী। বর্তমানে তিনি
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন
বলেও জানান। দীঘ দিন ধরে তিনি কি
জীবিত আছেন নাকি গুম হয়েছেন এর
সঠিক জবাব দিতে পারেনি দলীয়
নেতাকর্মী বা তার পরিবার।
পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীও।
জীবিত থাকার সংবাদ পাওয়ার পরপরই
বি এন পির নেতাকর্মীদের মাঝে
সালাহউদ্দিন আহমদ ফিরে আশার
অপেক্ষায় আছেন। তিনি কখন দেশে
ফিরে আসবেন এবং নিজ জন্মভুমি
পেকুয়ায় কখন আসবেন এখন সাধারণ
লোকজন থেকে শুরু করে বি এন পি
পরিবারের নেতাকর্মীরা প্রতিক্ষার
প্রহর গুনা শুরু করছে। এছাড়াও কাউকে
কাউকে মসজিদে শুকরিয়ার নামাজ
আদায় করতে দেখা যায়। এদিকে তার
স্ত্রী হাসিনা আহমদ দুপুর দেড়টার
দিকে বি.এন.পির চেয়ারপার্সন বেগম
জিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাত শেষে
মিডিয়াকর্মীদের আনুষ্ঠানিকভাবে
জানান দীর্ঘ দুমাস দুদিন ধরে
নিঁেখাজ স্বামীর সন্ধান পেলেন।
এদিকে সালাহউদ্দিন আহমদের গ্রামে
বাড়ী পেকুয়ায় নেতাকর্মীরা
উল্লাসে মেতে ওঠে সাধারণ
মানুষকে মিষ্ঠি বিতরণ করে আনন্দ
মিছিল বের করে। পেকুয়া চৌমুহনী
থেকে বাজার এলাকায় গিয়ে শেষ
হয়ে দলীয় কার্যালয়ে আবারো সবাই
মিলিত হয়ে মিষ্টি মুখে মাতিয়ে
ওঠে। একপর্যায়ে শত শত লোকজন এসে
দলীয় কার্যালয়ে ভীড় জমালে জড়ো
হাওয়া লোকজনের উদ্দ্যেশে বক্তব্য
রাখেন, পেকুয়া উপজেলা বি.এন.পির
সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন,
উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও পেকুয়া
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
শাফায়েত আজিজ রাজু, যুবদলের
সাধারণ সম্পাদক ও টইটং ইউপি
চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন, ইসমাইল
হোসেন সিরাজী, বি.এন.পি নেতা
মঞ্জুর আলম, মোনাফ, মৎসজিবীদলের
সভাপতি হারুনুর রশিদ, বারবাকিয়া
বি.এন.পির সভাপতি ইউনুচ এম.ইউপি,
মোস্তাক আহমদ এম.ইউপি, আবদুসবুর
এম.ইউপি, নুরুল আবছার মানিক এম.ইউপি,
নুরুল আজিম, শ্রমিকদলের মনসুর, হাবিবুল
করিম, ফরহাদ উদ্দিন বাহার, আবুতাহের
হেলালী, আবদুল মাবুদ, হামিদ,
মো.মানিক মেম্বার, শেরআলী,
জাকের, ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক
ইয়াছিন আরফাত, আকিক মামুন, সাইদুর
রহমান সুমন, হেলাল, শান্ত, ইলিয়াছ,
তারেক জাফর, মোস্তফা, কামাল,
মঈনউদ্দিন, শাহেদ, ছাবের, শহিদুল,
বেলাল, রাশেদ,আরিফ, বাহাদুর,
আতাউদ্দিন, আমিন উল্লাহ, আবুল
হোছাইন প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন
সালাহউদ্দিন আহমদ এক জন নেতার মত
নেতা তিনি না হলে পেকুয়া নামক
স্থানে উপজেলা সৃষ্টি হত না। সরকার
আমাদের প্রিয় নেতাকে ৬২ দিন ধরে
গোপন করে রাখে। শেষ পর্যন্ত হজম
করতে না পেরে ভারতে পাঠিয়ে
দিয়েছে। অবিলম্বে আমাদের প্রিয়
নেতাকে দেশে ফিরে এনে জনসম্মুখে
হাজির করেন।
দীর্ঘ ৬২ দিন ধরে বুক ভরা আশা নিয়ে
পুরো বি এন পি নেতা
সালাহউদ্দিনকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত
দিতে একের পর এক আন্দোলন করে
যাচ্ছেন কক্সবাজার জেলা বি এন পির
নেতাকর্মীরা। কিন্তু চোখে পড়েনি
তেমন কোন বড় ধরণের আন্দোলন
পেকুয়ায়। নেই কোন মিছিল মিটিং
আছে শুধু সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ফেইসবুকে নেতা সাজিয়ে
সালাহউদ্দিন আহমদের বিভিন্ন সময়ে
তোলা ছবির সাথে নিজের ছবি
লাগিয়ে ফোষ্ট করা। এছাড়া আর কোন
আন্দোলন কিংবা রাজপথে এ পর্যন্ত
কোন নেতা কর্মীদের কে
সালাহউদ্দিনকে ফেরতের জন্য
আন্দোলন করেনি। সূত্রে জানায় গত ৬
জানুয়ারী থেকে বি এন পির
নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেত্রী বি
এন পির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারী
সারাদেশে অনিদিষ্টকালের জন্য
অবরোধ কর্মসূচী আহবান করেন। বি এন
পির যুগ্ম মহাসচিব ও দপ্তর সম্পাদক
এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে
গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করার পর
বি এন পির অপর যুগ্ম মহাসচিব
কক্সবাজার জেলার অবিসংবাদিত
নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বি এন পির
দুর্দিনে হাল ধরেন। তিনি দলের
মূখপাত্র হিসেবে দায়িত্বপান। বি এন
পির এ মূখপাত্র সালাহউদ্দিন আহমদ
দায়িত্ব নেওয়ার পর অজ্ঞাত স্থান
থেকে ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচী
ঘোষণা ও বিবৃতি দিয়ে আসছিলেন। ১০
মার্চ রাত ১০ টায় উত্তরা একটি ৩ নং
সেক্টরস্থ ১৩ বি রোড়ের ৪৯/বি বাড়ির
২য় তলা থেকে সালাহউদ্দিন আহমদ
নিখোঁজ হয়ে যায়। সরকারের সাদা
পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহির্নী
তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে
বলে নিখোঁজ বি এন পি নেতার
পরিবারের পক্ষ থেকে বি এন পি
নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী
সাবেক এম পি এডভোকেট হাসিনা
আহমদ দাবী করে আসছেন। তিনি
অভিযোগ করেন সরকারের আইনশৃঙ্খলা
বাহির্নীরা তার স্বামীকে নিখোঁজ
করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে
নিখোঁজ বি এন পি নেতা
সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী সাবেক এম
পি এডভোকেট হাসিনা আহমদ ওই দিন
রাতেই রাজধানীর গুলশান, বনানী. ও
উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরী
করতে যান। পুলিশ তার সাধারণ
ডায়েরী গ্রহণ করেননি। সাধারণ
ডায়েরী গ্রহণ না করায় তার স্ত্রী ১২
মার্চ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন
দায়ের করেন। হাইকোর্টের বিজ্ঞ
বিচারক সালাহউদ্দিনকে আদালতে
হাজির করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে
নিদেশ দেন। আদালতের ওই আদেশ
মেনে পুলিশ সদর দফতর, ঢাকা মহানগর
পুলিশ(ডি এমপি). সি আই ডি ও বিশেষ
শাখার (এসবি) কেউ সালাহউদ্দিনকে
গ্রেফতার বা আটক করেনি বলে
প্রতিবেদন দিয়েছেন। সালাহউদ্দিন
আহমদের নিখোজের বিষয়টি বিদেশে
জানাজানি হলে চাপ সৃষ্টি হয়ে
সরকারের প্রতি। এদিকে সালাহউদ্দিন
আহমদকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে
গত ২ মাস ধরে আন্দোলন সংগ্রাম
চালিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
পুরো কক্সবাজার জেলায় চালিয়ে
যাচ্ছেন মানববন্ধন, মিছিল মিটিং,
সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল এবং
পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে।
আন্দোলন সংগ্রামে নেই কিন্তু
লোকদেখানোর জন্য আবার অনেকই
তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত করে
পোষ্টার লাগিয়ে এবং বিশাল
ব্যানার টাঙ্গিয়ে তার পরিবারের
প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
বি এন পির নিখোঁজ এ নেতার জন্মভূমি
পেকুয়ায় হলেও পেকুয়া উপজেলা বি
এন পি ও অঙ্গসংগঠনের তেমন কোন
আন্দোলন চোখে পড়ার মত হয়নি।
লোকদেখানের মত করে উপজেলা
গেইটে মানববন্ধনসহ মহিলাদল ও
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দোয়ামাহফিল
হয়েছে। এমনকি মহিলাদলের পক্ষ
থেকে কাফনের কাপড় পড়ে একটি
ঝড়িকা মিছিল হলেও আর কোন
আন্দোলন হয়নি। ২ মাস পূর্ণ হয়ে গেছে
বি এন পির এ নেতার যখন আটকের খবর
পেকুয়ায় পৌছনে তখনই একটু আন্দোলন
হলেও এবং বেশ কয়েকটি গাড়ী
ভাংচুর ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি
জাহাঙ্গীরের ড্রাম্পার গাড়িটি
পুড়িয়ে দেওয়ায় পুলিশের বিশেষ
ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় উপজেলা
বি এন পির সভাপতি ও সদর ইউপির
চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ প্রধান
আসামী করা হয়। এবং অপর মামলায়
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মুকুটকে
প্রধান আসামী করে ২টি মামলা করে।
এর পর থেকে আর কোন আন্দোলন হয়নি।
এর পর থেকে পেকুয়া উপজেলা বি এন
পি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা
গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছাড়া হয়ে
যায়। মামলায় আসামী হিসাবে সদর
ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও পশ্চিম
জোন বি এন পির সভাপতি
শাহনেওয়াজ আজাদ এবং ছাত্রদল
নেতা নাছিরসহ বেশ কয়েকজন আটক
করে জেলে পাঠায়। অতচ বি এন পি
ক্ষমতায় থাকায় অবস্থায় অনেক
সুবিধাভোগী নেতা সালাহউদ্দিনকে
ঘিরে অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন।
বাড়ি গাড়ীর মালিকও হয়েছেন। যেসব
নেতা জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতাও
ছিলো না এমন নেতাও জনপ্রতিনিধি
নির্বাচিত হয়েছেন। মূলত এসব বি এন
পি নেতারা তাদের ব্যবসা বাণিজ্য
নিয়ে সার্বক্ষনিক ব্যস্থ রয়েছেন। এই
সুবিধাভোগী নেতারা এখন গাঁ
বাঁিচয়ে রাজনীতি করছেন এমন
অভিযোগ খোদ তাদের দলের
নেতাকর্মীদের।
Home »
২ মাস পর সালাহউদ্দিন
আহমদের খোঁজ মেলায়
পেকুয়ায় আনন্দ মিছিল ও
মিষ্টি বিতরণ
» ২ মাস পর সালাহউদ্দিন
আহমদের খোঁজ মেলায়
পেকুয়ায় আনন্দ মিছিল ও
মিষ্টি বিতরণ
২ মাস পর সালাহউদ্দিন আহমদের খোঁজ মেলায় পেকুয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
Written By Unknown on বুধবার, ১৩ মে, ২০১৫ | ৫:১৮ AM
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন