ত্রের নাম মোঃ তানভীর (১১)। আজ
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে র্যাব-৫
শহরের আলাইপুর এলাকার আশরাফুল উলুম
কওমী মাদরাসার পেছনের একটি
সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ
উদ্ধার করে।
ওই তিন কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলো বাগাতিপাড়া
উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাবুল
হাসানের ছেলে বায়েজিদ হাসান
(১৪), সিংড়া উপজেলার জোর
মল্লিকা গ্রামের মোক্তার হোসেনের
ছেলে হুমাইদ হোসেন (১৫) এবং ওই
মাদরাসার সাবেক ছাত্র মোঃ নাঈম
(১৫) নাটোর শহরের কালুর মোড় এলাকার
আব্দুর রহিমের ছেলে।
র্যাব-৫ ও স্থানীয়রা জানায়, শহরের
হাফরাস্তা বড়গাছা এলাকার
ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম তুষারের
একমাত্র ছেলে মোঃ তানভীর
আলাইপুর এলাকার আশরাফুল উলুম কওমী
মাদরাসায় পড়ালেখা করতো। গত ২৫
আগস্ট বিকেলে মাদরাসা থেকে বের
হয়ে সহপাঠিদের সাথে খেলতে
গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে মোবাইল
ফোনে তার বাবা সাইফুল ইসলামের
কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
করা হয়। এ ব্যাপারে নিখোঁজ
ছাত্রের বাবা নাটোর থানায় জিডি
করে ও র্যাব-৫-কে জানায়। পরে
মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে র্যাব
বায়েজিদ হাসান, হুমাইদ হোসেন ও
নাঈমকে আটক করে। তাদের দেয়া
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আশরাফুল উলুম
কওমী মাদরাসার পেছনের একটি
সেপটিক ট্যাংক থেকে তানভীরের
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে
পাঠায়।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট
কর্নেল মাহবুব আলম জানান, আটক তিন
কিশোর বিদেশি টিভি চ্যানেলের
সিরিয়ালে অপহরণ করে মুক্তিপণ
আদায়ের ঘটনা দেখে উৎসাহিত হয়ে
তানভীরকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।
আটকের পর তারা জানায়, পরিত্যক্ত
ঘরে নিয়ে গিয়ে তানভীরকে কাপড়
দিয়ে গলা বেঁধে খুর দিয়ে
গলাকেটে হত্যা করে। হত্যার লাশ
তাদেরই মাদরাসার পেছনের একটি
সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে গুম করে।
পরে নতুন সিম কিনে একটি দিয়ে
বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলে এবং অপরটি
দিয়ে তানভীরের বাবার কাছে পাঁচ
লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। এক
পর্যায়ে মোবাইল ট্যাকিং এর
মাধ্যমে টানা ২২ ঘণ্টার অভিযান
চালিয়ে র্যাব হত্যাকাণ্ডে জড়িত
তিনজন কিশোরকে আটক এবং লাশ
উদ্ধার করে।
তিন কিশোরের সহপাঠিকে অপহরণ ও
হত্যার ঘটনায় নাটোরে চাঞ্চ্যলের
সৃষ্টি হয়েছে।
Posted 6 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: Lead, অপরাধ, নাটোর, নয়া দিগন্ত,
হত্যা
Tweet 0 Like
1
SEP সহপাঠিকে হত্যা করলো ৩
কিশোর, বিদেশি চ্যানেল
দেখার কুফল by মোঃ শহীদুল হক
সরকার
0 Add a comment
কথিত
'জনসংখ্যা
জিহাদের'
বিরুদ্ধে
রুখে
দাঁড়াতে
না
পারলে
ভারত
দ্রুত
ইসলামী
রাষ্ট্রে
পরিণত
হবে
বলে
মন্তব্য
করেছেন
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নির্বাহী
প্রেসিডেন্ট প্রবীণ তোগাড়িয়া।
ভারতের আদমশুমারি রিপোর্ট উল্লেখ
করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেছে,
জনসংখ্যা জিহাদের ফলে হিন্দু বিলুপ্ত
হতে পারে, এজন্য সারা দেশে দুটি
সন্তান আইন বাস্তবায়ন করা উচিত।
আরএসএস মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ বিশ্ব
হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ
তোগাড়িয়া বলেন, ‘মুসলমান জনসংখ্যা
একতরফা ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে,
অন্যদিকে হিন্দু জনসংখ্যা কমে
যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘হিন্দু জনসংখ্যা
দ্রুত বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে মুসলমানদের জনসংখ্যা
পদ্ধতিগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তোগাড়িয়া বলেন, ‘১৯৫১ সালে হিন্দু
জনসংখ্যার হার ৮৪ শতাংশ থেকে
বর্তমানে ৮০ শতাংশের নিচে চলে
এসেছে। যদিও মুসলমানদের জনসংখ্যা এ
সময়ে ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪
শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।’ তিনি
সারা দেশে ‘অভিন্ন দেওয়ানি
বিধি’ চালু করার পক্ষে সাফাই
দিয়েছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন,
‘এখনই জনসংখ্যা জিহাদের বিরুদ্ধে না
দাঁড়ালে ভারত দ্রুত ইসলামী রাষ্ট্রে
পরিণত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক
চাপের পরওয়া না করে দুই সন্তান আইন
কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত।’
আদমশুমারির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান
একটি সতর্কতা বলেও মন্তব্য করেন
তিনি।
তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘যদি এরকম
পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে
ভারত থেকে হিন্দু ওইভাবে সাফাই
হয়ে যাবে যেরকম আফগানিস্তান এবং
কাশ্মিরে হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাধু
সম্মেলনে এই বিষয়টি তোলা হবে
বলেও জানান তোগাড়িয়া।
গত ২৮ আগস্ট বজরং দলের পক্ষ থেকে
কানপুরে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ানোর
জনজাগরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। শিব
সেনার আগ্রা শাখার পক্ষ থেকে
এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে পাঁচ
সন্তানের জন্ম দেয়া হিন্দু পরিবারকে
দুই লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে।
বিজেপি এমপি যোগী আদিত্যনাথ
সম্প্রতি বলেছেন, ‘মুসলিমদের সংখ্যা
যেভাবে বাড়ছে, তা অত্যন্ত
উদ্বেগজনক। ওদের জনসংখ্যার ওপর
নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয়
সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে
হবে।’
আদিত্যনাথ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
চালু করার পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন।
২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত
আদমশুমারি রিপোর্টে প্রকাশ, সারা
দেশে মোট জনসংখ্যা ১২১.০৯ কোটি।
এরমধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৯৬.৬৩ কোটি।
অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ১৭
কোটি ২২ লাখ।
২০০১ সালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির
হার ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই
বৃদ্ধির হার কমে ২৪.৬০-এ দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা
বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ২০১১
সালে এই বৃদ্ধির হার ১৬.৭৬ শতাংশে
দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে,
মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ
কমেছে। অন্যদিকে, হিন্দু জনসংখ্যা
বৃদ্ধির হার কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।
হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সংখ্যাগত
দিক থেকে বিস্তর ব্যবধান থাকলেও
এবং মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
আগের তুলনায় কমলেও হিন্দুত্ববাদীরা
এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক
পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে বলে
বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র : রেডিও তেহরান
Posted 9 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: Lead, নয়া দিগন্ত, ভারত, সংখ্যালঘু
Tweet 0 Like
1
SEP ‘জনসংখ্যা জিহাদ’ রুখতে না
পারলে ভারত ইসলামী রাষ্ট্রে
পরিণত হবে : তোগাড়িয়া
Notify me
Comment as:
Publish Preview
0 Add a comment
পাকিস্তানের
সঙ্গে
যুদ্ধে
নামলে
এমন
বড়সড়
ক্ষতির
মুখে
পড়তে
হবে,
যা
কয়েক
দশক
মনে
রাখবে
ভারত,
এমনই
হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা মুহম্মদ
আসিফ। ভারত-পাক সীমান্তের কাছে
শিয়ালকোটে কুন্দুনপুর গ্রামে একটি
সংবাদ সম্মেলনে ভারতের উদ্দেশে
কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। তিনি
বলেছেন, পাক-সেনাবাহিনী
যেকোনো মূল্যে তাদের মাতৃভূমি
রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
আসিফের অভিযোগ, ভারত তাদের
দেশে ‘সন্ত্রাসবাদ’কে মদত দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ভারতের আসল চেহারা
প্রকাশ পেয়ে গেছে। তারা চায়,
সীমান্তে সবসময়ই অব্যাহত থাকুক
উত্তেজনা। ভারতের বিরুদ্ধে
সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলি
চালানোর অভিযোগও তুলেছেন
তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভারতের এই
‘কাপুরুষোচিত কাজ’
পাকিস্তানবাসীদের মাতৃভূমির প্রতি
টান আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
পাকিস্তানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
খাওয়াজা মুহম্মদ
আসিফ
তার অভিযোগ,
নিজেদের আভ্যন্তরীণ
ব্যর্থতা ঢাকতে
সীমান্তে উত্তেজনা
ছড়াচ্ছে ভারত। গত
সেপ্টেম্বরে
জেনারেল
অ্যাসেম্বলি-র
মিটিংয়ে
পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী তাদের
দেশের ব্যাপারে
ভারতের হস্তক্ষেপের
অভিযোগ
তুলেছিলেন।
আসিফের দাবি, সেই
অভিযোগ প্রমাণ করার উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ
হাতে রয়েছে পাকিস্তানের।
উল্লেখ্য, গত ২৩ অগাস্ট পাকিস্তান-
ভারত জাতীয় নিরাপত্তা (এনএসএ)
পর্যায়ের বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
Posted 10 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: আন্তর্জাতিক, নয়া দিগন্ত,
পাকিস্তান, ভারত
Tweet 0 Like
1
SEP যুদ্ধ হলে ভারতের ভয়াবহ ক্ষতি
হবে : পাকিস্তানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী
0 Add a comment
১৯৮০
সালে
কেন্দ্রে
ক্ষমতায়
ফিরে
এসে
পাকিস্তানের
পরমাণু
ঘাঁটিগুলির
ওপর
সামরিক
আঘাত
হানতে
চেয়েছিলেন
ভারতের
তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা
গান্ধী। যাতে,
পাকিস্তান পরমাণু
অস্ত্র না তৈরি করতে
সমর্থ হতে পারে।
মার্কিন গোয়েন্দা
সংস্থা সিআইএ-র
প্রকাশিত তথ্য
অনুযায়ী এমনটাই
জানা গিয়েছে।
১৯৮১ সালের ৮
সেপ্টেম্বর তৈরি
হওয়া “ইন্ডিয়াজ
রিঅ্যাকশন টু
নিউক্লিয়ার
ডেভেলপমেন্টস ইন
পাকিস্তান”— শীর্ষক সিআইএ
রিপোর্টে বলা হয়েছে,
পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান
বেচার জন্য অনেকটাই এগিয়ে
গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবছরের
জুন মাসে সিআইএ-র ওয়েবসাইটে
প্রকাশিত হওয়া ১২-পাতার ওই
‘ডিক্লাসিফায়েড’ রিপোর্ট অনুযায়ী,
পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচির
অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন
ইন্দিরা গান্ধী। তিনি জানতে
পেরেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা
থেকে ইসলামাবাদ আর বেশি দূরে
নেই। কারণ, সেই সময়ে পাক প্রশাসন
অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে প্লুটোনিয়াম এবং
এনরিচড (সমৃদ্ধ) ইউরেনিয়াম জোগাড়
করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তাই দেশের
আগাম সুরক্ষা হিসেবে পাকিস্তানে
সামরিক অভিযান করার কথা
ভাবছিলেন ইন্দিরা। সিআইএ
নিজেদের রিপোর্টে লিখেছিল,
আগামী দু-তিন মাসে যদি পরিস্থিতি
না পাল্টায় তাহলে ইন্দিরা হয়ত
পাকিস্তানে আঘাত হানবেন। যদিও,
পাকিস্তানে হামলা করা থেকে
নিজেকে পরে বিরত রাখেন ইন্দিরা
গান্ধী। তার পরিবর্তে ইন্দিরা গান্ধী
নিজের পরমাণু শক্তি বৃদ্ধি লক্ষ্যের
সিদ্ধান্ত নেন। যার প্রেক্ষিতে, ১৯৮১
সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
রাজস্থানে থর মরুভূমিতে ভূগর্ভস্থ
পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়।
মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ৪০-কিলোটন
শক্তির পরমাণু পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে
যায় ভারত। সিআইএ-র রিপোর্টে বলা
হয়েছিল, পাকিস্তান পরমাণু পরীক্ষা
করার এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতও
পরীক্ষা করবে। তবে, পাকিস্তানও তখন
পরীক্ষা না করায়, ভারতও করেনি।
সূত্র : এবিপি আনন্দ
Posted 11 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: আন্তর্জাতিক, নয়া দিগন্ত,
পাকিস্তান, ভারত
Tweet 0 Like
1
SEP পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটিতে
হামলা করতে চেয়েছিলেন
ইন্দিরা গান্ধী
0 Add a comment
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের
জীববিজ্ঞান অনুষদ ভবনের
পাঁচতলার ছাদে বসানো হয়েছে
বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র।
এটি একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত, যার
মাধ্যমে
পাহাড়ধসের পূর্বাভাস দেওয়া যায় l
ছবি: সৌরভ দাশ
পাহাড়ধসের পূর্বাভাস পদ্ধতি
যেভাবে কাজ করে
বাংলাদেশ
ভূতাত্ত্বিক
জরিপ
অধিদপ্তর
ও
নরওয়ের
জিওটেকনিক্যাল
ইনস্টিটিউটের
যৌথ
গবেষণা
পাহাড়ধসের
আগাম
খবর
দেওয়ার
একটি
পদ্ধতি
বের
করেছে
বাংলাদেশ
ভূতাত্ত্বিক
জরিপ
অধিদপ্তর
(জিএসবি)
ও
নরওয়ের
জিওটেকনিক্যাল
ইনস্টিটিউট
(এনজিআই)।
এ পদ্ধতিতে মুঠোফোনে পাওয়া
পূর্বাভাস কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে
পাহাড়ধসে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব
হয়েছে।
সাধারণত, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে
অল্প সময়ের মধ্যে আলগা শিলা ও
মাটির ভেতরে পানি চুইয়ে প্রবেশ
করে। এতে মাটি ও শিলার ভেতর
পানির চাপ বাড়ে। একপর্যায়ে
ভূমিতে ফাটল দেখা দেয় এবং
মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ধস শুরু হয়। মূলত এই
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, তীব্রতা, সময় ও
মাটির ধরনের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ
করে পাহাড়ধসের আগাম খবর দেওয়া হয়।
২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামে
পাহাড়ধসে প্রায় ১২৭ জন মারা যায়। এ
ঘটনার পর পাহাড়ধসে প্রাণহানি
রোধে জিএসবি এ গবেষণার উদ্যোগ
নেয়। ২০১০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে
আগাম সতর্কতার যন্ত্র স্থাপন করা হয়।
২০১২ সালে চীনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড
ল্যান্ডস্লাইড কনফারেন্সে এই পদ্ধতি
সম্পর্কে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করা
হয়। গত বছর জার্মানির বিশ্বখ্যাত
বিজ্ঞান গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা
স্প্রিনজার এ নিবন্ধটি তাদের একটি
সংকলনে প্রকাশ করেছে।
এ প্রকল্পের গবেষক জিএসবির অন্যতম
পরিচালক এবং নগর ও প্রকৌশল ভূতত্ত্ব
বিভাগের প্রধান রেশাদ মো. ইকরাম
আলী প্রথম আলোকে বলেন,
পাহাড়ধসের কারণ প্রধানত ভারী
বৃষ্টিপাত ও পাহাড়গুলোর মাটির ধরন। এ
জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের
অতীতের পাহাড়ধসের সময়কার
বৃষ্টিপাতের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ
করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো দিন
তিন ঘণ্টার মধ্যে ১০০ মিলিমিটার
বৃষ্টি হলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা তৈরি
হয়। একইভাবে ২৪ ঘণ্টায় ২০০
মিলিমিটার কিংবা ৭২ ঘণ্টায় ৩৫০
মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও একই আশঙ্কা
থাকে। এসব তথ্য কম্পিউটারে সংরক্ষণ
করা হয়, যা একটি সার্ভার এবং
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও সংস্থার মোবাইল
ফোন নম্বরগুলোর সঙ্গে যুক্ত। এই
নেটওয়ার্কের আওতাধীন কোনো
এলাকায় ওই পরিমাণ বৃষ্টি হলে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত সংশ্লিষ্ট
মুঠোফোন নম্বরে পৌঁছায়। এর ওপর
ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সম্ভাব্য
বিপর্যয়ের আগেই স্থানীয়
লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে
নিতে পারে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাখা বৃষ্টিপাতের
হিসাবের তথ্য প্রতি ১৫ মিনিট পরপর
অনলাইনে সংরক্ষিত হয়। বৃষ্টিপাতের
হিসাব রাখার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি চালু
রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যাটারির চার্জ
হয় সৌরশক্তির মাধ্যমে।
পাহাড়ধসের পূর্বাভাস পেতে চট্টগ্রাম
মহানগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
কক্সবাজার ও টেকনাফে (মোট চারটি
স্থানে) যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-নরওয়ে প্রাতিষ্ঠানিক
সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় এসব যন্ত্র
স্থাপন করা হয়েছে।
পূর্বাভাস নেটওয়ার্কের এলাকায়
পাহাড়ধসের আশঙ্কার বার্তা নির্দিষ্ট
কয়েকটি মুঠোফোন নম্বরে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুদে বার্তার
(এসএমএস) মাধ্যমে পৌঁছায়। চট্টগ্রাম ও
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কিংবা
তাঁদের প্রতিনিধি; টেকনাফ ও
হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা, স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস,
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, আবহাওয়া
অফিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, রেড
ক্রিসেন্ট, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ
সম্পদ মন্ত্রণালয়, জিএসবি ও
এনজিআইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই
সংকেত পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
নিতে পারেন।
কক্সবাজারে গণপূর্ত বিভাগের
কার্যালয়ে স্থাপিত যন্ত্রটি গত ২৫
জুলাই পাহাড়ধসের আশঙ্কার সংকেত
দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে প্রশাসন ওই
এলাকার পাহাড়ে বসবাসকারী
লোকজনদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকে
প্রচার চালায়। এতে অনেকেই সরে
যান। কিন্তু কিছু লোক সেখানে
থেকে যায়। পরদিন সেখানে একটি
পাহাড়ধসে পাঁচজন প্রাণ হারায়।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো.
আলী হোসেন প্রথম আলোকে বলেন,
তাঁর মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা
আসে। সে অনুযায়ী তিনি সংশ্লিষ্ট
বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে প্রচার
চালান, লোকজনকে সতর্ক করা ও
প্রয়োজনে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা
নেন।
টেকনাফে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)
কার্যালয়ে। সেখান থেকে
পাহাড়ধসের আশঙ্কার একটি সংকেত
এসেছিল গত ২৬ জুলাই। পরদিন সেখানে
পাহাড়ধস হয়। তবে লোকজন আগেই সরে
যাওয়ায় কোনো প্রাণহানি হয়নি।
চট্টগ্রামে দুটি যন্ত্রের একটি বসানো
হয়েছে সিটি করপোরেশন ভবনে।
বাটালি পাহাড়সহ আশপাশের
পাহাড়গুলোতে ধসের আশঙ্কা দেখা
দিলে এই যন্ত্রের মাধ্যম তার পূর্বাভাস
বা সংকেত পাওয়া যাবে। অন্যটি
বসানো হয়েছে চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদ
ভবনের পাঁচতলার ছাদে।
এ বিষয়ে ইকরাম আলী
বলেন, আপাতত
খাগড়াছড়ি, বান্দরবান
ও রাঙামাটি শহরে
তিনটি নেটওয়ার্ক
স্থাপনের পরিকল্পনা
রয়েছে, যা নরওয়ের
আর্থিক সহায়তায় হতে
পারে। এরপর হয়তো
সরকারি অর্থে আরও
নেটওয়ার্ক স্থাপন করা
হবে। একেকটি
নেটওয়ার্ক স্থাপনে ছয়
লাখ টাকার মতো খরচ
হয়।
জানতে চাইলে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের
ডিজাস্টার সায়েন্স
অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
বিভাগের
চেয়ারম্যান, সমন্বিত দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির (সিডিএমপি)
সাবেক পরিচালক অধ্যাপক এ এস এম
মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, এই
পদ্ধতি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা
গেলে পাহাড়ধসে প্রাণহানি
ঠেকানো সম্ভব। অবশ্য কয়েক বছর আগে
অযান্ত্রিকভাবে (ম্যানুয়ালি) এ
পদ্ধতি সিডিএমপির পক্ষ থেকে চালু
করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
তবে পদ্ধতিটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট
এলাকার জনগোষ্ঠীর সচেতনতা
গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন,
পদ্ধতিটি কার্যকর হলেও মানুষ যদি
পাহাড়ে যত্রতত্র বসবাস ও পাহাড়
কাটার মতো কাজ চালিয়ে যায়,
তাহলে প্রাণহানি ঠেকানো কঠিন
হবে। এ জন্য সচেতনতা গড়ে তুলতে
সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ দরকার।
Posted 12 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: অরুণ কর্মকার, প্রথম আলো,
বিজ্ঞান ও গবেষণা, বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি
Tweet 0 Like
1
SEP মুঠোফোনে পাহাড়ধসের
পূর্বাভাস by অরুণ কর্মকার
Notify me
Comment as:
Publish Preview
0 Add a comment
ছাত্রলীগ থেকে ‘আগাছা’ নির্মূল
করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগাছা
নির্মূল করে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল
ইতিহাস সমুন্নত রাখতে হবে। সোমবার
বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়
শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা
সভায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন
খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ
একটি উর্বর দেশ। কিন্তু খাদ্যশস্যের
সঙ্গে সঙ্গে আগাছাও জন্মায়। তাই
ভালো শস্য উৎপাদনের জন্য আগাছা
তুলে ফেলতে হবে।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর এই কথা অনুসরণ
করে সংগঠনের মধ্যে থাকা আগাছা
নির্মূল করার জন্য ছাত্রলীগের
নেতৃত্বের প্রতি জোরালো আহ্বান
জানান। একইসঙ্গে তিনি জনগণের
আস্থা অর্জন করতে ছাত্রলীগের
সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন
রাজনীতিবিদকে জানতে হবে
কীভাবে ত্যাগের মাধ্যমে বাঁচতে হয়।
ত্যাগ ছাড়া একজন রাজনীতিবিদ
জনগণকে কিছুই দিতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদের
জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে জনগণের
আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন।
তোমরা যদি কারও কাছ থেকে
ভালোবাসা পাও তাহলে
তোমাদেরও উচিত তাকে
ভালোবাসা দেওয়া। তুমি কী পেলে
সেটা কোনো বিষয় নয়।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রকাশনা
‘মাতৃভূমি’র মোড়কও উন্মোচন করেন।
আলোচনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ
আশরাফুল ইসলাম, দলের উপদেষ্টা
পরিষদের সদস্য সুলতান শফি এবং ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ‘বঙ্গবন্ধুর
অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র অনুবাদক ফখরুল
আলমও অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব
করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর
রহমান সোহাগ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম
জাকির হোসেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা
সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’র মোড়ক উন্মোচন
করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ আলোচনা
সভার আয়োজন করে। ছবি: ফোকাস
বাংলা
Posted 14 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: ছাত্রলীগ, প্রথম আলো,
প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতি
Tweet 0 Like
1
SEP ছাত্রলীগের ‘আগাছা নির্মূল’
করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
1
0 Add a comment
সরকারি
হাসপাতালে
দিনভর
অনেকেই
আসেন-
বেরোন।
সাধারণত
হাতে
থাকে
অক্সিজেনের
মাস্ক
বা
প্রেসক্রিপশন।
কিন্তু
রবিবার
যে
ঘটনা
প্রত্যক্ষ করল ভারতের পশ্চিমমঙ্গ
বীরভূমের মহম্মদ বাজার ব্লক প্রাথমিক
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তা কার্যত বিরল।
হাতে করে জ্যান্ত হাতে বিষধর সাপ
নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়লেন এক
যুবক। যা দেখে হুলস্থুল পড়ে গেল
হাসপাতালে।
কিন্তু কেন এই যুবক হাতে জ্যান্ত সাপ
নিয়ে হাসপাতালে ঢুকলেন? ঘটনা হল,
ওই যুবককে( নাম স্বপন মাল) বিষধর সাপ
কামড়েছিল। সেই সাপটিকে ধরে
নিয়ে সোজা হাসপাতালে চলে যান
স্বপন মাল। বীরভূমের মহম্মদবাজার
থানার রাজ্যধরপুরে সাপ ধরতে গিয়ে
বিষধর সাপের কামড় খান স্বপন।
সাপটিকে ধরে সোজা তিনি হাজির
হন মহম্মদ বাজার ব্লক প্রাথমিক
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রাথমিক চিকিত্সার
পর তাকে রেফার করা হয় সিউড়ি সদর
হাসপাতালে। সাপে কাটা স্বপন মাল
ও বিষধর সাপ, দুজনকেই দেখতে ভিড়
জমে যায় হাসপাতালে।
শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই মারা যান
তিনি।
Posted 15 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: নয়া দিগন্ত, ভারত
Tweet 0 Like
1
SEP হাতে সাপ নিয়ে হাসপাতালে
যুবক, অবশেষে মৃত
1
0 Add a comment
আওয়ামী লীগের
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য
ও সাবেক
সেনাপ্রধান কে এম
সফিউল্লাহ বলেছেন,
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে তিনি রক্ষা
করতে যেতে
পারেননি। এটা তাঁর
ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা
নিয়েই তিনি বেঁচে
আছেন। সোমবার
বিকেলে
নারায়ণগঞ্জ জেলা
পরিষদ কার্যালয়
প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ৪০
তম শাহাদাত
বার্ষিকী উপলক্ষে
জেলা পরিষদ
আয়োজিত শোক সভায়
প্রধান অতিথির
বক্তব্যে কে এম সফিউল্লাহ এ মন্তব্য
করেন। একইসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু
হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত
তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন করা
যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম
সেলিম বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সময়
তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম
সফিউল্লাহর ভূমিকার তীব্র
সমালোচনা করেন। সফিউল্লাহর সে
সময়ের ভূমিকা নিয়ে গণমাধ্যমেও
আলোচনা-সমালোচনা হয়।
আলোচনা সভায় সফিউল্লাহ বলেন,
‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমি বঙ্গবন্ধুর
সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ
পরেই বঙ্গবন্ধু নিহত হন। বঙ্গবন্ধুকে আমি
রক্ষা করতে যেতে পারিনি—এই
ব্যর্থতা নিয়েই আমি বেঁচে আছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন,
বিগ্রেডিয়ার জামিল বঙ্গবন্ধুকে
বাঁচাতে যেতে পারলে আমি কেন
গেলাম না? আমি সেদিন যদি একা ৩২
নম্বরে যেতাম, তাহলে আমার
পরিণতিও জামিলের মতো হতো। আমি
সেদিন মারা গেলে, যাঁরা আজকে
আমার সমালোচনা করছেন তাঁরা খুশি
হতেন। আমি বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে
যেতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও সুষ্ঠু
তদন্ত হয়নি। এই হত্যার পেছনে কারা
জড়িত তা তদন্তের জন্য একটি কমিশন
করা যেতে পারে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরের
ঘটনাগুলোর বর্ণনা দিয়ে আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কে এম
সফিউল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু
হত্যাকাণ্ডের পর পর খন্দকার মোশতাক ও
জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল খুবই
রহস্যজনক। মেজর ডালিম অস্ত্রের মুখে
আমাকে রেডিও স্টেশনে নিয়ে
গিয়ে মোশতাক সরকারের প্রতি
আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য করেন। ১৫
থেকে ১৮ আগস্ট তিন দিন একই
পোশাকে বঙ্গভবনে আমি প্রায় অবরুদ্ধ
ছিলাম। এই সময় মোশতাকের
কথাবার্তায় মনে হয়েছে সে তিন মাস
আগে থেকেই সামরিক আইন জারির
প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু
মোশতাককে খুবই বিশ্বাস করতেন।
বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুত্ফর রহমান মারা
যান ১৯৭৫ সালের ১৬ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লঞ্চে
টুঙ্গিপাড়া যান পিতার লাশ দাফন
করতে। সেই লঞ্চে পরিবারের সদস্যদের
বাইরে একমাত্র মোশতাকই ছিলেন।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর পিতার লাশ
দাফনের সময় মোশতাকও কবরে নামেন।
লাশ দাফনের সময় মোশতাক কবর থেকে
না উঠে চিত্কার করে লোকজনকে
শুনিয়ে বলতে থাকেন, “আমার বাবা
মরে গেছে। আমার বেঁচে থেকে কী
হবে? আমাকে আমার বাবার সঙ্গে কবর
দিয়ে দাও। ” এভাবে ধূর্ত মোশতাক
বঙ্গবন্ধু পরিবারের আস্থা অর্জন করেন।’
কে এম সফিউল্লাহ আরও বলেন, ৭৫ এর ১৫
আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের সময়
তৎকালীন সেনা গোয়েন্দা বিভাগ
সেনা প্রধানের নিয়ন্ত্রণে নয়,
সরাসরি রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে
পরিচালিত হতো। বঙ্গবন্ধুকে
হত্যাকাণ্ডের খবর জানার পর পর আমি
৪৬ বিগ্রেডকে নির্দেশ দিয়েছিলাম
মুভ করার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। ১৫
আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর আর্মড
এবং আর্টিলারি ব্যাটালিয়নের
নৈশকালীন অনুশীলন ছিল। বঙ্গবন্ধুর
ঘাতকেরা এই নৈশকালীন অনুশীলনের
নাম করে ট্যাঙ্ক নিয়ে ধানমন্ডির পথে
রওনা হয়। ফলে গোয়েন্দারাও কোনো
সন্দেহ করেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক
আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে শোক সভায়
আরও বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস
ফোরামের ঢাকা বিভাগীয় সাধারণ
সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,
সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল ইসলাম
ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজেদ
আলী খোকন প্রমুখ।
Posted 19 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: নারায়ণগঞ্জ, প্রথম আলো,
মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি
Tweet 0 Like
1
SEP ব্যর্থতা নিয়েই বেঁচে আছি:
সফিউল্লাহ
1
0 Add a comment
বিএনপির
চেয়ারপারসন
খালেদা
জিয়া
বলেছেন,
জনগণের
অধিকার
আদায়,
তাদের
দুঃখ-
কষ্ট
লাঘব
এবং
দেশের
স্বাধীনতা
সার্বভৌমত্ব
রক্ষা
ও
বহুদলীয়
গণতন্ত্রের
ধারা
‘পুনঃপ্রতিষ্ঠায়’
বিএনপি
অঙ্গীকারবদ্ধ।
সরকার
তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মৃতপ্রায়
গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে দ্রুত
নির্বাচন আয়োজনের পথ প্রশস্ত করবে
বলে তিনি আশা করেন।
১ সেপ্টেম্বর দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে
খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। কাল
মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে
নিজেদের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
পালন করবে বিএনপি।
দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
হয়েছে, কাল সকাল ১০টায় শেরে
বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা
জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা
জানাবেন খালেদা জিয়া। বিকেল
তিনটায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া
বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, এ
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিএনপি
সব সময় জনগণের রাজনৈতিক দল
হিসেবে সকল জাতীয়-রাজনৈতিক
সংকটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
নানা ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিকূলতা ও
রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও
দেশের গণতন্ত্র যতবার বিপন্ন হয়েছে
বা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত এসেছে-
বিএনপি সব সময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে
স্বৈরশাসন-গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির
চ্যালেঞ্জকে দৃঢ়তার সঙ্গে
মোকাবিলা করেছে এবং গণতন্ত্রকে
পুনরুদ্ধার করেছে। জনগণের আস্থা ও
বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে দেশ ও জনগণের
সেবায় বিএনপি আগামী
দিনগুলোতেও বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা
রাখবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ
করেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দ্রব্যমূল্যের
লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ
মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে
গণহত্যা গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস,
চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও
নির্যাতনের মহোৎসব চলছে। বিচার
বিভাগের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করার
জন্য বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা
জাতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত করার
আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রের সকল
প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার
অধিকারী করার জন্যই এই আইন পাস করা
হয়েছে। এটি পাস হওয়ার ফলে
নিপীড়িত মানুষের আইনি প্রতিকার
পাওয়ার শেষ ভরসাটুকুও বন্ধ হয়ে গেছে।
জনপ্রশাসন আজ্ঞাবহ হওয়ার কারণে
স্থবির হয়ে পড়েছে।
Posted 22 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: প্রথম আলো, বিএনপি
Tweet 0 Like
31
AUG ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা
পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি
অঙ্গীকারবদ্ধ’
1
0 Add a comment
প্রধানমন্ত্রী
শেখ
হাসিনা
ছাত্রদের
আস্থা
ও
বিশ্বাস
অর্জন
এবং
সফল
রাজনীতিবিদ
হওয়ার
জন্য
দেশের
জনগণকে
ভালোবাসতে
বাংলাদেশ
ছাত্রলীগের নেতাদের প্রতি আহ্বান
জানিয়েছেন।
তিনি আগাছা নির্মূল করে সংগঠনের
গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সমুন্নত রাখার
জন্যও ছাত্রলীগের নেতাদের প্রতি
আহবান জানান। তিনি বলেন, একজন
রাজনীতিবিদকে জানতে হবে
কিভাবে ত্যাগের মাধ্যমে বাঁচতে হয়।
ত্যাগ ছাড়া একজন রাজনীতিবিদ
জনগণকে কিছুই দিতে পারেন না।
শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়
শোকদিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনাসভায়
ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদের
জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে জনগণের
আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন।
তোমরা যদি কারো কাছ থেকে
ভালোবাসা পাও তাহলে
তোমাদেরও উচিত তাকে
ভালোবাসা দেয়া। তুমি কি পেলে
সেটা কোনো বিষয় নয়।’
বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা
বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন- খাদ্যশস্য
উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ একটি উর্বর
দেশ। কিন্তু খাদ্যশস্যের সাথে সাথে
আগাছাও জন্মায়। তাই ভালো শস্য
উৎপাদনের জন্য আগাছা তুলে ফেলতে
হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ থেকেও আগাছা নির্মূল
করার জন্য সংগঠনের নেতাদের প্রতি
আহবান জানান।
আলোচনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দলের
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক
সুলতান শফি এবং ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ‘বঙ্গবন্ধুর
অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-এর অনুবাদক
অধ্যাপক ফখরুল আলমও অংশ নেন। এতে
সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীদের
সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। স্বাগত
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ
সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে
জাতিকে বঞ্চনা মুক্ত করতে সবকিছু
করেছেন। তিনি সবসময় বলতেন, বড় কিছু
অর্জনের জন্য বড় ত্যাগ স্বীকার করতে
হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস
উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের
প্রকাশনা ‘মাতৃভূমি’-এর মোড়কও
উন্মোচন করেন।
সূত্র : বাসস
Posted 22 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: Lead, ছাত্রলীগ, নয়া দিগন্ত,
প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতি
Tweet 0 Like
31
AUG ছাত্রলীগ থেকে আগাছা নির্মূল
করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
1
0 Add a comment
বাংলাদেশ
সত্যিকারের
গণতন্ত্রের
দেশ
নয়।
গণতন্ত্র
পালিয়েছে।
ক্ষমতাসীন
আওয়ামী
লীগ,
ইসলামপন্থি
বিএনপি
ও
জামায়াতে
ইসলামীর
মধ্যে
খুব
বেশি
ব্যবধান
নেই।
ভারতের তেহেলকা ম্যাগাজিনে
প্রকাশিত এক নিবন্ধে এসব কথা
লিখেছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত
লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
‘আইডিওক্রেসি ওভারটেকস
ডেমক্রেটিক ডিসেন্ট’ শীর্ষক ওই
নিবন্ধে তিনি আস্তিক-নাস্তিক
নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি
লিখেছেন যারা মুক্ত চিন্তা করেন
অথবা প্রগতিশীল তাদেরকে নাস্তিক
হিসেবে দেখা হয়। আনসিভিলাইজড ও
অশিক্ষিতরা সেখানেই থেমে থাকে
না। তারা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করে
নাস্তিকদের জন্য মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন
পুরস্কার নেই। ৩০ বছর আগে আমি কলম
তুলে নিয়েছিলাম তাদেরকে একত্রিত
করতে ও আলোকিত করতে। এখনও দেখতে
পাই অশিক্ষিতরা তার চেয়েও বেশি
খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আমার কলম
সম্ভবত একটি পুরো জাতিকে শিক্ষিত
করতে পারে না। এরপরেই তিনি
লিখেছেন, অনেক বছর হলো
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
স্বাধীনতার দিকে দেশ কতখানি
এগিয়েছে? এখন তার অবস্থান কোথায়?
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশ
গণতন্ত্রের দেশ নয়। একটি আদর্শ গণতন্ত্রে
কোন ধর্ম থাকে না। কিন্তু
বাংলাদেশে আছে। যতদিন সংবিধান
থেকে রাষ্ট্রধর্ম বাদ দেয়া না হবে
ততদিন নাস্তিক বা অবিশ্বাসী শব্দটি
টিকে থাকবে এবং ততদিন
বাংলাদেশ সত্যিকার গণতন্ত্র অর্জন
করতে পারবে না। দীর্ঘ ওই নিবন্ধে
তিনি লিখেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষ দল
হিসেবে এখনও মানুষ আওয়ামী লীগের
ওপর আস্থা রাখে। এর বিপরীত চিত্র
দেশের ইসলামপন্থি দলগুলোর জন্য।
কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। শোনা
গেছে, আওয়ামী লীগের নেতারা
হেফাজতে ইসলামের আমীর
মাওলানা আহমদ শফির আর্শীবাদ
পেতে নিয়মিত সফর করেন চট্টগ্রাম।
তাই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও
জামায়াতের মধ্যে বড় ধরনের কোন
পার্থক্য নেই। তসলিমা লিখেছেন, যখন
আমি দেশ নিয়ে ভাবি তখন এক রকম
হতাশা বোধ করি। ইসলামিক কট্টরপন্থা
ও সন্ত্রাসের শৃংখলে জাতিকে অবরুদ্ধ
করে ফেলবে রাজনৈতিক দলগুলো।
এক্ষেত্রে জনগণ নীরব দর্শক। যেভাবে
ধর্মীয় পছন্দ-অপছন্দ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে
দৃশ্যত, বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা
পরিবর্তন হয়ে ‘দারুল ইসলাম’ বা
ইসলামের ভূমিতে পরিণত হবে।
Posted 23 hours ago by Kutubi Coxsbazar
Labels: মানবজমিন, রাজনীতি
31
AUG তসলিমা নাসরিনের নিবন্ধ:
বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র
পালিয়েছে
0 Add a comment
জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক
দল-
জাসদকে
নিয়ে
এখন
তুমুল
আলোচনা।
প্রতিদিনই
চলছে
তর্ক-
বিতর্ক।
এরইমধ্যে
জাসদ
নিয়ে
মনীষী
লেখক
আহমদ
ছফা’র
একটি
লেখা
পর্যবেক্ষকদের
নজরে এসেছে। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত
ওই লেখার শিরোনাম ছিল- জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দল: একটি
সেন্টিমেন্টাল মূল্যায়ন।
আহমদ ছফা লিখেছেন, জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দলের যখন সমালোচনা
করি, মনে হয় নিজের শরীরে ছুরি
চালাচ্ছি। এক সময়ে আমি ওই দলটির
প্রেমে পড়েছিলাম। জীবনের
অনেকগুলো বছর আমি ঐ দলের সঙ্গে যুক্ত
থেকেছি। এগুলো আমার জীবনের
অন্ধতা ও মুগ্ধতার বছর। অন্ধ করতে পারা,
মুগ্ধ করতে পারা একটা ক্ষমতা। জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দলের তারুণ্যের
সম্মোহনমন্ত্রে মোহিত হয়ে আমার মতো
অনেকেই এই দলটির পতাকা তলে
সমবেত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের
সমাজ শরীর থেকে ফেটে পড়া অফুরুন্ত
প্রাণশক্তির এই দুর্বার যৌবনতরঙ্গের
কথা যখন চিন্তা করি, একটা অপরূপ
বিস্ময়বোধ আমার মনকে চঞ্চল এবং
উতলা করে তোলে। সেই অপচিত
তারুণ্যের কথা যখন স্মরণে উদিত হয়
একটা সুগভীর বেদনাবোধ আমার সমগ্র
সত্তা আচ্ছন্ন করে ফেলে।
ওই নিবন্ধে আহমদ ছফা আরও লিখেছেন,
একটি রাজনৈতিক দল বা শ্রেণীসমূহের
আশাআকাক্সক্ষা তুলে ধরে ভুল কিংবা
হঠকারী পন্থা গ্রহণ করার কারণে
কিংবা সমাজের সঠিক বিশ্লেষণের
অভাবে যখন একের পর এক উল্টা সিধা
কর্মসূচি গ্রহণ করতে থাকে, সেই ধরনের
পরিস্থিতিতে ওই দল বা দলগুলো
পরাজিত হয়। তাদের পরাজয়ের মধ্য
দিয়ে যে শ্রেণী বা শ্রেণীসমূহ
তাদের ওপর আস্থাস্থাপন করে এবং
সক্রিয়ভাবে সমর্থন যোগায় তাদের
আশাআকাক্সক্ষারও পরাজয় ঘটে।
সমাজের সমর্থনকারী অংশের মধ্যে
নেমে আসে হতাশা এবং অপরিমিত
শূন্যতাবোধ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
এবং সিরাজ সিকদারের পার্টির
ভরাডুবি বাংলাদেশের
রাজনীতিতে প্রথম সামরিক শাসনের
প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের দক্ষিণ দুয়ার খুলে
দিয়েছে। দ্বিতীয়ত মৌলবাদের
উত্থানকে সম্ভাবিত করেছে। জাতীয়
সমাজতান্ত্রিক দল এবং সিরাজ
সিকদারের সর্বহারা পার্টির তরুণরাই
ছিলেন বাংলাদেশের সমাজ
পরিবর্তনের সবচাইতে সম্ভাব্য
প্রতিশ্রুুতিশীল শক্তি। এই দুটি দলের
উদ্ভব স্বাধীনতা পরবর্তীকালে।
জাসদের সিংহভাগ নেতা ও কর্মী
এসেছে আওয়ামী লীগ থেকে।
অন্যদিকে সিরাজ সিকদারের দলটির
জন্ম হয়েছিল এ দেশের কমিউনিস্ট
আন্দোলনের ক্রমপরিবর্তন এবং
ক্রমবিভাজনের মধ্যদিয়ে।
বাংলাদেশের মুুক্তিযুদ্ধ তৎকালীন
বিরাজমান রাজনৈতিক প্রবাহের দুটি
ধারা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল।
জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগের
বিচ্ছিন্ন অংশটির নাম ‘জাসদ’ এবং
চীনপন্থী কমিউনিস্ট রাজনীতির
ছিটকে বেরিয়ে আসা অংশ ‘সর্বহারা
পার্টি’ নাম পরিচিতি লাভ করে।
জাসদ পার্টিটি কিভাবে কোন
পরিস্থিতিতে জন্ম লাভ করেছিল, সে
কথায় আসা যাক। স্বাধীনতা যুদ্ধ
চলাকালীন সময়ে ভারত সরকার
তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে
বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার গঠনের
উদ্যোগ নিলো। তখন শেখ মুজিব
পাকিস্তানের কারাগারে।
তাজউদ্দীনের সরকারকে ভারত সরকার
সাহায্য দিচ্ছিলো বটে। কিন্তু আশ্বস্ত
হতে পারছিলো না। শেখ মুজিব
পাকিস্তানের জেল থেকে ফেরত
আসতে পারবেন কি না এ বিষয়ে ভারত
সরকারের দ্বিধা ছিল। মুজিববিহীন
বাংলাদেশে তাজউদ্দীন টালমাটাল
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন
সে বিষয়েও ভারত সরকার একরকম
নিশ্চিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধ যদি
দীর্ঘস্থায়ী হয়, সেজন্য সেকেন্ড লাইন
অব ডিফেন্স হিসেবে জনাব সিরাজুল
আলম খান এবং মরহুম ফজলুল হক মণির
নেতৃত্বে ‘মুজিব বাহিনী’ গঠন করে
ট্রেনিং দিতে থাকে। মুজিব
বাহিনী গঠন করার ক্ষেত্রে ভারত
সরকার তাজউদ্দীন সরকারের সঙ্গে
কোন পরামর্শ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ
করেনি। এই মুজিব বাহিনীর নেতৃবৃন্দ
বহুবার খোলাখুলিভাবে তাজউদ্দীনের
নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ পর্যন্ত
করেছিলেন। মাঈদুল আহসান রচিত
‘মূলধারা ৭১’ বইটি যারা পাঠ করেছেন,
তাদের কাছে এ বিষয় অজানা নয়।
স্বাধীনতার পর তাজউদ্দীনের সঙ্গে
মুজিব বাহিনীর লোকজন
বাংলাদেশে ফিরে আসেন। সিরাজুল
আলম খান ও শেখ ফজলুল হক মণির মধ্যে
নানা ব্যাপারে মতান্তর ঘটে যায়।
শেখ ফজলুল হক মণি তাজউদ্দীনের
সরকারকে ভারতের মাটিতে
চ্যালেঞ্জ করেছেন, কিন্তু শেখ মুজিব
পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে যখন
দেশের সর্বময় কতৃত্ব গ্রহণ করলেন, শেখ
মণি মামার সরকারকে সমর্থন করাই
বুদ্ধিমানের কাজ মনে করলেন। কথাটা
সহজভাবে বললাম, অতো সহজে কিন্তু
মণি-সিরাজ দ্বন্দ্বটি প্রশমিত হয়নি।
আওয়ামী লীগ মধ্যশ্রেণি নিয়ন্ত্রিত
মাল্টিক্লাস রাজনৈতিক সংগঠন।
আওয়ামী লীগভুক্ত সমস্ত অংশের
রাজনৈতিক আকাক্সক্ষাও এই ভাঙনের
প্রতিক্রিয়ায় নিশ্চিত ভূমিকা পালন
করেছে।
মূলত আওয়ামী লীগেরই লড়াকু অংশটি
স্বাধীনতা- উত্তরকালে জাসদ
হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আরো
একটা সত্যের উল্লেখ না করলে অন্যায়
হবে। জাসদের জন্মের প্রক্রিয়ায়
তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন এই
পার্টিটিকে টাকা কড়ি দিয়ে এবং
আরো নানা সাহায্য সহযোগিতা
করেছিলেন। সেই সময়ে অনেকেই এ
ধারণা পোষন করতেন মুজিব-
তাজউদ্দীনের মধ্যে ভবিষ্যতে যদি
মতান্তর ঘটে সে কথা চিন্তা করে
ভবিষ্যতের আশ্রয় হিসেবে তাজউদ্দীন
নতুন পার্টিটিকে জন্মাতে সাহায্য
করেছেন। পরবর্তীতে তাজউদ্দীন-
মুজিবের অবশ্যই মতান্তর ঘটেছিল। কিন্তু
জাসদে যোগদান করার মতো
পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। আর জাসদের
তরুণ নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের কোন
নেতার নির্দেশ মেনে নিতে প্রস্তুত
ছিলেন না।
জাসদতো প্রতিষ্ঠিত হলো।
বৈজ্ঞাণিক সমাজতন্ত্র কায়েম করার
গালভরা ঘোষণা দেওয়া হলো।
মার্কসবাদ লেনিনবাদ অনুসরণ করে
সমাজ বিপ্লব ঘটিয়ে তোলার
অভিপ্রায় ব্যক্ত করে মাঠে নামলো।
লক্ষ লক্ষ তরুণ আগুনে প্রতঙ্গের মতো
ঝাঁপিয়ে পড়লো। ঝড়ের মতো তাদের
উচ্ছ্বাস আবেগে উচ্চারিত কন্ঠস্বর
দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে
ধবনিত হতে থাকলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত
এসবের পরিণতি কি দাড়ালো।
জাসদের নেতারা সদর্পে মার্কসবাদ
লেনিনবাদ প্রতিষ্ঠা করার কথা বলতে
থাকলেন, স্লোগানে মিছিল রাজপথ
মুখরিত হয়ে উঠলো, দেয়াল অজস্র
চিকায় ভরে গেলো। কিন্তু তারা
স্বভাবে থেকে গেলো আওয়ামী
লীগের অপকৃষ্ট অংশ। জাসদ নেতৃবৃন্দ
কর্মীদের বিশ্বাস করিয়ে
ছেড়েছিলো আওয়ামী লীগের কাছ
থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার তাদের
সঙ্গত অধিকার আছে।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: মতামত, মানবজমিন, রাজনীতি
31
AUG জাসদঃ আহমদ ছফা’র মূল্যায়ন
0 Add a comment
দেশে
রাস্তা
ও
গাছ
কেটে
সহিংসতা
চালিয়ে
প্রশাসনকে
ব্যর্থ
বানানোর
চেষ্টা
আর
কখনো
হতে
দেয়া
হবে
না
বলে
মন্তব্য
করেছেন
পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন)
মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেছেন,
“যত দিন বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বেঁচে থাকবেন, তত দিন এ
দেশে আর কোনো সন্ত্রাস হবে না।”
সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের নছির
আহমদ ভূইয়া মিলনায়তনে জেলা
কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন
অতিরিক্তি আইজিপি।
বিরোধী দলের গত আন্দোলনের সময়
লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত
করে মোখলেছুর রহমান বলেন, “লক্ষ্মীপুর
বাংলাদেশের একটি অংশ,
পাকিস্তানের নয়। এখানে মিনি
পাকিস্তান করতে দেয়া হবে না।
অঙ্কুরে তা শেষ হয়ে গেছে।”
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, “পুলিশের
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও
স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে দমন করা
হবে। তাদের কখনো মাথা উঁচু করতে
দেয়া হবে না।” সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে
দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান
তিনি।
পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর
রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে
আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ
কে এম শাহজাহান কামাল, চট্রগ্রাম
পুলিশের ডিআইজি মো. সফিকুল ইসলাম,
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কংকন
চাকমা, সিভিল সার্জন ডা. গোলাম
ফারুক ভূঁইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট
নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর,
নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লাসহ
বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, থানার
ভারপ্রাপ্ত, জেলা কমিউনিটি
পুলিশিং সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদকসহ কমিউনিটি পুলিশিংয়ের
সদসস্যরা।
এর আগে ঝুমুর সিনেমা হল এলাকা
থেকে সকালে জেলা কমিউনিটি
পুলিশিংয়ের উদ্যোগে শহরে একটি
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান
প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ ছাড়া বিকালে পুলিশ সুপার সম্মেলন
কক্ষে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়
করেন তিনি। পরে নবগঠিত চন্দ্রগঞ্জ
থানার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে
উদ্বোধন করেন।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: নতুন বার্তা, রাজনীতি
31
AUG শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে
সন্ত্রাস হবে না: অতিরিক্ত
আইজিপি
0 Add a comment
বাংলাদেশ
শরণার্থীর
উৎস
দেশ
না
হয়েও
আঞ্চলিকভাবে
উদ্ভূত
শরণার্থী
সমস্যার
মোকাবিলা
করে
আসছে
চার
দশকেরও
অধিক
সময়
ধরে।
প্রতিবেশী
মিয়ানমারের
রাখাইন
প্রদেশ
থেকে
উৎখাত
হওয়া
রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর
বাংলাদেশের আশ্রয় প্রার্থনা আরম্ভ
হয় সত্তরের দশকের শেষ ভাগে।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার
নির্যাতনে প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার
রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু এ সময়
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নব্বইয়ের
দশকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বিপুল
সংখ্যায় রোহিঙ্গাদের প্রবেশ এবং
বাংলাদেশের আশ্রয়দানের ঘটনা
সবার জানা। বাংলাদেশ সরকার সে
সময় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর
মাধ্যমে তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও
চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তার ব্যবস্থা
করে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয়। উল্লেখ্য, ২
লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে ২ লাখ ৩২
হাজার রোহিঙ্গা আন্তর্জাতিক
অভিবাসন সংস্থার মধ্যস্থতায়
মিয়ানমারে ফিরে যায়।
নব্বইয়ের দশকে প্রবেশ করাদের প্রায় ১০
শতাংশের অনির্দিষ্টকালের জন্য
শরণার্থীশিবিরে অবস্থান এবং
পরবর্তী সময়ে নাফ নদী পেরিয়ে প্রায়
দুই লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে
অনুপ্রবেশ এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের
টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজারের
শরণার্থীশিবিরের বাইরে
গ্রামাঞ্চলে বসতি স্থাপন ক্রমাগতই
ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয় জনগণ,
প্রশাসন ও সরকারকে। তৈরি হয়েছে
রোহিঙ্গাবিরোধী জনমত। অভিযোগ
করা হয়ে থাকে যে, স্থানীয়ভাবে
বাংলাদেশিদের শ্রমবাজার নষ্ট করা,
বাংলাদেশি পরিচয়পত্র নিয়ে
ভোটে অংশগ্রহণ, বাংলাদেশি
পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম
অভিবাসন, অপরাধমূলক কাজ যেমন,
ছিনতাই, রাহাজানি, মাদক ও মানব
পাচার এবং আন্তর্জাতিক
সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের
সম্পৃক্ততা রয়েছে। সম্প্রতি
বঙ্গোপসাগর দিয়ে মালয়েশিয়ায়
মানব পাচার ও অভিবাসনের ঘটনায়
রোহিঙ্গা ইস্যুটি আবারও
আলোচনায় আসে। সরকারের পক্ষ
থেকে বলা হয় যে রোহিঙ্গাদের
কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশে
আশ্রয় মিলবে না।
ওপরের তথ্যগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার
উদ্দেশ্য হলো কতগুলো তাত্ত্বিক ও
নীতিনির্ধারণী বিষয় বিশ্লেষণ করা,
যা সার্বিকভাবে বিশ্ব শরণার্থী
সমস্যা এবং বিশেষভাবে রোহিঙ্গা
ইস্যুতে রাষ্ট্রগুলোর দ্বৈত অবস্থানকে
নির্দেশ করে। বাংলাদেশে আগত
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে নীতিনির্ধারণী
মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচিত
বিষয় হলো ‘অবৈধ অর্থনৈতিক
অভিবাসী’ হিসেবে তাদের
অনুপ্রবেশ। এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল রাষ্ট্র
হিসেবে বাংলাদেশের নয়, গৃহযুদ্ধ,
জাতিরাষ্ট্রগত দাঙ্গা, সন্ত্রাসবাদ
ইত্যাদি কারণেই নব্বইয়ের দশকের পর
মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে আগের চেয়ে
অনেক বেশি অনুপাতে। জাতিসংঘের
হিসাবে বর্তমান বিশ্বে শরণার্থীর
সংখ্যা পাঁচ কোটিরও অধিক, যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি।
শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়প্রার্থীদের
অনেকেই অন্য দেশে প্রবেশের জন্য তাই
বেছে নিচ্ছে ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের
ব্যবহৃত পন্থা ও পথ।
কয়েক মাস ধরে বঙ্গোপসাগরে
ট্রলারে ভাসমান অবস্থায় অথবা
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের জঙ্গলে
মৃত ও জীবিত অবস্থায় প্রাপ্ত কয়েক
হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা
জনগণ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা অথবা
ভূমধ্যসাগরের ভাসমান জাহাজে
‘অবৈধ’ অভিবাসীদের নিয়ে
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর
ঠেলাঠেলির নীতি প্রকারান্তরে এ
সত্যটিই তুলে ধরে। ফলে অর্থনৈতিক
মুক্তির লক্ষ্যে অনিয়মিত পন্থায়
যাত্রাকারী ‘শ্রম অভিবাসী’ এবং
যুদ্ধবিগ্রহ, অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা
রাষ্ট্রের শোষণনীতির শিকার
‘শরণার্থী’র মধ্যে ধারণাগত পার্থক্য
অনেক হলেও নীতিনির্ধারণের
ক্ষেত্রে এ ব্যবধান যেন ক্রমে কমিয়ে
আনা হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসন
প্রতিরোধের নামে জোরদার হচ্ছে
শরণার্থীর প্রবেশ ঠেকানো।
শরণার্থী সৃষ্টি হওয়া, তাদের আশ্রয়
এবং ফেরত পাঠানোর পুরো
বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর
অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সম্পর্ক থাকে।
রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু হওয়ার
ইতিহাস খুঁজলে দেখা যায় যে
রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় এই ক্ষুদ্রতর
জাতিগোষ্ঠীটি বৃহত্তর
শাসকগোষ্ঠীর দমন ও বহিষ্কারের
রাজনীতির শিকার। অন্যদিকে,
আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে
বাংলাদেশও পৃথিবীর উন্নত বিশ্বের
অনেক দেশ যেমন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স,
জার্মানি বা অস্ট্রেলিয়ার মতোই
শরণার্থী বা ‘অর্থনৈতিক
অভিবাসী’দের আশ্রয় বা
প্রবেশাধিকার দেওয়ার আগে
অভ্যন্তরীণ সংহতি ও অর্থনৈতিক
চাপের বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি
শঙ্কিত। জনগণের সরকারকে এ
বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হয়, কেননা
রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা বাড়া-
কমার পেছনে সে দলের শরণার্থী বা
অভিবাসন নীতির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ
প্রভাব থাকে। রাজনৈতিক হিসাব–
নিকাশে শরণার্থীদের মানবাধিকার
বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে তাই
সবার আগে বিষয়টি বিরাজনীতিকরণ
করা প্রয়োজন।
শরণার্থী মোকাবিলায় শরণার্থী-
বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনেরও যথেষ্ট
গুরুত্ব আছে। ১৯৫১ সালে দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয়
শরণার্থী মোকাবিলা ও পুনর্বাসনের
উদ্দেশ্যে গৃহীত জাতিসংঘের এ সনদ
১৯৬৭ সালে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত করা
হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য
যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শরণার্থী
তৈরির ইতিহাস থাকলেও দক্ষিণ এশীয়
কোনো দেশ এই সনদ অনুসমর্থন করেনি।
শরণার্থী মোকাবিলার বিষয়টি চলছে
রাষ্ট্রের খেয়ালখুশির ভিত্তিতে।
জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক
হাইকমিশন, যার মূল কাজ শরণার্থী-
বিষয়ক আইনের প্রয়োগ ও শরণার্থীর
মানবাধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত
করা, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ফলে
তাকেও পরিণত হতে হয়েছে ত্রাণ
সরবরাহকারী সংস্থায়। উন্নত বিশ্বের
অনাগ্রহ এবং শরণার্থী ও
অভিবাসীবিরোধী মনোভাব এই
সংস্থাকে বাধ্য করেছে অনুন্নত এবং
অক্ষম দেশগুলোকে ত্রাণ বা
সাহায্যের বিনিময়ে উদ্বাস্তুদের
আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে রাজি করাতে।
অনেক সময় যে সেটাও সম্ভব হয় না, তার
প্রমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী,
যাদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো
ফলপ্রসূ সমাধান অর্জন সম্ভব হয়নি।
শরণার্থী সমস্যার সহজ ও গ্রহণযোগ্য
সমাধানে রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ নিশ্চিত
করার জন্য তৈরি এ আইনের স্বীকৃতি ও
প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।
পরিশেষে, বাংলাদেশের শরণার্থী
সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও
বিশ্বায়নের এ যুগে একে ছোট করে
দেখার অবকাশ নেই। প্রতিবেশী
হিসেবে এবং আঞ্চলিক আর্থ-
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মিয়ানমার
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি
দেশ। তাই, দ্বিপক্ষীয় আলোচনার
মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে
বাংলাদেশের স্বার্থ জড়িত।
দৃঢ়ভিত্তিক নির্যাতনের ভয়ে
আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তিদের চিন্তিত করা
ও আশ্রয়দানের মধ্য দিয়ে ‘শরণার্থী’ ও
‘অর্থনৈতিক অভিবাসী’-সংক্রান্ত
দ্বিধা দূর করে বিষয়টিকে
বিরাজনীতিকরণ করা এবং শরণার্থী
নীতির সপক্ষে জনমত গড়ে তোলা
সম্ভব। জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক
আন্তর্জাতিক সনদ এ ক্ষেত্রে
প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে
পারে। এই দলিল অনুসমর্থনের মাধ্যমে
বাংলাদেশ কেবল মানবাধিকার
সুরক্ষায় দৃষ্টান্ত স্থাপনই নয়,
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব
পুনর্বিবেচনায় মিয়ানমারের ওপর চাপ
সৃষ্টির জন্য আঞ্চলিক সংস্থা ও
আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায় করতে
পারবে।
সৈয়দা রোযানা রশীদ: সহযোগী
অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: আন্তর্জাতিক, আলোচনা, উপ-
সম্পাদকীয়, প্রথম আলো, মতামত,
রোহিঙ্গা
31
AUG রোহিঙ্গা সমস্যা ও আমরা by
সৈয়দা রোযানা রশীদ
0 Add a comment
দুঁদে
মার্কিন
অভিনেত্রী
ইলাইন
স্ট্রিচ
বলতেন,
“আমার
টাকা-
পয়সার
চিন্তা,
নিরাপত্তাহীনতা,
হতাশা
—
সব
শ্যাম্পেনের
বোতলের
কর্ক
খোলার
আওয়াজে
উড়ে
যায়!”
অথচ,
ওই
শ্যাম্পেনের
বোতলের
কর্ক খুলতে গিয়েই চলতি মাসের
গোড়ায় লন্ডন থেকে তুরস্কগামী এক
বিমানকে জরুরি অবতরণ করতে হল
মিলানে। তার সঙ্গে যাত্রীদের
মধ্যেও বিলক্ষণ দেখা গেল
নিরাপত্তাহীনতা, হতাশা— হয়ত বা
আর্থিক দুশ্চিন্তাও!
যাত্রা শুরুর সময় অবশ্য সব কিছু ঠিকঠাকই
ছিল। নির্ধারিত সময়ে লন্ডনের
গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে মসৃণ
উড়ানে যাত্রী নিয়ে চলেছিল ইজি
জেটের বিমানটি। যাওয়ার কথা
তুরস্কের ডালামানে। বিমান আকাশ
ছোঁয়ার পর নিজেদের মধ্যে গল্পগুজবে
মত্ত ছিলেন যাত্রীরা। কেউ আবার মগ্ন
ছিলেন বই বা খবরের কাগজের পাতায়।
কেউ শুনছিলেন গান। বিমানকর্মীরাও
যে যার কাজে ব্যস্ত। এমন সময়ে মাঝ
আকাশে ঘটল বিপত্তি! যাত্রীদের
পিপাসা মেটাতে গিয়ে হতাশার
দিকে নিয়ে গেল ওই শ্যাম্পেনের
বোতলের ছিপি!
যাত্রীদের জন্য শ্যাম্পেনের বোতল
খুলছিলেন এক বিমানকর্মী। হঠাত্ই
বোতলের কর্ক সোজা গিয়ে ধাক্কা
মারল বিমানের সিলিংয়ে। কর্কের
আঘাতে মুহূর্তে চিড় ধরে সেখানে।
যাত্রীদের মুখের সামনে এসে যায়
অক্সিজেন মাস্কগুলো। ঘটনায় হতচকিত
হয়ে পড়েন যাত্রীরা। আর
বিমানচালক? নিরাপত্তার কথা ভেবে
আর দেরি করেননি তিনি।
বিমানটিকে আপত্কালীন ভাবে
নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন। সেই
মতো ইতালির মিলানের মালপেনসায়
নামিয়ে আনা হয় ইজি-জেটের
বিমানটিকে।
ঘটনার দরুন নির্ধারিত সময়ের
ঘণ্টাখানেক পর গন্তব্যে পৌঁছয়
বিমানটি। প্রাথমিক ভাবে চমকে
গেলেও ঘটনার কথা ভেবে পরে মজাই
পেয়েছেন যাত্রীরা। “চেঁচামেচি,
দেরি, ইজি জেটের কয়েক হাজার
পাউন্ড গচ্চা যাওয়া.......সবই সামান্য এক
কর্কের জন্য! ছ্যা ছ্যা”— এমন মন্তব্যও
শোনা যায় এক সুরসিক যাত্রীর মুখে।
ইজি জেটের তরফে অবশ্য জানানো
হয়েছে, চালকের সিদ্ধান্ত
একেবারেই সঠিক। নিরাপত্তার কথা
ভেবেই বিমানটিকে নামিয়ে আনা
হয়েছিল। মিলানে মালপেনসায় যত
ক্ষণ বিমানটি ছিল তত ক্ষণ যাত্রীদের
সুবিধার্থে সমস্ত রকম পরিষেবা
দিতেও কসুর করেনি বিমান কর্তৃপক্ষ।
আর শ্যাম্পেন? সেটাও কি যাত্রীদের
পরিবেশন করা হয়েছিল মালপেনসায়?
সে ব্যাপারে কোনও কথাই জানাতে
চায়নি বিমান কর্তৃপক্ষ।
- আনন্দবাজার
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: আন্তর্জাতিক, মানবজমিন,
যুক্তরাজ্য
31
AUG শ্যাম্পেনের কর্ক নামাল আস্ত
বিমান!
0 Add a comment
বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত
মহাসচিব
মির্জা
ফখরুল
ইসলাম
আলমগীরের
চিকিৎসা
এখনই
শেষ
হচ্ছে
না।
ইতিমধ্যেই
চিহ্নিত
হওয়া
রোগের
জন্য
তাকে
দীর্ঘ
মেয়াদে
চিকিৎসা নিতে হবে। আপাতত
চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে
গেলেও শুরু হওয়া চিকিৎসার
ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তাকে
বারবার এ হাসপাতালেই ফিরে
আসতে হবে। তার শারীরিক পরীক্ষা-
নিরীক্ষা শেষে এমনই অভিমত
দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত
কর্নেল হসপিটালের (নিউ ইয়র্ক
প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যান্ড ওয়াইল
কর্নেল মেডিক্যাল সেন্টার)
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। মির্জা
ফখরুলের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো এমন তথ্য
জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন
কারাগারে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে
পড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি
জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য
প্রথমে যান সিংগাপুরে। কিন্তু
সেখানকার হাসপাতালগুলোতে তার
রোগের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না
হওয়ায় গত ১১ই আগস্ট তিনি সস্ত্রীক
সিংগাপুর থেকে সোজা যুক্তরাষ্ট্রে
চলে আসেন। এরপর গত দুসপ্তাহেরও বেশি
সময় ধরে নিউ ইয়র্কের কর্নেল
হাসপাতালে তার রোগের পরীক্ষা-
নিরীক্ষা চলছে। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি
বাইলেটারল ইনটার্নাল ক্যারোটিড
আর্টারি স্টেনোসিস নামের গুরুতর
রোগে ভুগছেন, যার ফলে তার হৃৎপিণ্ড
থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের দুটি
ধমনিই প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
প্রধানত অত্যধিক মানসিক চাপজনিত
সমস্যা থেকে এমন রোগের উদ্ভব হয়। এ
রোগের জন্য এখানকার চিকিৎসকগণ
প্রথমে অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা
নিয়েছিলেন। কিন্তু তার বর্তমান
শারীরিক অবস্থার কারণে তা করা
সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কর্নেল
হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকরা তাকে দীর্ঘ মেয়াদে
চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
নিউ ইয়র্কে মির্জা আলমগীরের
অবস্থান ও চিকিৎসার সবকিছু
তদারাকি করছেন গত এক বছর ধরে
ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য এখানে
অবস্থান নেয়া বিএনপি নেতা
সাদেক হোসেন খোকা। তিনি
নিয়মিতভাবে মির্জা আলমগীরের
সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়া-আসা
করছেন, তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর
রাখছেন। তবে মির্জা আলমগীর
এখানে সব রকমের রাজনৈতিক
কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে
রাখছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের কেউ
কেউ তার সঙ্গে মাঝে-মধ্যে দেখা-
সাক্ষাৎ করলেও তা স্রেফ শারীরিক
অবস্থার খোঁজ খবর নেয়ার মধ্যেই
সীমাবদ্ধ থাকছে। প্রথম দফা চিকিৎসা
শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন, সে
ব্যাপারে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো
সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানাতে
পারেনি।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: বিএনপি, মানবজমিন
31
AUG দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা নিতে
হবে ফখরুলকে
0 Add a comment
৯/১১-
এর
হামলার
পর,
তালেবান
বাদে
বিশ্বের
সব
সরকারই
আল
কায়েদার
নিন্দা
জানিয়েছিল।
কিন্তু
আপনি
কি
লক্ষ্য
করেছেন?
জর্জ
ডব্লিউ বুশ যখন ইরাকে বিনাশ
চালালেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সার্বিক
তাদের অবস্থানের সার্বিক ধ্বংসযজ্ঞ
শুরু করলেন তখন আল কায়েদার এমনটাই
বিস্তার ঘটতে লাগলো যে,
তাদেরকে তখন আর সন্ত্রাসী স্কোয়াড
বলার চেয়ে প্রকৃতপক্ষে গেরিলা
যোদ্ধা বলাই ভালো। ন্যাটোর মিত্র
তুরস্ক ও তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব সহ
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর কাছ
থেকে তারা হয়তো সমর্থন পেয়েছে
না হয় কৌশলগত উৎসাহ পেয়েছে।
সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারকে
উৎখাতে বদ্ধপরিকর হয়ে একজোট হলো
যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক। কিন্তু সেখানকার
পরিস্থিতি ভীষণ জটিল। সিরিয়ান
আমি ফোর্সেস, কুর্দি যোদ্ধা, আল
কায়েদা সমর্থিত আল নুসরা ও
আইএসআইএল (আইসিল)-এর মধ্যে বর্তমানে
বিভক্ত হয়ে পড়েছে সিরিয়া।
ওয়াশিংটন ও আঙ্কারা উভয়েই
বিভিন্ন কারণে আইসিলকে অপছন্দ
করে। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিলের
মোকাবিলা করতে তারা
আনুষ্ঠানিকভাবে জোট করেছে।
আইসিলকে তাদের মর্যাদার জন্য বড়
ধরনের এক আঘাত হিসেবে দেখে
থাকে যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রমাণ হয় যে,
তাদের ইরাক যুদ্ধের লক্ষ্য পুরোপুরি ব্যর্থ
হয়েছে। ইরাককে মুক্ত করা থেকে
অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
একই সঙ্গে এর পশ্চিমা
প্রতিবেশীদেরকে ফেলে দিয়েছে
ভয়াবহ দুর্ভোগে। এটা ভীষণ এক
বিব্রতকর অবস্থা। ইউটিউবে আইসিলের
যেসব ডকুমেন্টারি দেয়া আছে সে
বিষয়ে তুরস্ক কমই উদ্বিগ্ন বা সচেতন
এবং সম্ভবত তারা আইসিলের প্রতি
পক্ষপাতী সিরিয়ান কুর্দিস্থান
প্রতিষ্ঠার জন্য অথবা আসাদের শাসন
টিকে থাকুক এমনটা চায় তারা। কিন্তু
তাদের যে সুপারপাওয়ার মিত্র
রয়েছে তাদের প্রতি সহযোগিতা
করতে তারা বাধ্য। এমনটা অনুভবও করে।
আইসিল ও আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে
সবচেয়ে কার্যকর মিত্র হিসেবে
সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের মূল্যায়ন
করে থাকে ওয়াশিংটন। এই আসাদ
সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামা ‘বৈধতা হারানো’
হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তুরস্কে
রয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুর্দিস্তান
ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে।
তুরস্কের আশঙ্কা সিরিয়া ও ইরাকের
কুর্দি বাহিনীর মিত্র তার দেশের এই
বিচ্ছিন্নতাবাদী পিকেকে। আল
নুসরার সঙ্গে সঙ্গে তার ঘোর শত্রু
আইসিলকে বিনাশ করে দিতে চায়
ওয়াশিংটন। তুরস্ক হয়তো খুব সঙ্গোপনে
আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে একটি মিত্র
হিসেবে এবং তার দেশের সবচেয়ে
শক্তিশালী সশস্ত্র বিরোধীদের
বিরুদ্ধে আইসিসকে সমর্থন করে থাকতে
পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলোÑ
কুর্দিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আল নুসরা
যোদ্ধারা। অন্যভাবে বলা যায়,
ন্যাটোর দু’মিত্রের মধ্যে কার্যকর
বিভাজন সৃষ্টি করতে পেরেছে আল
কায়েদা। ২০০৩ সালে তুরস্ক সরকার
পরিষ্কার করে বলেছে যে,
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তারা ইরাক
আগ্রাসনের বিরোধী। ওই ইরাকও
সিরিয়ার মতো তুরস্কের সঙ্গে
সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে।
সেখানে বসবাস রয়েছে কুর্দিদের।
যথার্থই আঙ্কারার আতঙ্ক হলো
যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন চালালে ওই অঞ্চল
অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। তাতে
ইরাকে, সিরিয়ায় ও তুরস্কের কুর্দি
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উৎসাহিত হয়ে
উঠবে। তুরস্কের সীমান্ত ব্যবহার করে
মার্কিন বাহিনীকে আগ্রাসন
চালানোর অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট।
এটা ওয়াশিংটনের জন্য আতঙ্কের
বিষয়। এর ফলে যুদ্ধ পরিকল্পনা নতুন করে
সাজাতে বাধ্য হয়েছে পেন্টাগন।
তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের
যুদ্ধপরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে এতে
হয়তো তুরস্কের ভেতরকার কেউ কেউ
মনে মনে সন্তুষ্ট হয়েছেন। সম্প্রতি
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আইসিল
বাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথভাবে বোমা
হামলা চালাতে ও কুর্দিদের টার্গেট
করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি সেফ
জোন বা সুরক্ষিত এলাকা তৈরির কথা
বলেছে তখন তাতে তুরস্ক সম্মতি
দিয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক
সেনা কর্মকর্তা ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন
সম্প্রতি। এটা সম্মতি বা চুক্তির কোন
অংশ ছিল না। তারা এ জন্য প্রতিবাদ
করেছেন। সম্প্রতি জর্ডানে মার্কিন
বাহিনী সিরিয়ার ৫৩ বিদ্রোহীকে
প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদেরকে ফ্রি
সিরিয়ান আর্মির আদলে অগ্রসর
বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার
চেষ্টা ছিল। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ
কথা হলো, সে বিষয়টি আল নুসরার
কাছে বলে দিয়েছে তুরস্ক।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও
আইসিলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে
সিরিয়ার যোদ্ধাদের যোগাড় করতে
বড় রকমের অসমর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জানুয়ারিতে প্রকাশ্যে পেন্টাগন
অনুমিত হিসাব দিয়ে বলেছে, এক
বছরের মধ্যে তারা ফ্রি সিরিয়ান
আর্মির জন্য পাঁচ হাজার সদস্যকে
প্রশিক্ষণ দিতে পারতো। তবে সে জন্য
সদস্য যোগাড় করা কঠিন। শেষ পর্যন্ত
তারা ওই ৫৩ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে
পেরেছে। কেউ কেউ বলতে পারেন
যে, সিরিয়ার এসব যুবক তাদের দেশের
শাসকগোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোঁড়ামির
প্রতি অনীহা দেখাতে পারেন।
তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে
অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে। কারণ,
যুক্তরাষ্ট্র তাদের এ অঞ্চলের জন্য কি
করেছে তা তারা ভাল করে জানে ও
সে জন্য তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণা
পোষণ করতে পারে।
ক্ষুদ্র বাহিনীটিকে এখন আটক করা
হয়েছে। তারা এখন আল নুসরার কাছে
বন্দি। সাধারণভাবে এই আল নুসরা
হয়তো তাদের শিরñেদ করতে পারে।
কিন্তু তুরস্কের অনুরোধে তা করা
থেকে তারা দৃশ্যত বিরত রয়েছে। কি
সুন্দর কথা!
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু
মানসুর হাদি বর্তমানে নির্বাসনে
রয়েছেন। ২০১২ সালে আরব বসন্তের পর
যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দানা বেঁধে
ওঠে তখন যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘদিনের
মিত্র আলী সালেহকে নির্বাচনের
দিকে ঠেলে দিলে সেই নির্বাচনে
প্রেসিডেন্ট হন আবদ রাব্বু। ইয়েমেনে
সেই নির্বাসনে থাকা সরকারকে
সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব।
সৌদি-ইয়েমেন সীমান্ত অঞ্চলে
তাতে সন্তুষ্ট হয়েছে হুতি
বিদ্রোহীরা। তারা শিয়া মতাবলম্বী
মুসলিম। তারা নতুন ও দুর্বল
প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে
দিয়েছে। এমনটা ঘটেছে, কারণÑ
তিনি আল কায়েদার বিরুদ্ধে যথাযথ
পন্থা অবলম্বন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জানুয়ারিতে ইয়েমেনের রাজধানী
সানা দখল করে নেয় হুতি
বিদ্রোহীরা। তাদের সামনে যে
প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল তা
ছিল মামুলি। তারা প্রেসিডেন্টের
বাসভবন ঘেরাও করেছিলো। ফলে আবদ
রাব্বু হাদি পদত্যাগ করেন এবং তারপর
দেশত্যাগ করেন। ইয়েমেন থেকে
যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক উপদেষ্টাদের
প্রত্যাহার করে নেয়, দূতাবাস খালি
করে দেয় ফেব্রুয়ারিতে। ইত্যবসরে
যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টারা
অবস্থান করতেন সেখানে আল
কায়েদা গোপন সামরিক ঘাঁটি
প্রতিষ্ঠা করে। হাদির সময়কালে আল
কায়েদার বিস্তার ঘটেছে। তাদের
প্রতি ভীত ছিল হুতিরা। কারণ, তারা
জানতো মুসলিম বিশ্বে আল কায়েদার
হত্যাযজ্ঞের মিশন সম্পর্কে।
অন্যদিকে সৌদি আরবের নেতৃস্থানীয়
লোকেরা শিয়াদের অবজ্ঞা ও
তাদের প্রতি আতঙ্ক পোষণ করতো।
ইয়েমেনের মতো সৌদি আরবেও
তারা উল্লেখ করার মতো সংখ্যালঘু।
যৎসামান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে
তারা অভিযোগ করেন যে, শিয়া
হুতিরা ইরানের প্রতিনিধিত্ব করে।
কাজেই সৌদি আরব মার্কিন
সহযোগিতায় হুতি বিদ্রোহী অধ্যুষিত
এলাকাগুলোতে বোমাবর্ষণ করছে।
বিমান হামলার বিষয়বস্তু নির্ণয় করতে
সৌদি এয়ার ফোর্সকে সামরিক
গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করছে পেন্টাগন।
অর্থাৎ শিয়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে
যুক্তরাষ্ট্র আর সৌদি আরবের অবস্থান
একই। কিন্তু সৌদিরা ইয়েমেনে আল
কায়েদা সংশ্লিষ্টদের অগ্রগতিকে
উপেক্ষা করছে। মার্কিন গোয়েন্দা
সংস্থাগুলো অতীতে এটাকে
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সব থেকে বড় হুমকি
বলে আখ্যায়িত করতো।
আল কায়েদার বিরুদ্ধে জর্জ ডব্লিউ
বুশের যুদ্ধ সংগঠনটির বিশাল ব্যাপ্তির
একটি সময়কাল সৃষ্টি করেছে। আর এ
বিস্তারে কিছু সহযোগিতা করেছে
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও। তোরাবোরায়
বুশের বোমাবর্ষণের পর আল
কায়েদাকে আফগানিস্তান থেকে
হটিয়ে দিয়ে প্রধানত পাকিস্তানে
সরিয়ে দেয়। যে সময়টায় আল কায়েদার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়েছিল তখনকার আল
কায়েদা বর্তমান আল কায়েদায় ছায়া
সমতুল্য।
আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত এলাকায়
স্থাপিত জোড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্প
(প্রাথমিকভাবে সিআইএ’র
সহযোগিতায়) আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু
করে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন
রাষ্ট্রে সন্ত্রাসীদের সেল ২০০১ সাল
নাগাদ লিবিয়া থেকে
আফগানিস্তান পর্যন্ত এক জালে
রূপান্তরিত হয়েছে (এসব স্থানে নতুন
করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকা
তালেবানের বিরুদ্ধে এখন অবস্থান
তৈরি করছে আইসিল)।
আফগানিস্তানের পরপরই ইরাকে যুদ্ধ
চালান বুশ। ওই যুদ্ধ আল কায়েদাকে
প্রতিহিংসা সহ ইরাকে টেনে নিয়ে
আসে। ২০০৭ সালে ইরাকে বুশ
সেনাসংখ্যা বৃদ্ধির পর আবু মুসাব আল-
জারকাবি প্রতিষ্ঠিত আল কায়েদার
গ্রুপটি (আল কায়েদা ইন
মেসোপটেমিয়া) প্রাথমিকভাবে
পরাজিত হয় এবং সিরিয়াতে
পশ্চাদপসরণ করে। এ গ্রুপটিই রূপান্তরিত
হয়ে আইসিল-এ রূপ নিয়েছে। সিরিয়ায়
তাদের জনবল বৃদ্ধি পায়। এর পেছনে
আংশিক কারণ হলো আসাদকে
উৎখাতে মার্কিন প্রচেষ্টা।
নিজেদেরকে ইসলামিক স্টেটে
পুনর্গঠন করে দলটি এখন বৃটেনের সমান
একটি ভূখ- নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ট্যাক্স
সংগ্রহ করে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু
করে এবং তেলক্ষেত্রগুলো নিয়ন্ত্রণ
করে।
গত ডিসেম্বরে ব্রাসেলসের ন্যাটো
সদর দপ্তরে বেশ ঘটা করে ৫৯টি দেশের
কূটনীতিকরা আইসিলকে ‘পরাজিত’
করার জন্য একটি জোট গঠন করে
(উল্লেখযোগ্য হলো যে দুটি দেশ
আইসিলের আগ্রাসন প্রতিহত করতে সব
থেকে বেশি কিছু করেছে। তাদেরকে
এ জোটে রাখা হয় নি। তারা হলো
সিরিয়া ও ইরান)। যাই হোক,
সামরিকভাবে অংশগ্রহণ করেছে
কিছুসংখ্যক দেশ। আর ইসলামিক স্টেটের
বিস্তার অব্যাহত রয়েছে। ১৫ই মে
আইসিল সিরিয়ান আর্মির কাছ থেকে
প্রাচীন শহর পালমিরা দখল করে।
আইসিল বিরোধী ‘জোটে’র মধ্যকার
দুর্বলতা আর বিভক্তি এতোটাই যে,
ইসলামিক স্টেট যখন ২০০০ বছরের পুরনো
বালশামিম মন্দির মাটিতে গুঁড়িয়ে
দিলো, বিশ্ববাসীকে বাধ্য হয়ে তা
দর্শকের মতো দেখতে হয়েছে। বুশের
সমাপ্তিহীন যুদ্ধগুলোর এটা সব থেকে
সাম্প্রতিক একটি ফলমাত্র।
যে শাসক গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্র উৎখাত
করতে চায় আর রাশিয়া রক্ষা করতে
চায়Ñ তারা পালমিরার
ধ্বংসাবশেষসহ যাবতীয় জাতীয়
ঐতিহ্যকে সযতেœ লালন করে। তারা
দামেস্কের ক্রিশ্চিয়ান
এলাকাগুলোকে সম্মান করে। যেমন
হাউজ অব সেইন্ট আনানিয়াস ও
চ্যাপেল অব সেন্ট পল। ইসলামিক স্টেট
ওই শহর দখল নিয়ে নিশ্চিতভাবে এগুলো
ধ্বংস করে ফেলবে। তারপরও সিরিয়ায়
শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তনের স্বপ্ন লালন
করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আইসিল-এর
বিরোধী জোটে আসাদ বাহিনী ও
ইরানকে অন্তর্ভুক্ত করতে রাশিয়ার
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
বেসামরিক মানুষের গণহত্যা করার
অভিযোগে আসাদের সমালোচনা
করে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে আবার তাদের
সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে বেসামরিক
প্রাণহানির সংখ্যাও গণনা করতে
অস্বীকৃতি জানায় তারা। যুক্তরাষ্ট্র
সবসময়ই তাদের টার্গেটগুলোর ‘গণহত্যা’
সহিংসতা অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন
করে। সেটা ১৯৯৯ সালে কসোভোর
সার্বিয়ান আর্মি হোক, ২০১১ সালের
লিবিয়ান শাসকগোষ্ঠী হোক বা
সাম্প্রতিক সময়ের সিরীয়
শাসকগোষ্ঠী হোক না কেন।
মূলত, গৃহযুদ্ধে নিহত হওয়া যে আনুমানিক
২ লাখ ২০ হাজার মানুষের হিসাব
জাতিসংঘ দিয়েছে তার মধ্যে ১ লাখ
১৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার
হলো সিরিয়ান আর্মি ও ন্যাশনাল
ডিফেন্স ফোর্সের সদস্য। বিদেশী
সেনাসহ সরকারবিরোধী
বাহিনীগুলোর ৭৫ হাজার থেকে ১
লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ
হারিয়েছে। সিরিয়ান শাসকগোষ্ঠীর
বিদেশী সমর্থকদের মধ্যে প্রাণহানির
সংখ্যা আনুমানিক ৩ হাজার। এসব
বিদেশী গোষ্ঠীর মধ্যে যেমন রয়েছে
লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়া।
অর্থাৎ, বেসামরিক প্রাণহানি
সামগ্রিক প্রাণহানির ১৫ শতাংশেরও
কম। আর আমরা যেমনটা জানি,
বেসামরিক মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা
করতে আইসিল ও আল-নুসরার কোন
দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে না। পালমিরা
ধ্বংসাবশেষের তত্ত্বাবধানের
দায়িত্বে থাকা ৮২ বছরের
পুরাতত্ত্ববিদকে শিরñেদ করে আইসিল।
আর অন্যদের সতর্কবার্তা হিসেবে তার
মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। জর্জ ডব্লিউ বুশ
ও তার অপরাধমূলক যুদ্ধগুলোর আরেকটি
অবদান এটা।
মানবতার অমূল্য সব সম্পদ ধুলোয় মিশিয়ে
দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে আরও সব
বিস্ফোরণ। আর মনে হচ্ছে এটা প্রতিহত
করতে কিছুই করা যাবে না। আমাদের
ওপর এ পরিস্থিতি নিয়ে এসেছে
যারা, তাদের ধিক্কার।
লেখক পরিচিতি: গ্যারি লিউপ টাফটস
ইউনিভার্সিটিতে ইতিহাস বিষয়ের
অধ্যাপক। একইসঙ্গে তিনি ধর্ম বিভাগে
কর্মরত। তিনি একাধিক বইয়ের রচয়িতা।
এগুলো হলো: সার্ভেন্টস, শপল্যান্ডস
অ্যান্ড লেবারার্স ইন দ্য সিটিজ অব
তোকুগাওয়া জাপান; মেল কালার্স: দ্য
কন্সট্রাকশন অব হোমোসেক্সুয়ালিটি ইন
তোকুগাওয়া জাপান এবং
ইনটাররেসিয়াল ইনটিমেসি ইন
জাপান: ওয়েস্টার্ন মেন অ্যান্ড
জাপানিজ ওমেন, ১৫৪৩-১৯০০। এছাড়া
তিনি হোপলেস: বারাক ওবামা
অ্যান্ড দ্য পলিটিকস অব ইলিউশন বইয়ে
অবদান রেখেছেন। লেখকের ই-মেইল:
gleupp@tufts.edu
(নিউএজ পত্রিকায় ২৯শে আগস্ট
প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: আন্তর্জাতিক, আলোচনা,
মধ্যপ্রাচ্য, মানবজমিন, যুক্তরাষ্ট্র
31
AUG অপেক্ষা করছে আরও বিস্ফোরণ by
গ্যারি লিউপ
0 Add a comment
দেশে
রাষ্ট্রীয়ভাবে
গুম,
খুন
চলছে
অভিযোগ
করে
এসব
ঘটনার
আন্তর্জাতিক
তদন্তে
জাতিসংঘকে
উদ্যোগ
নেয়ার
আহবান
জানিয়েছেন
বিএনপি
চেয়ারপারসন
বেগম
খালেদা
জিয়া।
আজ
রোববার
বিকেলে
বিশ্ব
গুম দিবস উপলক্ষে গুলশান কাযার্লয়ে এক
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন এই
আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে
সন্ত্রাস ও গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা
জানি, সরকারের নির্দেশ-আদেশ
ছাড়া এসব কাজ র্যাব-পুলিশ করতে
পারে না। আজ আন্তর্জাতিক গুম দিবসে
গুম হয়ে যাওয়া লোকদের পরিবারের
সদস্যরা অনেকে সরকারের কাছে
দাবি করেছেন, তদন্ত করে তাদের খুঁজে
বের করে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে
দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি জানি সরকার
কোনোদিনও তদন্ত করবে না। এদের কাছ
থেকে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। তাই
আমি দাবি করছি, জাতিসংঘের
অধীনে আন্তর্জাতিক তদন্ত করতে হবে।
দেশে যারা নিরপেক্ষ আছেন তাদের
নিয়ে ওই তদন্ত করতে হবে।
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত বিভিন্ন সময়ে গুম
হয়ে যাওয়া নেতা-কর্মীর পরিবারের
সদস্যদের সহমর্মিতা জানাতে বিএনপি
এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের
শুরুতে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর
‘অনন্ত অপেক্ষা’ নামে ১৩ মিনিটের
নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
তথ্যচিত্রটি প্রদর্শনের সময়ে গুম হওয়া
ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের
স্বজনদের ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে
পরেন।
বিএনপি
চেয়ারপারসন
অনুষ্ঠানে আসা গুম
হয়ে যাওয়া
পরিবারের সদস্যদের
সাথে কথা বলেন ও
তাদের খোঁজ-খবর
নেন। অনুষ্ঠানে
নিখোঁজ ও গুম হয়ে
যাওয়া পরিবারের
সদস্যরা তাদের
যন্ত্রণার কথা তুলে
ধরে মর্মস্পশী বক্তব্য
রাখেন।
তাদের বক্তব্যের
জবাবে সংক্ষিপ্ত
বক্তব্যে বিএনপি
চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া
দেশের বর্তমান
অবস্থা তুলে ধরে
বলেন, বাংলাদেশে
এখন গণতন্ত্র, মৌলিক
অধিকার,
মানবাধিকার
অধিকার নেই। কারো কথা বলার
অধিকারও নেই। কেউ কোনো অনুষ্ঠানও
করতে পারবে না। যারা জোর করে
রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে আছে, যারা মিথ্যা
কথা বলতে পারে, তাদেরই অধিকার
কেবল আছে।
২০০৯-২০১৫ সাল পযর্ন্ত গুম হওয়া স্বজনদের
আবেগ অনুভুতির সাথে একাত্ম হয়ে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সরকার
কখনো গুমের ঘটনার সুষ্ঠু কোনো তদন্ত
করবে না। আমি শুধু স্বজনদের সান্ত্বনা
দিতে পারি, আশ্বাস দিতে পারি এর
বেশি কিছু আমাদেরও করার নেই।
আমরা জানি না আমরা কিরকম
থাকবো, কখনো গুম-খুন হয়ে যাবো না
তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুধু
আল্লাহতায়লা জানেন। শুধু মানুষের
আস্থার ওপর আমরা ভরসা করে চলি।
আমাদের বিশ্বাস এদেশের মানুষ
আমাদের সঙ্গে আছে, আল্লাহ
আমাদের সঙ্গে আছেন।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: আইন ও মানবাধিকার, খালেদা
জিয়া, নয়া দিগন্ত, রাজনীতি
31
AUG দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুম খুন চলছে
: খালেদা জিয়া
0 Add a comment
শাহজালাল
বিজ্ঞান
ও
প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ে
আন্দোলনরত
শিক্ষকদের
ওপর
‘জয়বাংলা’
স্লোগান
দিয়ে
ছাত্রলীগের
হামলার
ঘটনায়
তীব্র
ক্ষোভ
প্রকাশ
করেছেন
অধ্যাপক
মুহম্মদ
জাফর
ইকবাল।
তিনি
বলেছেন,
“যে
জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই
স্লোগানের এতবড় অপমান আমি আমার
জীবনে দেখিনি।”রোববার সকালে
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের
সামনে ভিসিবিরোধী শিক্ষকদের
জোট ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ
শিক্ষক পরিষদ’-এর অবস্থান কর্মসূচিতে
হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এ সময় তাদের ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’
স্লোগান দিতে শোনা যায়। তারা
আন্দোলনরত শিক্ষকদের ব্যানার কেড়ে
নেয় এবং তাদের গলা ধাক্কা দিয়ে
এবং মারধর করে সরিয়ে দেয়। এই
ফাঁকে ভিসি আমিনুল হক ভূঁইয়া
প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে দোতলায়
নিজের কার্যালয়ে চলে যান।
ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাক্কায় অধ্যাপক
ইয়াসমিন হক মাটিতে পড়ে যান। এক
ছাত্রলীগ কর্মীকে এ সময় এক শিক্ষকের
গায়ে লাথি মারতেও দেখা যায়। সে
সময় ঘটনাস্থল থেকে হাত দশেক দূরে
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচক্করে একাকী
বসে ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স
অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক
জাফর ইকবাল, যিনি ইয়াসমিন হকের
স্বামী। ক্ষুব্ধ জাফর ইকবাল বলেন,
“এখানে যে ছাত্ররা শিক্ষকদের ওপর
হামলা চালিয়েছে, তারা আমার
ছাত্র হয়ে থাকলে আমার গলায় দড়ি
দিয়ে মরে যাওয়া উচিত।” জনপ্রিয় এই
লেখক জানান, ‘তিনি সরাসরি
শিক্ষকদের আন্দোলনে অংশ না
নিলেও আন্দোলনকারীদের প্রতি তার
মায়া, ভালবাসা আছে। তারা যে
কারণে আন্দোলন করছে, আমি তা ১০০
ভাগ সমর্থন করি। এ ভিসির যোগদানের
দু’মাস পর আমি তার সঙ্গে কাজ করা বন্ধ
করে দিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি,
উনি মিথ্যা কথা বলেন। যে ব্যক্তি
মিথ্যা কথা বলেন, তার সঙ্গে কাজ
করা আমার পক্ষে সম্ভব না।’ হামলার
বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজ
আমার জীবনে একটা নতুন অভিজ্ঞতা
হলো। আজ যা দেখলাম, আমার জীবনে
এ ধরনের ঘটনা দেখবো তা আমি কখনও
কল্পনা করিনি।” জাফর ইকবাল বলেন,
গলায় দড়ি দিয়ে না মরলেও ‘তীব্র
মানসিক যন্ত্রণায়’ তাকে ভুগতে হচ্ছে।
“কিভাবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছাত্র আমার শিক্ষকদের লাঞ্ছিত
করতে পারলো, আর আমাকে সেটা
এখানে বসে বসে দেখতে হলো!” এই
শিক্ষক আরও অভিযোগ করেন, ভিসিই
ছাত্রলীগকে শিক্ষকদের ওপর
‘লেলিয়ে’ দিয়েছেন। “তিনি যদি
মনে করেন, এভাবে আন্দোলন থামানো
সম্ভব, তবে সেটা ভুল করছেন। শিক্ষকরা
আন্দোলন করছেন কোন পদের জন্য নয়,
শাবিকে বাঁচানোর জন্য।” কয়েকজন
শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ,
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে
ভিসির পদত্যাগ দাবিতে গত ১২ই
এপ্রিল থেকে আন্দোলনে রয়েছে
সরকারসমর্থক শিক্ষকদের একাংশের
জোট ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ
শিক্ষক পরিষদ’। তাদের এ আন্দোলনকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি
‘অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত
করে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত
চিন্তার চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’
ব্যানারে ভিসির পক্ষে রয়েছেন
সরকার-সমর্থক শিক্ষকদের আরেকটি
অংশ। অচলাবস্থা কাটাতে দুই পক্ষের
সঙ্গেই বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী
নুরুল ইসলাম নাহিদ। নিয়োগ, নতুন ব্যবস্থা
চালু বা কাউকে নতুন কোন পদে
দায়িত্ব দিতে নিষেধ করে ভিসির
ক্ষমতা কার্যত খর্বও করা হয়েছে।
তারপরও ভিসির পদ না ছাড়ায়
শিক্ষকরাও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: Lead, ছাত্রলীগ, মানবজমিন,
রাজনীতি, শিক্ষাঙ্গন
31
AUG গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত
0 Add a comment
নিরাপত্তাহীনতায়
ঢাকা
ছেড়েছেন
আন্তর্জাতিক
স্বাস্থ্য
গবেষণা
কেন্দ্র
আইসিডিডিআর’বির
এক
কর্মকর্তা।
তার
নাম
আনজুম
ইসরার।
গতকাল
পুলিশ
পাহারায়
তাকে
বনানী এলাকা থেকে হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়। পুলিশ ও
আইসিডিডিআর’বি সূত্রে এ তথ্য জানা
গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সপ্তাহ
খানেক আগে পাকিস্তানি নাগরিক
আনজুম ইসরার রাজধানীর মহাখালীর
আইসিডিডিআর’বিতে অর্থ নিয়ন্ত্রক
হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের
পরপরই তার ঠিকানায় একটি চিঠি
আসে। ওই চিঠিতে তাকে অশ্লীল
ভাষায় গালাগাল ও দেশ ছেড়ে
যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। তা না হলে
তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে
বলেও হুমকি দেয়া হয় চিঠিতে। এ হুমকি
পেয়ে তিনি দেশ ছেড়ে যাওয়ার
সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি তিনি
কয়েকজন সহকর্মীর মাধ্যমে বনানী ও
গুলশান থানাকে জানান। তবে এ
বিষয়ে থানায় কোন সাধারণ
ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেননি
তিনি। আনজুম ইশরারের অনুরোধে
বনানী ও গুলশান থানা পুলিশ গতকাল
দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে
তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়।
আইসিডিডিআরবি’র দেয়া এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো
হয়েছে। আইসিডিডিআর’বির মিডিয়া
ম্যানেজার একেএম তারিফুল ইসলাম
খানের পাঠানো ওই প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
আইসিডিডিআরবি তাদের কর্মীদের
নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
চলতি সপ্তাহে তাদের একজন কর্মী
হুমকি পেয়েছেন। এরপর তারা ওই কর্মীর
নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আইসিডিডিআরবি’র প্রেস
বিজ্ঞপ্তিতে আনজুম ইসরারের দেশ
ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সরাসরি বলা
না হলেও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে,
গতকাল দুপুরেই তিনি ঢাকা ছেড়ে
যান। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের
উপকমিশনার (মিডিয়া) মুনতাসিরুল
ইসলাম জানান, আইসিডিডিআরবি’র ওই
কর্মকর্তা পুলিশের কাছে বিমানবন্দরে
পৌঁছার জন্য নিরাপত্তা সহায়তা
চাইলে তাকে পুলিশি নিরাপত্তা
দিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয়।
আনজুম আসরার এর আগে আন্তর্জাতিক বহু
প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সঙ্গে অর্থ
বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।
Posted Yesterday by Kutubi Coxsbazar
Labels: মানবজমিন, মানবাধিকার
31
AUG নিরাপত্তাহীনতায় ঢাকা
ছাড়লেন আইসিডিডিআর’বি
কর্মকর্তা
0 Add a comment
কথিত
'জনসংখ্যা
জিহাদের'
বিরুদ্ধে
রুখে
দাঁড়াতে
না
পারলে
ভারত
দ্রুত
ইসলামী
রাষ্ট্রে
পরিণত
হবে
বলে
মন্তব্য
করেছেন
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নির্বাহী
প্রেসিডেন্ট প্রবীণ তোগাড়িয়া।
ভারতের আদমশুমারি রিপোর্ট উল্লেখ
করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেছে,
জনসংখ্যা জিহাদের ফলে হিন্দু বিলুপ্ত
হতে পারে, এজন্য সারা দেশে দুটি
সন্তান আইন বাস্তবায়ন করা উচিত।
আরএসএস মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ বিশ্ব
হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ
তোগাড়িয়া বলেন, ‘মুসলমান জনসংখ্যা
একতরফা ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে,
অন্যদিকে হিন্দু জনসংখ্যা কমে
যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘হিন্দু জনসংখ্যা
দ্রুত বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে মুসলমানদের জনসংখ্যা
পদ্ধতিগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
তোগাড়িয়া বলেন, ‘১৯৫১ সালে হিন্দু
জনসংখ্যার হার ৮৪ শতাংশ থেকে
বর্তমানে ৮০ শতাংশের নিচে চলে
এসেছে। যদিও মুসলমানদের জনসংখ্যা এ
সময়ে ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪
শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।’ তিনি
সারা দেশে ‘অভিন্ন দেওয়ানি
বিধি’ চালু করার পক্ষে সাফাই
দিয়েছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন,
‘এখনই জনসংখ্যা জিহাদের বিরুদ্ধে না
দাঁড়ালে ভারত দ্রুত ইসলামী রাষ্ট্রে
পরিণত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক
চাপের পরওয়া না করে দুই সন্তান আইন
কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত।’
আদমশুমারির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান
একটি সতর্কতা বলেও মন্তব্য করেন
তিনি।
তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘যদি এরকম
পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে
ভারত থেকে হিন্দু ওইভাবে সাফাই
হয়ে যাবে যেরকম আফগানিস্তান এবং
কাশ্মিরে হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাধু
সম্মেলনে এই বিষয়টি তোলা হবে
বলেও জানান তোগাড়িয়া।
গত ২৮ আগস্ট বজরং দলের পক্ষ থেকে
কানপুরে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ানোর
জনজাগরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। শিব
সেনার আগ্রা শাখার পক্ষ থেকে
এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে পাঁচ
সন্তানের জন্ম দেয়া হিন্দু পরিবারকে
দুই লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে।
বিজেপি এমপি যোগী আদিত্যনাথ
সম্প্রতি বলেছেন, ‘মুসলিমদের সংখ্যা
যেভাবে বাড়ছে, তা অত্যন্ত
উদ্বেগজনক। ওদের জনসংখ্যার ওপর
নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয়
সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে
হবে।’
আদিত্যনাথ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি
চালু করার পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন।
২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত
আদমশুমারি রিপোর্টে প্রকাশ, সারা
দেশে মোট জনসংখ্যা ১২১.০৯ কোটি।
এরমধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৯৬.৬৩ কোটি।
অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ১৭
কোটি ২২ লাখ।
২০০১ সালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির
হার ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই
বৃদ্ধির হার কমে ২৪.৬০-এ দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা
বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ২০১১
সালে এই বৃদ্ধির হার ১৬.৭৬ শতাংশে
দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে,
মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ
কমেছে। অন্যদিকে, হিন্দু জনসংখ্যা
বৃদ্ধির হার কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।
হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সংখ্যাগত
দিক থেকে বিস্তর ব্যবধান থাকলেও
এবং মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
আগের তুলনায় কমলেও হিন্দুত্ববাদীরা
এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক
পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে বলে
বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র : রেডিও তেহরান
Home »
» কওমী মাদরাসার পেছনের একটি
কওমী মাদরাসার পেছনের একটি
Written By Unknown on মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ | ৯:৩৯ AM
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন