ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম
আমাদের ইতিহাস আজ বিকৃত। দেশে ইতিহাস বিকৃতি করার মহা উrসব চলছে। শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের তাঁবেদাররা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচারের মাধ্যমে HERO কে ZERO এবং ZERO কে HERO বানানোর জঘন্য ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম এর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। তা না হলে তো তাঁকে মানুষের সামনে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা যাবে না!
অধ্যাপক গোলাম আযম পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর হতেই ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে তিনি প্রত্যক্ষভাবে ভাষা আন্দোলনে শরীক হন। এই দিন রাষ্ট্রভাষ্ াবাংলার দাবিতে হরতাল পালিত হয়। ১৯৪৮ সালে কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্র তrকালীন পূর্ব পাকিস্তান আগমনের পূর্বে এই দাবির যথার্থতা তুলে ধরার জন্যই প্রথম গণদাবী হিসেবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। হরতাল সফল করতে তিনি ডাকসু’র জিএস হিসেবে ছাত্রদের সংগঠিত করেন, বিভিন্ন গ্র“পে বিভক্ত করে পিকেটিংয়ের জন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পাঠান। তিনি নিজেও একটি গ্র“প নিয়ে গুলিস্তান টিএন্ডটি অফিস (বর্তমান টেলিফোন এক্সচেঞ্জ) ভবনের কাছে যান। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হরতালে পিকেটিংয়ের সময় তখন তাঁকে সহ ১০-১২ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকায় আসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিসম্বলিত একটি ঐতিহাসিক স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীকে প্রদান করা হয়। তrকালীন ডাকসুর জিএস অর্থাr (অধ্যাপক) গোলাম আযম ঐ স্মারকলিপিটি পেশ করেন। তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিটি পাঠ করেন তুখোড় ছাত্রনেতা (অধ্যাপক) গোলাম আযম। এরপর থেকেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের দাবি দানা বাঁধতে থাকে, যার মূলে ছিল প্রধানত ছাত্ররা। আর তখন সকল ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রাণকেন্দ্রে ছিলেন ডাকসু’র তrকালীন জিএস এই (অধ্যাপক) গোলাম আযম।
১৯৫২ সালে জনাব গোলাম আযম রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৫০’ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করে সেখানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। ভাষা আন্দোলনের উত্তাল ঐ সময়ে সেখানে তিনি তখন বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। তিনি, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জমির উদ্দীন ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কলিমুদ্দীন আহমদ এবং সেখানকার স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী ও ছাত্রদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। তখন শিক্ষক ও কয়েকজন ছাত্রসহ অধ্যাপক গোলাম আযম আবারো গ্রেফতার হন।
পরবর্তীতে, তিনি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ার “অপরাধে” ১৯৫৫ সালে পুনরায় গ্রেফতার হন এবং তাঁর সরকারি চাকুরী হারান। উনাকে মুক্তি দেয়ার দিন স্থানীয় জনগণ যেন জমায়েত/ সংবর্ধনা দিতে না পারে সে জন্য রংপুর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।
আজ, ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার অধ্যাপক গোলাম আযম এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অপরাধে আজ তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। রাজনৈতিকভাবে যারা উনাকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ তারাই তাঁর নামে বিভিন্ন কুৎসা রটাচ্ছে।গোলাম আযম তাওহীদি জনতার মনিকেটায় ছিলেন আছেন থাকবেন ইনশাহ আল্লাহ।সংগৃহিত।
Home »
ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম
আমাদের ইতিহাস আজ বিকৃত।
» ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম
আমাদের ইতিহাস আজ বিকৃত।
ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম আমাদের ইতিহাস আজ বিকৃত।
Written By Unknown on মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ | ১:০২ AM
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন