Home » » ‘জ্বীন ও পরীর নির্দেশ’ মানতেই ফরিদপুরে এবার পুরুষে পুরুষে বিয়ে !

‘জ্বীন ও পরীর নির্দেশ’ মানতেই ফরিদপুরে এবার পুরুষে পুরুষে বিয়ে !

Written By Unknown on শুক্রবার, ৭ আগস্ট, ২০১৫ | ১১:১৩ AM

‘জ্বীন ও পরীর নির্দেশ’
মানতেই ফরিদপুরে
এবার পুরুষে পুরুষে
বিয়ে !
ফরিদপুর প্রতিনিধি- মানবতাকে
বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাশ্চাত্যের
অনেক দেশেই এখন পুরুষে পুরুষে
বিয়ে আইনগত স্বীকৃতি পেয়েছে ।
এসব নিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈ-চৈ টাও
কম কিন্তু হচ্ছেনা । তাই বলে এমন
বিয়ে আমাদের দেশে , খোদ
বাংলাদেশে ! এও কি সম্ভব !
হোচট খাবার মতই ব্যাপার বটে ।
আমাদের চিরাপরিচিত এই সভ্য
সমাজেও ছেয়ে বসেছে
হাজারো কুসংস্কার আর অন্ধ
বিশ্বাস। জ্ঞান বিজ্ঞানের চরম
উৎকর্ষের মধ্যেও আমাদের দেশেই
কিছু মানুষ এখনো অন্ধকারের অতল
গহ্বরেই ! ভাবতে অবাক লাগে এই
সমাজে এক পুরুষের সাথে অন্য
পুরুষের আনুষ্ঠানিক বিয়ে ! না
পাঠক পুরুষে পুরুষে এ বিয়ে
সমকামিতার জন্য নয় কিন্তু স্রেফ
অলৌকিক ক্ষমতার পুজারী কিছু
মানুষের মনগড়া ভাবনার ফসল এই
বিয়ে ।
ঘটনার স্থান মাদারীপুরের
কালকিনি উপজেলার দুর্গম চর
এলাকা দক্ষিণ বাঁশগাড়ি গ্রামে
। স্থানীয়দের তথ্য মতে ‘জ্বীন ও
পরীর নির্দেশ’ মোতাবেক এই
অদ্ভুত বিয়ে । জীন পরীদের ইচ্ছে
পুরনেই পুরুষে পুরুষে
আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পাদন
করা হয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও
কুসংস্কারে বিশ্বাস করে এমন
একটি বিয়ে হয়েছে ।
গত বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে
জসিম সাজীর ছেলে জুয়েল
সাজী (২৪)-এর সঙ্গে একই গ্রামের
জব্বার বেপারীর ছেলে নাজমুল
বেপারী (২০)-এর বিয়ে পড়ানো
হয়ে। সমাজ ও ইসলাম বিরোধী এই
বিয়েতে জুয়েল বর ও নাজমুল কনে
ছিল। তবে বিয়ে বাড়ির
সাজসজ্জা ও খাওয়া দাওয়াসহ
সকল আয়োজন থাকলেও ছিলনা
বিয়ে পড়ানোর জন্য কাজি। তাই
শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে পড়ানো
হয়নি বলে জানিয়েছে
গ্রামবাসী।
বিষয়টি জানাজানি হলে
গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে
তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। আর বিষয়টি
নিশ্চিত করতে গ্রামবাসী বর
(পুরুষ)কনের পরিবারকে
জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তারা
ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে জীন
ও পরীর নির্দেশ ছিল বলে এমন
কাজ করেছে বলে দাবী করে।
এব্যাপারে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী
আলি সরদার, লিটন বেপারী, রত্তন
বেপারীসহ ১০/১২জন গ্রামবাসী
সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়, পুরো
বিয়ের ভিডিও রয়েছে এবং তা
মোবাইলে সব জায়গায় ছড়িয়ে
পড়ছে। গ্রামবাসী জিজ্ঞেস
করলে এঘটনার হোতা বর ও কনের
পরিবার জীন ও পরীর নির্দেশে
এমন করা হয়েছে বলে দাবী করে।
বাশগাড়ী ইউনিয়নের
চেয়ারম্যান জাকির হোসেন
ডালি সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান,
বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি।
তবে শুক্রবার ওই ছেলেদের
বাড়িতে যাবো। এর বেশি কিছু
বলতে পারছি না।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন,
ছেলে আর ছেলের বিয়ের খবর
পেয়েছি। আগামীকাল শুক্রবার
সকালেই ওই এলাকায় যাবো। তদন্ত
করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন