আজ সেই ভয়াল ২৯ নভেম্বরপ্রকাশের সময়:Sun, Nov 29th, 2015 |খুলনা বিভাগ/দেশের খবরজামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট প্রতিনিধি:আজ সেই ভয়াল ২৯ নভেম্বর। ১৯৮৮ সালের এই দিনে প্রলংকারী ঘূর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে দক্ষিনাঞ্চলের বিস্তীর্ন জনপদ। সমুদ্রে ফুসে ওঠা জলরাশির সাথে বাতাসের তীব্রতাএই জনপদকে বিধ্বস্ত করে ভাসিয়ে নিয়েছিল। প্রকৃতির রুদ্র খেয়ালে ক্ষত-বিক্ষত স্মৃতি চিহ্ন বুকে নিয়ে সেদিনের স্বজনহারা মানুষেরা আজও স্বরন করছে ভয়াল ২৯ নভেম্বরকে।সে দিন হঠাৎ করেই ক্ষেপে যায় প্রকৃতি। মুহুর্তেই প্রবল ঘূর্নিঝড় আর জলোচ্ছাস আঘাত হানে উপকুলীয় এ জনপদে। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যুর নির্মম হিমশীতল পরশ আলিঙ্গন করে এই জনপদের কয়েক হাজার মানুষ। সুন্দরবনের শক্তিশালী রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রল হরিন সহ শত শত গবাদী পশু ও রেহাই পায়নি। সর্বত্রমৃত্যু দেহের বিভৎস দৃশ্য আজও মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেয়। দক্ষিন অঞ্চলের অন্যতমপতিতাপল্লী বানিশান্তার যৌনকর্মীরা সে দিন আপ্রান চেষ্টা চালিয়েও লোকালয় আশ্রয়পায়নি।প্রবল জলের তোর আর ঘড় চাঁপা পড়ে ওই নিষিদ্ধ পল্লীর ১৬০ জন যৌনকর্মী সে দিন প্রান হারিয়েছিল। সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরদ্বীপ দুবলা, আলোরকোল, চর মেহেরআলী, জেলের ট্যাক ও মাঝের চরে অবস্থানরত প্রায় ১০ হাজার জেলের কেউ বাঁচতে পারেনি। সেদিন মানুষ আর পশুর লাশ একাকার হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সাগর আর নদীর জলরাশিতে। নিহতঅনেক জেলের লাশ সেদিন বাধ্য হয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল সমুদ্রে জেগে ওঠা চরে। সেই থেকে জেলেরা ওই চারটি চরের নাম দিয়েছে “মরন চর”।ইতিহাসের নির্মম এ ঘটনার পর সমুদ্রে মৎস্য আহরনে নিয়োজিত জেলেদের নিরাপত্তার জন্য সরকারী ভাবে সমুদ্রবক্ষের চরগুলোতে ৫টি ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে। জেলেদের আগাম সতর্ক করার জন্য মৌসুমী পূর্বাভাস কেন্দ্র স্থাপন করাহয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুবলার চরে ঘুর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর আওতায় একটি বেতার যন্ত্র সহ একজন কর্মকর্তা দুবলায় অবস্থান করে জেলেদের মধ্যে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কর্মসূচী পরিচালনাকরে আসছে।আরো পড়ুন
Home »
আজ সেই ভয়াল ২৯ নভেম্বরপ্রকাশের
» আজ সেই ভয়াল ২৯ নভেম্বরপ্রকাশের
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন