Home » » হয়ত নানা প্রশ্ন জাগতে পারে। তবে ছবিটির সত্যতা জানার পর আপনার বিবেক

হয়ত নানা প্রশ্ন জাগতে পারে। তবে ছবিটির সত্যতা জানার পর আপনার বিবেক

Written By Unknown on সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ | ৬:৩৯ PM

এই ছবিটি দেখার পর আপনার মনের মাঝে
হয়ত নানা প্রশ্ন জাগতে পারে। তবে ছবিটির
সত্যতা জানার পর আপনার বিবেক একটু
হলেও নাড়া দেবে এটা নিশ্চিত। ছবিটি
ইউরোপের চিত্রশিল্প ‘মুরলির’ চিত্রায়ন
করা।
ইউরোপের একটি দেশে এক সময় এই
লোকটির না খেয়ে মৃত্যুর শাস্তি দেওয়া
হল। লোকটিকে কারাগারে বন্দী করে রাখা
হল। তার শাস্তির ধরন ছিল এমন, যতদিন না
তার মৃত্য হয়- ততদিন ওনাকে না খেয়েই
থাকতে হবে।
এমত অবস্তায় ঐ লোকটির একমাত্র
কন্যা বাবাকে দেখার জন্য সরকারের কাছে
অনুরোধ জানায়। অনুরোধক্রমে প্রতিদিন
একবার করে দেখার অনুমতি পেল মেয়েটি।
প্রতিদিন দেখা করার আগে মেয়েটিকে ভাল
করে পরীক্ষা করে নেওয়া হত যাতে মেয়েটি
বাবার জন্য কোন প্রকার খাবার আথবা
অন্য কোন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করতে না
পারে। কিন্তু প্রতিদিন বাবার এ অবস্থা
দেখে মেয়েটি আর সহ্য করতে পারছিল না।
তাই সে নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য
নিরুপায় হয়ে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে
লাগল।
এদিকে সপ্তাহ পেরিয়ে মাস গড়িয়ে এল তবুও
লোকটির মৃত্যু হচ্ছে না। এতে করে
প্রহরীদের মনে সন্দেহ হল লোকটি কি করে
এখনো জীবিত। তাই পরদিন এক প্রহরী
মেয়েটির পিছু নেয় এবং বাবাকে নিজের বুকের
দুধ খাওয়ানো অবস্থায় মেয়েটিকে ধরে
ফেলে। এ বিষয়ের উপর আবার মামলা
মোকদ্দমা হয়। এমন ঘটনার খবর ছড়িয়ে
পরে ইউরোপের আনাচে-কানাচে। বৈঠক হয়
মন্ত্রী থেকে সরকার পর্যায়ে। অবশেষে
সরকার আইনের চক্ষু বন্ধ করে, বিবেকের
চক্ষু খুলে এ বিষয়ের উপর বিচার করে রায়
দেন। এতে পিতা ও কন্যা দুজনকেই মুক্ত
করে দেওয়া হয়।
নারী যে যেই রূপেই হোকনা কেন সে ‘মা’ না
হয় স্ত্রী, অথবা বোন। এরা প্রতিটি রূপেই
ভালবাসার এক অতুলনীয় প্রতীক। তাই
নারীকে ভালবাসুন ও সম্মান করুন।
.
( Collected)

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন