Home » » পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত ভাই ও বোনেদের জন্য এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল। হাবিবুল ইসলাম হাসিব   0 টিউমেন্টস দেখা অন্যান্য পশ্চিমা কালচার, যা গ্রাস করে যাচ্ছে সারা পৃথিবী কে। আর এই পর্নোগ্রাফী হচ্ছে পশ্চিমাদের একটা ব্যাবসা। একে বানিজ্য হিসেবে নেয় এবং তারা বলে যে, নারীদের পূর্ন অধিকার দিয়ে থাকে তারা। পশ্চিমারা নারীদের যে অধিকার দিয়ে থাকে তা নারীর দেহকে শোষন করে, সম্মানের অবমাননা করে এবং আত্মকে প্রবঞ্চত করে। এই পশ্চিমারা, যারা বলে নারীদের অধিকারকে ইসলামে আরো উন্নত করতে হবে, তারা আসলে নারীদের পরিনত করেছে রক্ষিতাতে, উপপত্নীতে আর রংচঙে প্রজাপতিতে। আর এই নারীরা আসলে পন্য সামগ্রী সেক্সমার্কেটিয়ারদের কাছে, ভোগবিলাসিদের কাছে, যারা লুকিয়ে থাকে আর্ট আর কালচারের রংচঙে পর্দার পিছনে পুুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে অনুসোচনার জাগলেও জাগতে পারে। বর্তমানে আমরা বাস করছি চরম নির্লজ্জ্ব একটি পৃথিবীতে। এমন এক পৃথিবীতে, যেখানে আপনি আপনার হাতের মুঠো ফোন দিয়েই যে কোনো ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন অনায়াসে। পর্নোগ্রাফী ইন্ডাট্রি বর্তমানে একটি মাল্ট্রি ট্রিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রী, যার উদ্দেশ্য হলো আমাদের প্রত্যেকে যেন কোনো না কোনো ভাবে এসব নোংরামির ভোক্তা হই। এবং প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশুরর সামনে এসব যেন উন্মোচিত হয়, তা তারা আশা করে। আপনিও দেখবেন এবং পরিনত হবেন আরো একজন ভোক্তায়। এটাই হলো আমাদের সমাজকে দেয়া পর্নোগ্রাফির উপহার। এটা তৈরি করছে অমানুষ। মানুষকে পরিনত করছে পশুতে। যৌনবিকার গ্রস্থ মানুষে। অনেকের মধ্যেই এই আসোক্তি রয়েছে। এসব জঞ্জাল দেখছেন। এবং এই নিয়ে পরে আর আপনাদের খারাপও লাগে না। কারণটাও সাধারন, যে এসব আপনি নিজেই দেখছেন, অন্য কাউকেতো দেখাচ্ছেন না। নিজে নিজে দেখছেন। ব্যাস এটুকু ঠিক আছে। আপনারা নিজেরাই এসবকে মনে মনে নিজেদের জন্য এসব গ্রহনযোগ্য ধরে নিয়েছেন। কিন্তু এসবের ফলে কি হচ্ছে জানেন? ভিতরে ভিতরে আপনার অাত্তা নিঃস্বেশ হয়ে যাচ্ছে। আপনার সালাত হয়ে যাচ্ছে অন্তঃস্বার শূন্য। আপনি আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা চোখের পানিও ফেলতে পারেন না। কারন টা হলো আপনি যে সব নোংরামি দেখেছেন, তারই ফলাফল। এগুলো আপনাদেরকে পরিণত করেছে একটা মানুষ রূপি পশুতে। যার ফলে আপনি এখন স্বাভাবিক ভাবে তাকাতেও পারেন না। যখনই একজন নারী আপনার পাশ দিয়ে যায়, আপনি যেন দেখছেন আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটা মাংসপিন্ড। আপনারর দুই চোখ নিরক্ষণ করে বেড়াচ্ছে প্রত্যেক কে। আপনার হৃদয়ে লেগে যাচ্ছে মোহরের প্রলেপ। তারপর আপনারা কি না জিজ্ঞেস করেন, ভাই সালাতে মনোযোগ আনবো কিভাবে! ভাইয়েরা আমার, বিশেষ করে ভাই দের বলছি, যদিও আমাদের সমাজের ভাই ছাড়াও অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে! এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক ব্যাপার! এই দুনিয়া হয়ে গেছে যুদ্ধ ক্ষেত্র! এই যুদ্ধ যে কোনো সামরিক যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর! এটি সেই যুদ্ধ যা কি না ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের অন্তরকে। এটা আমাদের ঘর পর্যন্ত প্রবেশের পথ করে নিচ্ছে! সবাই চায় তাদের ছেলে-মেয়েদের এসব নোংরামি থেকে যত দুর সম্ভব দুরে রাখতে। তবে যখন তারা স্কুলে যায়, হোকনা সেটা কোনো ইসলামিক স্কুল, খুবই উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, তার কোনো সহপাঠিদের সাথে মিশে এসব নোংরামির স্বীকার হতে পারে। এটা বাস্তব! মোটেই কাল্পনিক কিছু নয়! তাই সবাইকেই সচেতন করতে হবে এই কুৎসিত কদাচার জগত সম্পর্কে যার মুখোমুখি তারা হবেই এক সময়। এর থেকে পালানোর কোনো পথ নেই আসলে। কোনো মুক্তি নেই! আপনারা YouTube এ কোনো ইসলামিক লেকচার যখন শুনেন তখন দেখবেন পাশে দিয়ে রিলেটেড ভিডিও থাকে। সেখানে কোনো না কোনো একটা বাজে কিছু থাকবেই। আর আমার মনে হয় না এটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা। এমন না যে সব কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। আর আমার মনে হয় না এমনি এমনি এসব হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম ও অমুসলিম সন্তানরা আজ এই যুদ্ধের ময়দানে। এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞপান ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এসব জঞ্জাল ছড়ানোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপনের অভাব নেই। আর এটাও বলা যুক্তি সম্মত হবে না যে এসব facebook, twitter, youtube, google এসব আমাদের জন্য হারাম। যারা প্রাপ্তত বয়স্ক আছেন, তারা ইন্ডিয়ান মুভি দেখা বন্ধ করুন ভাই! পুরো পরিবারদ মিলে বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী মিলে যা ইচ্ছে টিভিন সামনে বসে দেখে যাচ্ছেন! আল্লাহ বলেন সূরা নূর, অধ্যায় ২৪, আয়াত ৩০ মুমীন পুরুষদের বল, তারা যাতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানে হেফাজত করে। ঠিক এই ধরনের কথা সূরা নূর, ২৪ নং সূরার ৩১ নং আয়াত, মুমিন নারীদের বলো তারা যাতেতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। দৃষ্টি সংযোত ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করা মানে শুধু এই নয় যে যিনা আর ব্যাবিচার থেকে বিরত থাকে। এর মানে সে সমস্ত জিনিস থেকে বিরত থাকা যা আমাদেরকে প্রোলোভনের দিকে ধাবিত করে। তারা লক্ষ করে, তারা রক্ষা করে, তারা জানে যে লজ্জাবোধ হুমকির মুখে পড়ে। তারা জানে যে কিসে তাদের দুর্বলতা। এবং আকাঙ্খা সম্পর্কে। এই আকাঙ্খা আসলে আল্লাহই আমাদের দিয়েছেন সঙ্গত কারনে। পুরুষ মানুষ যারা আছেন, তারা সকলেই প্রতিদিন প্রতি নিয়ত সবাই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছেন। বিশেষ করে এরকম একটা সময়ে! কিছু জায়গায় এরকম কুরুচি পূর্ণ বিলবোর্ড টঙ্গানোর অনুমতি দেয় না। তারা অবশ্য কোনো বিলবোর্ড টাঙ্গানোরই অনুমতি দেয় না। তবে এই নিয়ম শিঘ্রয়ী পাল্টে যাবে। কারণ শেষ পর্যন্ত সম্রজ্যবাদেরই জয় হয়। কথা হচ্ছে আমরা এমন এক সময়ে বাস করি যেখানে সব কিছু আমাদের সামনে উন্মুক্ত। কোনো কিছুই বাদ নেই, সব কিছু। আর আপনাদের রিতি মতো মরন যুদ্ধ করতে হয় নিজেদের বাচানোর জন্য। আল্লাহ এ বিষয় নিয়ে কুরআনে এতো বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বলার মতো নয়। বেহায়াপনা, যা মানুষকে পশু থেকেও নিচু স্তরে ধাবিত করে। আর আমাদের নুন্যতম কর্তব্য ও দায়িত্ব হলো নিজেদের যাবতীয় নির্লজ্জতা ও বেহহায়াপনা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা। নিজেদের ভিতরে এই প্ররলোচনা বৃদ্ধির যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। জানি অনেকেই আছেন যারা চেষ্টা করছেন এই কুৎসিত কদাচি পূর্ণ জগৎ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। কিন্তু ব্যর্থ হন অনেকেই। আবারো ফিরে যান সে দিকে। আবারো চেষ্টা করেন, আবারো ফেঁসে যান এই চক্রন্তে। কিন্তু হাল ছাড়বেন না। যেখানেই থাকুন একা থাকবেন না। ভালো বন্ধুর সাথে থাকুন। রুমের দরজা বন্ধ করে একা থাকবেন না। দরজার চাবি বন্ধ করে রাখবেন না। সেখানে থাকুন যেখানে আপনার আশে পাশে আরো মানুষ থাকবে। কারণ যখনই আপনি একা থাকবেন, সয়তান আপনাকে একা পেয়ে বসে। আর আল্লার ভয় যদি আপনার মধ্যে যথেষ্ট না থেকে থাকে, তাহলে অন্তত মানুষের ভয়ে যদি কাজ হয়। একা থাকলে সয়তানে ভর করতে পারে সহজে। আর বাবা মা দের বলছি, আপনার বাসায় যেন লেপটপ না থাকে। ডেস্কটপ রাখবেন। অপিসিয়াল কাজের জন্য লেপটপ রাখলেও অন্তত ছেলে মেয়েদের বিনোদন যেমন গেমস খেলা বা এরকম কিছুর জন্য ডেক্সটপ রাখবেন। আর ডেক্সটপও এমন ভাবে রাখবেন, (যেমন: সামনের রুমে, বা খাওয়ার রুমে, রান্না ঘরে রাখবেন, বেড রুমে রাখবেন না) যেন সেটা সবার চোখের সামনে থাকে। বাচ্চাদের যোগাযোগের জন্য স্মার্ট ফোন দিবেন না। সাধারন মোাবইল দিতে পারেন, যেগুলোতে শুধু যোগাযোগই করা যায়, আর কিছু না। এগুলো কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ভাবাই যায় না। আপনার আর আমার তথা সবার যেটা সবচেয়ে দামী সম্পদ, সেটা হচ্ছে আমাদের সদর/হৃদয়/কেন্দ্র। আর এই নির্লজ্জতা আমাদের সদর/হৃদয বা কেন্দ্রকে ধ্বংস করে দেয়। সব চেয়ে মূল্যবান জিনিস ঈমান, আর এসব নোংরা জিনিস আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়। আপনাদের ঈমান কে দুমড়ে মুচড়ে ছিঁড়ে ফেলছে এসব। এরকম টা নিজেদের সাথে হতে দিয়েন না আপনারা। আমি শুধু আপনাদের বলেই যেতে পারবো, আপনাদের কিছু বন্ধ করতে পারবো না। সেটা আপনার নিজেকেই

পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত ভাই ও বোনেদের জন্য এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল। হাবিবুল ইসলাম হাসিব   0 টিউমেন্টস দেখা অন্যান্য পশ্চিমা কালচার, যা গ্রাস করে যাচ্ছে সারা পৃথিবী কে। আর এই পর্নোগ্রাফী হচ্ছে পশ্চিমাদের একটা ব্যাবসা। একে বানিজ্য হিসেবে নেয় এবং তারা বলে যে, নারীদের পূর্ন অধিকার দিয়ে থাকে তারা। পশ্চিমারা নারীদের যে অধিকার দিয়ে থাকে তা নারীর দেহকে শোষন করে, সম্মানের অবমাননা করে এবং আত্মকে প্রবঞ্চত করে। এই পশ্চিমারা, যারা বলে নারীদের অধিকারকে ইসলামে আরো উন্নত করতে হবে, তারা আসলে নারীদের পরিনত করেছে রক্ষিতাতে, উপপত্নীতে আর রংচঙে প্রজাপতিতে। আর এই নারীরা আসলে পন্য সামগ্রী সেক্সমার্কেটিয়ারদের কাছে, ভোগবিলাসিদের কাছে, যারা লুকিয়ে থাকে আর্ট আর কালচারের রংচঙে পর্দার পিছনে পুুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে অনুসোচনার জাগলেও জাগতে পারে। বর্তমানে আমরা বাস করছি চরম নির্লজ্জ্ব একটি পৃথিবীতে। এমন এক পৃথিবীতে, যেখানে আপনি আপনার হাতের মুঠো ফোন দিয়েই যে কোনো ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন অনায়াসে। পর্নোগ্রাফী ইন্ডাট্রি বর্তমানে একটি মাল্ট্রি ট্রিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রী, যার উদ্দেশ্য হলো আমাদের প্রত্যেকে যেন কোনো না কোনো ভাবে এসব নোংরামির ভোক্তা হই। এবং প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশুরর সামনে এসব যেন উন্মোচিত হয়, তা তারা আশা করে। আপনিও দেখবেন এবং পরিনত হবেন আরো একজন ভোক্তায়। এটাই হলো আমাদের সমাজকে দেয়া পর্নোগ্রাফির উপহার। এটা তৈরি করছে অমানুষ। মানুষকে পরিনত করছে পশুতে। যৌনবিকার গ্রস্থ মানুষে। অনেকের মধ্যেই এই আসোক্তি রয়েছে। এসব জঞ্জাল দেখছেন। এবং এই নিয়ে পরে আর আপনাদের খারাপও লাগে না। কারণটাও সাধারন, যে এসব আপনি নিজেই দেখছেন, অন্য কাউকেতো দেখাচ্ছেন না। নিজে নিজে দেখছেন। ব্যাস এটুকু ঠিক আছে। আপনারা নিজেরাই এসবকে মনে মনে নিজেদের জন্য এসব গ্রহনযোগ্য ধরে নিয়েছেন। কিন্তু এসবের ফলে কি হচ্ছে জানেন? ভিতরে ভিতরে আপনার অাত্তা নিঃস্বেশ হয়ে যাচ্ছে। আপনার সালাত হয়ে যাচ্ছে অন্তঃস্বার শূন্য। আপনি আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা চোখের পানিও ফেলতে পারেন না। কারন টা হলো আপনি যে সব নোংরামি দেখেছেন, তারই ফলাফল। এগুলো আপনাদেরকে পরিণত করেছে একটা মানুষ রূপি পশুতে। যার ফলে আপনি এখন স্বাভাবিক ভাবে তাকাতেও পারেন না। যখনই একজন নারী আপনার পাশ দিয়ে যায়, আপনি যেন দেখছেন আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটা মাংসপিন্ড। আপনারর দুই চোখ নিরক্ষণ করে বেড়াচ্ছে প্রত্যেক কে। আপনার হৃদয়ে লেগে যাচ্ছে মোহরের প্রলেপ। তারপর আপনারা কি না জিজ্ঞেস করেন, ভাই সালাতে মনোযোগ আনবো কিভাবে! ভাইয়েরা আমার, বিশেষ করে ভাই দের বলছি, যদিও আমাদের সমাজের ভাই ছাড়াও অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে! এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক ব্যাপার! এই দুনিয়া হয়ে গেছে যুদ্ধ ক্ষেত্র! এই যুদ্ধ যে কোনো সামরিক যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর! এটি সেই যুদ্ধ যা কি না ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের অন্তরকে। এটা আমাদের ঘর পর্যন্ত প্রবেশের পথ করে নিচ্ছে! সবাই চায় তাদের ছেলে-মেয়েদের এসব নোংরামি থেকে যত দুর সম্ভব দুরে রাখতে। তবে যখন তারা স্কুলে যায়, হোকনা সেটা কোনো ইসলামিক স্কুল, খুবই উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, তার কোনো সহপাঠিদের সাথে মিশে এসব নোংরামির স্বীকার হতে পারে। এটা বাস্তব! মোটেই কাল্পনিক কিছু নয়! তাই সবাইকেই সচেতন করতে হবে এই কুৎসিত কদাচার জগত সম্পর্কে যার মুখোমুখি তারা হবেই এক সময়। এর থেকে পালানোর কোনো পথ নেই আসলে। কোনো মুক্তি নেই! আপনারা YouTube এ কোনো ইসলামিক লেকচার যখন শুনেন তখন দেখবেন পাশে দিয়ে রিলেটেড ভিডিও থাকে। সেখানে কোনো না কোনো একটা বাজে কিছু থাকবেই। আর আমার মনে হয় না এটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা। এমন না যে সব কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। আর আমার মনে হয় না এমনি এমনি এসব হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম ও অমুসলিম সন্তানরা আজ এই যুদ্ধের ময়দানে। এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞপান ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এসব জঞ্জাল ছড়ানোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপনের অভাব নেই। আর এটাও বলা যুক্তি সম্মত হবে না যে এসব facebook, twitter, youtube, google এসব আমাদের জন্য হারাম। যারা প্রাপ্তত বয়স্ক আছেন, তারা ইন্ডিয়ান মুভি দেখা বন্ধ করুন ভাই! পুরো পরিবারদ মিলে বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী মিলে যা ইচ্ছে টিভিন সামনে বসে দেখে যাচ্ছেন! আল্লাহ বলেন সূরা নূর, অধ্যায় ২৪, আয়াত ৩০ মুমীন পুরুষদের বল, তারা যাতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানে হেফাজত করে। ঠিক এই ধরনের কথা সূরা নূর, ২৪ নং সূরার ৩১ নং আয়াত, মুমিন নারীদের বলো তারা যাতেতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। দৃষ্টি সংযোত ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করা মানে শুধু এই নয় যে যিনা আর ব্যাবিচার থেকে বিরত থাকে। এর মানে সে সমস্ত জিনিস থেকে বিরত থাকা যা আমাদেরকে প্রোলোভনের দিকে ধাবিত করে। তারা লক্ষ করে, তারা রক্ষা করে, তারা জানে যে লজ্জাবোধ হুমকির মুখে পড়ে। তারা জানে যে কিসে তাদের দুর্বলতা। এবং আকাঙ্খা সম্পর্কে। এই আকাঙ্খা আসলে আল্লাহই আমাদের দিয়েছেন সঙ্গত কারনে। পুরুষ মানুষ যারা আছেন, তারা সকলেই প্রতিদিন প্রতি নিয়ত সবাই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছেন। বিশেষ করে এরকম একটা সময়ে! কিছু জায়গায় এরকম কুরুচি পূর্ণ বিলবোর্ড টঙ্গানোর অনুমতি দেয় না। তারা অবশ্য কোনো বিলবোর্ড টাঙ্গানোরই অনুমতি দেয় না। তবে এই নিয়ম শিঘ্রয়ী পাল্টে যাবে। কারণ শেষ পর্যন্ত সম্রজ্যবাদেরই জয় হয়। কথা হচ্ছে আমরা এমন এক সময়ে বাস করি যেখানে সব কিছু আমাদের সামনে উন্মুক্ত। কোনো কিছুই বাদ নেই, সব কিছু। আর আপনাদের রিতি মতো মরন যুদ্ধ করতে হয় নিজেদের বাচানোর জন্য। আল্লাহ এ বিষয় নিয়ে কুরআনে এতো বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বলার মতো নয়। বেহায়াপনা, যা মানুষকে পশু থেকেও নিচু স্তরে ধাবিত করে। আর আমাদের নুন্যতম কর্তব্য ও দায়িত্ব হলো নিজেদের যাবতীয় নির্লজ্জতা ও বেহহায়াপনা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা। নিজেদের ভিতরে এই প্ররলোচনা বৃদ্ধির যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। জানি অনেকেই আছেন যারা চেষ্টা করছেন এই কুৎসিত কদাচি পূর্ণ জগৎ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। কিন্তু ব্যর্থ হন অনেকেই। আবারো ফিরে যান সে দিকে। আবারো চেষ্টা করেন, আবারো ফেঁসে যান এই চক্রন্তে। কিন্তু হাল ছাড়বেন না। যেখানেই থাকুন একা থাকবেন না। ভালো বন্ধুর সাথে থাকুন। রুমের দরজা বন্ধ করে একা থাকবেন না। দরজার চাবি বন্ধ করে রাখবেন না। সেখানে থাকুন যেখানে আপনার আশে পাশে আরো মানুষ থাকবে। কারণ যখনই আপনি একা থাকবেন, সয়তান আপনাকে একা পেয়ে বসে। আর আল্লার ভয় যদি আপনার মধ্যে যথেষ্ট না থেকে থাকে, তাহলে অন্তত মানুষের ভয়ে যদি কাজ হয়। একা থাকলে সয়তানে ভর করতে পারে সহজে। আর বাবা মা দের বলছি, আপনার বাসায় যেন লেপটপ না থাকে। ডেস্কটপ রাখবেন। অপিসিয়াল কাজের জন্য লেপটপ রাখলেও অন্তত ছেলে মেয়েদের বিনোদন যেমন গেমস খেলা বা এরকম কিছুর জন্য ডেক্সটপ রাখবেন। আর ডেক্সটপও এমন ভাবে রাখবেন, (যেমন: সামনের রুমে, বা খাওয়ার রুমে, রান্না ঘরে রাখবেন, বেড রুমে রাখবেন না) যেন সেটা সবার চোখের সামনে থাকে। বাচ্চাদের যোগাযোগের জন্য স্মার্ট ফোন দিবেন না। সাধারন মোাবইল দিতে পারেন, যেগুলোতে শুধু যোগাযোগই করা যায়, আর কিছু না। এগুলো কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ভাবাই যায় না। আপনার আর আমার তথা সবার যেটা সবচেয়ে দামী সম্পদ, সেটা হচ্ছে আমাদের সদর/হৃদয়/কেন্দ্র। আর এই নির্লজ্জতা আমাদের সদর/হৃদয বা কেন্দ্রকে ধ্বংস করে দেয়। সব চেয়ে মূল্যবান জিনিস ঈমান, আর এসব নোংরা জিনিস আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়। আপনাদের ঈমান কে দুমড়ে মুচড়ে ছিঁড়ে ফেলছে এসব। এরকম টা নিজেদের সাথে হতে দিয়েন না আপনারা। আমি শুধু আপনাদের বলেই যেতে পারবো, আপনাদের কিছু বন্ধ করতে পারবো না। সেটা আপনার নিজেকেই

Written By Unknown on বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ | ১০:২৫ AM


হাবিবুল ইসলাম হাসিব 
 0 টিউমেন্টস  4 দেখা
অন্যান্য
পশ্চিমা কালচার, যা গ্রাস করে যাচ্ছে সারা পৃথিবী কে। আর এই পর্নোগ্রাফী হচ্ছে পশ্চিমাদের একটা ব্যাবসা। একে বানিজ্য হিসেবে নেয় এবং তারা বলে যে, নারীদের পূর্ন অধিকার দিয়ে থাকে তারা। পশ্চিমারা নারীদের যে অধিকার দিয়ে থাকে তা নারীর দেহকে শোষন করে, সম্মানের অবমাননা করে এবং আত্মকে প্রবঞ্চত করে। এই পশ্চিমারা, যারা বলে নারীদের অধিকারকে ইসলামে আরো উন্নত করতে হবে, তারা আসলে নারীদের পরিনত করেছে রক্ষিতাতে, উপপত্নীতে আর রংচঙে প্রজাপতিতে। আর এই নারীরা আসলে পন্য সামগ্রী সেক্সমার্কেটিয়ারদের কাছে, ভোগবিলাসিদের কাছে, যারা লুকিয়ে থাকে আর্ট আর কালচারের রংচঙে পর্দার পিছনে
পুুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে অনুসোচনার জাগলেও জাগতে পারে।
বর্তমানে আমরা বাস করছি চরম নির্লজ্জ্ব একটি পৃথিবীতে। এমন এক পৃথিবীতে, যেখানে আপনি আপনার হাতের মুঠো ফোন দিয়েই যে কোনো ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন অনায়াসে। পর্নোগ্রাফী ইন্ডাট্রি বর্তমানে একটি মাল্ট্রি ট্রিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রী, যার উদ্দেশ্য হলো আমাদের প্রত্যেকে যেন কোনো না কোনো ভাবে এসব নোংরামির ভোক্তা হই। এবং প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশুরর সামনে এসব যেন উন্মোচিত হয়, তা তারা আশা করে। আপনিও দেখবেন এবং পরিনত হবেন আরো একজন ভোক্তায়। এটাই হলো আমাদের সমাজকে দেয়া পর্নোগ্রাফির উপহার। এটা তৈরি করছে অমানুষ। মানুষকে পরিনত করছে পশুতে। যৌনবিকার গ্রস্থ মানুষে। অনেকের মধ্যেই এই আসোক্তি রয়েছে। এসব জঞ্জাল দেখছেন। এবং এই নিয়ে পরে আর আপনাদের খারাপও লাগে না। কারণটাও সাধারন, যে এসব আপনি নিজেই দেখছেন, অন্য কাউকেতো দেখাচ্ছেন না। নিজে নিজে দেখছেন। ব্যাস এটুকু ঠিক আছে। আপনারা নিজেরাই এসবকে মনে মনে নিজেদের জন্য এসব গ্রহনযোগ্য ধরে নিয়েছেন। কিন্তু এসবের ফলে কি হচ্ছে জানেন? ভিতরে ভিতরে আপনার অাত্তা নিঃস্বেশ হয়ে যাচ্ছে। আপনার সালাত হয়ে যাচ্ছে অন্তঃস্বার শূন্য। আপনি আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা চোখের পানিও ফেলতে পারেন না। কারন টা হলো আপনি যে সব নোংরামি দেখেছেন, তারই ফলাফল। এগুলো আপনাদেরকে পরিণত করেছে একটা মানুষ রূপি পশুতে। যার ফলে আপনি এখন স্বাভাবিক ভাবে তাকাতেও পারেন না। যখনই একজন নারী আপনার পাশ দিয়ে যায়, আপনি যেন দেখছেন আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটা মাংসপিন্ড। আপনারর দুই চোখ নিরক্ষণ করে বেড়াচ্ছে প্রত্যেক কে। আপনার হৃদয়ে লেগে যাচ্ছে মোহরের প্রলেপ। তারপর আপনারা কি না জিজ্ঞেস করেন, ভাই সালাতে মনোযোগ আনবো কিভাবে! ভাইয়েরা আমার, বিশেষ করে ভাই দের বলছি, যদিও আমাদের সমাজের ভাই ছাড়াও অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে! এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক ব্যাপার! এই দুনিয়া হয়ে গেছে যুদ্ধ ক্ষেত্র! এই যুদ্ধ যে কোনো সামরিক যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর! এটি সেই যুদ্ধ যা কি না ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের অন্তরকে। এটা আমাদের ঘর পর্যন্ত প্রবেশের পথ করে নিচ্ছে! সবাই চায় তাদের ছেলে-মেয়েদের এসব নোংরামি থেকে যত দুর সম্ভব দুরে রাখতে। তবে যখন তারা স্কুলে যায়, হোকনা সেটা কোনো ইসলামিক স্কুল, খুবই উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, তার কোনো সহপাঠিদের সাথে মিশে এসব নোংরামির স্বীকার হতে পারে। এটা বাস্তব! মোটেই কাল্পনিক কিছু নয়! তাই সবাইকেই সচেতন করতে হবে এই কুৎসিত কদাচার জগত সম্পর্কে যার মুখোমুখি তারা হবেই এক সময়। এর থেকে পালানোর কোনো পথ নেই আসলে। কোনো মুক্তি নেই! আপনারা YouTube এ কোনো ইসলামিক লেকচার যখন শুনেন তখন দেখবেন পাশে দিয়ে রিলেটেড ভিডিও থাকে। সেখানে কোনো না কোনো একটা বাজে কিছু থাকবেই। আর আমার মনে হয় না এটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা। এমন না যে সব কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। আর আমার মনে হয় না এমনি এমনি এসব হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম ও অমুসলিম সন্তানরা আজ এই যুদ্ধের ময়দানে। এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞপান ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এসব জঞ্জাল ছড়ানোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপনের অভাব নেই। আর এটাও বলা যুক্তি সম্মত হবে না যে এসব facebook, twitter, youtube, google এসব আমাদের জন্য হারাম। যারা প্রাপ্তত বয়স্ক আছেন, তারা ইন্ডিয়ান মুভি দেখা বন্ধ করুন ভাই! পুরো পরিবারদ মিলে বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী মিলে যা ইচ্ছে টিভিন সামনে বসে দেখে যাচ্ছেন! আল্লাহ বলেন সূরা নূর, অধ্যায় ২৪, আয়াত ৩০ মুমীন পুরুষদের বল, তারা যাতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানে হেফাজত করে। ঠিক এই ধরনের কথা সূরা নূর, ২৪ নং সূরার ৩১ নং আয়াত, মুমিন নারীদের বলো তারা যাতেতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। দৃষ্টি সংযোত ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করা মানে শুধু এই নয় যে যিনা আর ব্যাবিচার থেকে বিরত থাকে। এর মানে সে সমস্ত জিনিস থেকে বিরত থাকা যা আমাদেরকে প্রোলোভনের দিকে ধাবিত করে। তারা লক্ষ করে, তারা রক্ষা করে, তারা জানে যে লজ্জাবোধ হুমকির মুখে পড়ে। তারা জানে যে কিসে তাদের দুর্বলতা। এবং আকাঙ্খা সম্পর্কে। এই আকাঙ্খা আসলে আল্লাহই আমাদের দিয়েছেন সঙ্গত কারনে। পুরুষ মানুষ যারা আছেন, তারা সকলেই প্রতিদিন প্রতি নিয়ত সবাই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছেন। বিশেষ করে এরকম একটা সময়ে! কিছু জায়গায় এরকম কুরুচি পূর্ণ বিলবোর্ড টঙ্গানোর অনুমতি দেয় না। তারা অবশ্য কোনো বিলবোর্ড টাঙ্গানোরই অনুমতি দেয় না। তবে এই নিয়ম শিঘ্রয়ী পাল্টে যাবে। কারণ শেষ পর্যন্ত সম্রজ্যবাদেরই জয় হয়। কথা হচ্ছে আমরা এমন এক সময়ে বাস করি যেখানে সব কিছু আমাদের সামনে উন্মুক্ত। কোনো কিছুই বাদ নেই, সব কিছু। আর আপনাদের রিতি মতো মরন যুদ্ধ করতে হয় নিজেদের বাচানোর জন্য। আল্লাহ এ বিষয় নিয়ে কুরআনে এতো বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বলার মতো নয়। বেহায়াপনা, যা মানুষকে পশু থেকেও নিচু স্তরে ধাবিত করে। আর আমাদের নুন্যতম কর্তব্য ও দায়িত্ব হলো নিজেদের যাবতীয় নির্লজ্জতা ও বেহহায়াপনা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা। নিজেদের ভিতরে এই প্ররলোচনা বৃদ্ধির যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। জানি অনেকেই আছেন যারা চেষ্টা করছেন এই কুৎসিত কদাচি পূর্ণ জগৎ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। কিন্তু ব্যর্থ হন অনেকেই। আবারো ফিরে যান সে দিকে। আবারো চেষ্টা করেন, আবারো ফেঁসে যান এই চক্রন্তে। কিন্তু হাল ছাড়বেন না। যেখানেই থাকুন একা থাকবেন না। ভালো বন্ধুর সাথে থাকুন। রুমের দরজা বন্ধ করে একা থাকবেন না। দরজার চাবি বন্ধ করে রাখবেন না। সেখানে থাকুন যেখানে আপনার আশে পাশে আরো মানুষ থাকবে। কারণ যখনই আপনি একা থাকবেন, সয়তান আপনাকে একা পেয়ে বসে। আর আল্লার ভয় যদি আপনার মধ্যে যথেষ্ট না থেকে থাকে, তাহলে অন্তত মানুষের ভয়ে যদি কাজ হয়। একা থাকলে সয়তানে ভর করতে পারে সহজে। আর বাবা মা দের বলছি, আপনার বাসায় যেন লেপটপ না থাকে। ডেস্কটপ রাখবেন। অপিসিয়াল কাজের জন্য লেপটপ রাখলেও অন্তত ছেলে মেয়েদের বিনোদন যেমন গেমস খেলা বা এরকম কিছুর জন্য ডেক্সটপ রাখবেন। আর ডেক্সটপও এমন ভাবে রাখবেন, (যেমন: সামনের রুমে, বা খাওয়ার রুমে, রান্না ঘরে রাখবেন, বেড রুমে রাখবেন না) যেন সেটা সবার চোখের সামনে থাকে। বাচ্চাদের যোগাযোগের জন্য স্মার্ট ফোন দিবেন না। সাধারন মোাবইল দিতে পারেন, যেগুলোতে শুধু যোগাযোগই করা যায়, আর কিছু না। এগুলো কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ভাবাই যায় না। আপনার আর আমার তথা সবার যেটা সবচেয়ে দামী সম্পদ, সেটা হচ্ছে আমাদের সদর/হৃদয়/কেন্দ্র। আর এই নির্লজ্জতা আমাদের সদর/হৃদয বা কেন্দ্রকে ধ্বংস করে দেয়। সব চেয়ে মূল্যবান জিনিস ঈমান, আর এসব নোংরা জিনিস আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়। আপনাদের ঈমান কে দুমড়ে মুচড়ে ছিঁড়ে ফেলছে এসব। এরকম টা নিজেদের সাথে হতে দিয়েন না আপনারা। আমি শুধু আপনাদের বলেই যেতে পারবো, আপনাদের কিছু বন্ধ করতে পারবো না। সেটা আপনার নিজেকেই নিজে করতে হবে। আপনার নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনার ঈমান কি আপনার কাছে যথেষ্ট মূল্যবান, আপনার সালাতকি আপনার কাছে যথেষ্ট মূল্যবান? নাকি আপনি এভাবেই ভান করে যাবেন! জযুয়া, যারা পাপের সংস্পর্শে আসলে পুরোরো ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যেতে চায়। তাদের সামনে অনেক কিছুই আসে, তারা তা নিয়ে কাজ করে না। তারা নিজেদের সমস্যাগুলোকেও মোকাবেলা করতে চায় না, নিজেরা পালিয়ে বেড়ায়, এবং তাদের চোখে কোনো পাপ ধরা পড়লেও তা মোকাবেলা না করে কোনো রকম এড়িয়ে চলে। তারা প্রলোভনের কাছে হার মেনে নেয়, তারা দ্রুতই সংবেদনশীল হয়। তারা আসলে মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। নিজেকে জাযুয়িনদের অন্তর্ভুক্তও করবেন না। আমাদের সবাইকে এসব মোকাবেবেলা করতে হবে। এবং এসব মোকাবেলা তখনই সফল হবে যখন আমরা সালাত প্রতিষ্ঠাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হবো।
 0 টিউমেন্টস  4 দেখা
অন্যান্য
পশ্চিমা কালচার, যা গ্রাস করে যাচ্ছে সারা পৃথিবী কে। আর এই পর্নোগ্রাফী হচ্ছে পশ্চিমাদের একটা ব্যাবসা। একে বানিজ্য হিসেবে নেয় এবং তারা বলে যে, নারীদের পূর্ন অধিকার দিয়ে থাকে তারা। পশ্চিমারা নারীদের যে অধিকার দিয়ে থাকে তা নারীর দেহকে শোষন করে, সম্মানের অবমাননা করে এবং আত্মকে প্রবঞ্চত করে। এই পশ্চিমারা, যারা বলে নারীদের অধিকারকে ইসলামে আরো উন্নত করতে হবে, তারা আসলে নারীদের পরিনত করেছে রক্ষিতাতে, উপপত্নীতে আর রংচঙে প্রজাপতিতে। আর এই নারীরা আসলে পন্য সামগ্রী সেক্সমার্কেটিয়ারদের কাছে, ভোগবিলাসিদের কাছে, যারা লুকিয়ে থাকে আর্ট আর কালচারের রংচঙে পর্দার পিছনে
পুুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। মনের মধ্যে অনুসোচনার জাগলেও জাগতে পারে।
বর্তমানে আমরা বাস করছি চরম নির্লজ্জ্ব একটি পৃথিবীতে। এমন এক পৃথিবীতে, যেখানে আপনি আপনার হাতের মুঠো ফোন দিয়েই যে কোনো ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে পারেন অনায়াসে। পর্নোগ্রাফী ইন্ডাট্রি বর্তমানে একটি মাল্ট্রি ট্রিলিয়ন ডলারের ইন্ডাস্ট্রী, যার উদ্দেশ্য হলো আমাদের প্রত্যেকে যেন কোনো না কোনো ভাবে এসব নোংরামির ভোক্তা হই। এবং প্রতিটি নারী, পুরুষ ও শিশুরর সামনে এসব যেন উন্মোচিত হয়, তা তারা আশা করে। আপনিও দেখবেন এবং পরিনত হবেন আরো একজন ভোক্তায়। এটাই হলো আমাদের সমাজকে দেয়া পর্নোগ্রাফির উপহার। এটা তৈরি করছে অমানুষ। মানুষকে পরিনত করছে পশুতে। যৌনবিকার গ্রস্থ মানুষে। অনেকের মধ্যেই এই আসোক্তি রয়েছে। এসব জঞ্জাল দেখছেন। এবং এই নিয়ে পরে আর আপনাদের খারাপও লাগে না। কারণটাও সাধারন, যে এসব আপনি নিজেই দেখছেন, অন্য কাউকেতো দেখাচ্ছেন না। নিজে নিজে দেখছেন। ব্যাস এটুকু ঠিক আছে। আপনারা নিজেরাই এসবকে মনে মনে নিজেদের জন্য এসব গ্রহনযোগ্য ধরে নিয়েছেন। কিন্তু এসবের ফলে কি হচ্ছে জানেন? ভিতরে ভিতরে আপনার অাত্তা নিঃস্বেশ হয়ে যাচ্ছে। আপনার সালাত হয়ে যাচ্ছে অন্তঃস্বার শূন্য। আপনি আল্লাহর ভয়ে এক ফোটা চোখের পানিও ফেলতে পারেন না। কারন টা হলো আপনি যে সব নোংরামি দেখেছেন, তারই ফলাফল। এগুলো আপনাদেরকে পরিণত করেছে একটা মানুষ রূপি পশুতে। যার ফলে আপনি এখন স্বাভাবিক ভাবে তাকাতেও পারেন না। যখনই একজন নারী আপনার পাশ দিয়ে যায়, আপনি যেন দেখছেন আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে একটা মাংসপিন্ড। আপনারর দুই চোখ নিরক্ষণ করে বেড়াচ্ছে প্রত্যেক কে। আপনার হৃদয়ে লেগে যাচ্ছে মোহরের প্রলেপ। তারপর আপনারা কি না জিজ্ঞেস করেন, ভাই সালাতে মনোযোগ আনবো কিভাবে! ভাইয়েরা আমার, বিশেষ করে ভাই দের বলছি, যদিও আমাদের সমাজের ভাই ছাড়াও অনেকেরই এই সমস্যা রয়েছে! এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক ব্যাপার! এই দুনিয়া হয়ে গেছে যুদ্ধ ক্ষেত্র! এই যুদ্ধ যে কোনো সামরিক যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর! এটি সেই যুদ্ধ যা কি না ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের অন্তরকে। এটা আমাদের ঘর পর্যন্ত প্রবেশের পথ করে নিচ্ছে! সবাই চায় তাদের ছেলে-মেয়েদের এসব নোংরামি থেকে যত দুর সম্ভব দুরে রাখতে। তবে যখন তারা স্কুলে যায়, হোকনা সেটা কোনো ইসলামিক স্কুল, খুবই উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে, তার কোনো সহপাঠিদের সাথে মিশে এসব নোংরামির স্বীকার হতে পারে। এটা বাস্তব! মোটেই কাল্পনিক কিছু নয়! তাই সবাইকেই সচেতন করতে হবে এই কুৎসিত কদাচার জগত সম্পর্কে যার মুখোমুখি তারা হবেই এক সময়। এর থেকে পালানোর কোনো পথ নেই আসলে। কোনো মুক্তি নেই! আপনারা YouTube এ কোনো ইসলামিক লেকচার যখন শুনেন তখন দেখবেন পাশে দিয়ে রিলেটেড ভিডিও থাকে। সেখানে কোনো না কোনো একটা বাজে কিছু থাকবেই। আর আমার মনে হয় না এটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা। এমন না যে সব কিছুতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। আর আমার মনে হয় না এমনি এমনি এসব হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মুসলিম ও অমুসলিম সন্তানরা আজ এই যুদ্ধের ময়দানে। এগুলো প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞপান ব্যবস্থা নেই। কিন্তু এসব জঞ্জাল ছড়ানোর জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বিজ্ঞাপনের অভাব নেই। আর এটাও বলা যুক্তি সম্মত হবে না যে এসব facebook, twitter, youtube, google এসব আমাদের জন্য হারাম। যারা প্রাপ্তত বয়স্ক আছেন, তারা ইন্ডিয়ান মুভি দেখা বন্ধ করুন ভাই! পুরো পরিবারদ মিলে বাবা মা ভাই বোন স্বামী স্ত্রী মিলে যা ইচ্ছে টিভিন সামনে বসে দেখে যাচ্ছেন! আল্লাহ বলেন সূরা নূর, অধ্যায় ২৪, আয়াত ৩০ মুমীন পুরুষদের বল, তারা যাতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানে হেফাজত করে। ঠিক এই ধরনের কথা সূরা নূর, ২৪ নং সূরার ৩১ নং আয়াত, মুমিন নারীদের বলো তারা যাতেতে তাদের দৃষ্টি সংযোত রাখে ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। দৃষ্টি সংযোত ও লজ্জা স্থানের হেফাজত করা মানে শুধু এই নয় যে যিনা আর ব্যাবিচার থেকে বিরত থাকে। এর মানে সে সমস্ত জিনিস থেকে বিরত থাকা যা আমাদেরকে প্রোলোভনের দিকে ধাবিত করে। তারা লক্ষ করে, তারা রক্ষা করে, তারা জানে যে লজ্জাবোধ হুমকির মুখে পড়ে। তারা জানে যে কিসে তাদের দুর্বলতা। এবং আকাঙ্খা সম্পর্কে। এই আকাঙ্খা আসলে আল্লাহই আমাদের দিয়েছেন সঙ্গত কারনে। পুরুষ মানুষ যারা আছেন, তারা সকলেই প্রতিদিন প্রতি নিয়ত সবাই এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছেন। বিশেষ করে এরকম একটা সময়ে! কিছু জায়গায় এরকম কুরুচি পূর্ণ বিলবোর্ড টঙ্গানোর অনুমতি দেয় না। তারা অবশ্য কোনো বিলবোর্ড টাঙ্গানোরই অনুমতি দেয় না। তবে এই নিয়ম শিঘ্রয়ী পাল্টে যাবে। কারণ শেষ পর্যন্ত সম্রজ্যবাদেরই জয় হয়। কথা হচ্ছে আমরা এমন এক সময়ে বাস করি যেখানে সব কিছু আমাদের সামনে উন্মুক্ত। কোনো কিছুই বাদ নেই, সব কিছু। আর আপনাদের রিতি মতো মরন যুদ্ধ করতে হয় নিজেদের বাচানোর জন্য। আল্লাহ এ বিষয় নিয়ে কুরআনে এতো বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বলার মতো নয়। বেহায়াপনা, যা মানুষকে পশু থেকেও নিচু স্তরে ধাবিত করে। আর আমাদের নুন্যতম কর্তব্য ও দায়িত্ব হলো নিজেদের যাবতীয় নির্লজ্জতা ও বেহহায়াপনা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা। নিজেদের ভিতরে এই প্ররলোচনা বৃদ্ধির যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। জানি অনেকেই আছেন যারা চেষ্টা করছেন এই কুৎসিত কদাচি পূর্ণ জগৎ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। কিন্তু ব্যর্থ হন অনেকেই। আবারো ফিরে যান সে দিকে। আবারো চেষ্টা করেন, আবারো ফেঁসে যান এই চক্রন্তে। কিন্তু হাল ছাড়বেন না। যেখানেই থাকুন একা থাকবেন না। ভালো বন্ধুর সাথে থাকুন। রুমের দরজা বন্ধ করে একা থাকবেন না। দরজার চাবি বন্ধ করে রাখবেন না। সেখানে থাকুন যেখানে আপনার আশে পাশে আরো মানুষ থাকবে। কারণ যখনই আপনি একা থাকবেন, সয়তান আপনাকে একা পেয়ে বসে। আর আল্লার ভয় যদি আপনার মধ্যে যথেষ্ট না থেকে থাকে, তাহলে অন্তত মানুষের ভয়ে যদি কাজ হয়। একা থাকলে সয়তানে ভর করতে পারে সহজে। আর বাবা মা দের বলছি, আপনার বাসায় যেন লেপটপ না থাকে। ডেস্কটপ রাখবেন। অপিসিয়াল কাজের জন্য লেপটপ রাখলেও অন্তত ছেলে মেয়েদের বিনোদন যেমন গেমস খেলা বা এরকম কিছুর জন্য ডেক্সটপ রাখবেন। আর ডেক্সটপও এমন ভাবে রাখবেন, (যেমন: সামনের রুমে, বা খাওয়ার রুমে, রান্না ঘরে রাখবেন, বেড রুমে রাখবেন না) যেন সেটা সবার চোখের সামনে থাকে। বাচ্চাদের যোগাযোগের জন্য স্মার্ট ফোন দিবেন না। সাধারন মোাবইল দিতে পারেন, যেগুলোতে শুধু যোগাযোগই করা যায়, আর কিছু না। এগুলো কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ভাবাই যায় না। আপনার আর আমার তথা সবার যেটা সবচেয়ে দামী সম্পদ, সেটা হচ্ছে আমাদের সদর/হৃদয়/কেন্দ্র। আর এই নির্লজ্জতা আমাদের সদর/হৃদয বা কেন্দ্রকে ধ্বংস করে দেয়। সব চেয়ে মূল্যবান জিনিস ঈমান, আর এসব নোংরা জিনিস আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দেয়। আপনাদের ঈমান কে দুমড়ে মুচড়ে ছিঁড়ে ফেলছে এসব। এরকম টা নিজেদের সাথে হতে দিয়েন না আপনারা। আমি শুধু আপনাদের বলেই যেতে পারবো, আপনাদের কিছু বন্ধ করতে পারবো না। সেটা আপনার নিজেকেই নিজে করতে হবে। আপনার নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনার ঈমান কি আপনার কাছে যথেষ্ট মূল্যবান, আপনার সালাতকি আপনার কাছে যথেষ্ট মূল্যবান? নাকি আপনি এভাবেই ভান করে যাবেন! জযুয়া, যারা পাপের সংস্পর্শে আসলে পুরোরো ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যেতে চায়। তাদের সামনে অনেক কিছুই আসে, তারা তা নিয়ে কাজ করে না। তারা নিজেদের সমস্যাগুলোকেও মোকাবেলা করতে চায় না, নিজেরা পালিয়ে বেড়ায়, এবং তাদের চোখে কোনো পাপ ধরা পড়লেও তা মোকাবেলা না করে কোনো রকম এড়িয়ে চলে। তারা প্রলোভনের কাছে হার মেনে নেয়, তারা দ্রুতই সংবেদনশীল হয়। তারা আসলে মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত নয়। নিজেকে জাযুয়িনদের অন্তর্ভুক্তও করবেন না। আমাদের সবাইকে এসব মোকাবেবেলা করতে হবে। এবং এসব মোকাবেলা তখনই সফল হবে যখন আমরা সালাত প্রতিষ্ঠাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হবো।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন