Home » » টুকটুকি কেড়ে নিল প্রান

টুকটুকি কেড়ে নিল প্রান

Written By Unknown on বুধবার, ২০ মে, ২০১৫ | ৯:০৬ PM

ঘাতক টুকটুকি কেড়ে নিল
রাউজানের স্কুল শিক্ষার্থী
ঋতুর প্রাণ
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
দুই দিন মৃত‚্যর সাথে পাঞ্জা লড়ে না
ফেরার দেশে চলে গেছেন
চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া
উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী স্কুল ছাত্রী
ঋতু দে (১২)। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর
অকালে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে
নিতে পারছেন না তার স্কুলের
শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সহপাঠিরা। ২০
মে বুধবার সকালে ঋতু’র মৃত্যুর খবর
ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-
অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষোভে
ফেটে পড়েন। এদিন নোয়াপাড়া উচ্চ
বিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত তাৎক্ষনিক
শোক সভা ও বিক্ষোভ সমাবেশ অুনষ্ঠিত
হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে
সকল প্রাণঘাতী ফিটনেন্স বিহীন
যানবাহন টিকটিকিু (অটোটেম্পু) চলাচল
বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
বুধবার দুুপুরে ঋতুর লাশ বাড়ীতে আনা
হলে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা
সকলে ছুটে যান ঋতুর বাড়ীতে। এসময়
কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়
শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। উল্লেখ্য গত ১৮
মে সোমবার বিকেল ৪টায় রাউজান
কাপ্তাই সড়কের মাইজ্জামিয়া
ব্রিকফিল্ড এলাকায় টুকটুকি
(অট্যোাম্পু) ও সিএনজি অটোক্সিার
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় নোয়াপাড়া
পথেরহাটস্থ রীতু ফার্মেসীর মালিক ও
নোয়াপাড়া রাজাপাড়া এলাকার
বাসিন্দা প্রদীপ দে (৩৮), তার স্ত্রী
বিউটি দে (৩০), মেয়ে নোয়াপাড়া
উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী
ঋতু দে (১২) এবং ছেলে দীপ দে (৫)। এর
মধ্যে ঋতু দে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর
আহত হয়ে নগরীর একটি হাসপাতালে
গত ২দিন চিকিৎসাধীন ছিল। অবস্থার
অবনতি হলে গত মঙ্গলবার রাত দুই টায়
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে
ঢলে পড়েন ঋতু।
ঋতুর ক্লাস শিক্ষক এম.এ ফয়েজ বলেন, সে
খুব মেধাবী আর স্কুলে নিয়মিত ছিল।
পড়াও আদায় করতো নিয়মিত তাই সকল
শিক্ষকের প্রিয় ছাত্রী ছিল ঋতু। আমরা
তার অকালে চলে যাওয়ায় গভীর
শোকাহত।
ঋতুর স্কুলের এক শিক্ষার্থী সৌরভ
উদ্দিন বলেন, তার লাশ বাড়ীতে
আনলে আমরা শেষ বারের মত এক নজর
দেখতে ছুটে যায়। তখন আমাদের স্যারসহ
আমরা সবাই কেউই তার চেহেরা
দেখে চোখের জ্বল ধরে রাখতে
পারিনি। আমরা ঘাতক গাড়ি চালকের
কঠোর শাস্তির দাবী জানায়। সরজমিন
দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকে বার
বার মূর্ছা যাচ্ছিল মেয়ে হারিয়ে
পাগল প্রায় ব্যবসায়ী প্রদীপ দে ও মা
বিউটি দে। বাকরুদ্ধ হয়ে আছে কাকা
দীলিপ দে ও ঋতুর ঠাকুর দা। বুধবার দুপুর
দেড়টার দিকে পারিবারিক শ্মশানে
ঋতুর দাহকার্য সম্পন্ন করা হয়। এদিকে
স্কুল শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বুধবার
নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের
বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে ঘাতক
চালককে গ্রেফতার পূর্বক আইনের
আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির
দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন
নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা
পরিষদের সভাপতি জাফর আহমদ, প্রধান
শ্ক্ষিক মো. জানে আলম, শিক্ষক কমলেন্দু
বড়–য়া প্রমূখ। সমাবেশে উপস্থিত ইউপি
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দিদারুল আলম
ফিটনেন্স বিহীন যানবাহন চলাচল
বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দেন এবং
নোয়াপাড়া পুুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ
ঘাতক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে
বলে বিক্ষুব্ধ জনতাকে আশ্বস্ত করেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন