Home » » কে এই মহিউদ্দীন চৌঃ

কে এই মহিউদ্দীন চৌঃ

Written By Unknown on সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ | ৩:০৭ AM

কে এই মহিউদ্দিন চৌধুরী
কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি: এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে হোসেন আহমেদ চৌধুরী ও বেদুরা বেগমের ঘরে জন্ম গ্রহন করেন। আট ভাইবোনের মাঝে মহিউদ্দিন মেজ। পিতা চাকরি করতেন আসাম বেঙ্গল রেলওয়েতে। পিতার চাকরির সুবাদে মহিউদ্দিন পড়াশোনা করেছেন মাইজদি জেলা স্কুল, কাজেম আলি ইংলিশ হাই, আর প্রবর্তক সংঘে। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
স্কুল শেষে বাবার আদেশে ভর্তি হয়ে ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোর্সে। সেখানের পাট না চুকিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রামের অন্যতম বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম কলেজে। বছর না ঘুরতেই কমার্স কলেজম, শেষ পর্যন্ত সিটি কলেজ।সিটি কলেজেই তার বিপ্লবী রাজনৈতীক জীবনের হাতেখড়ি। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্র জীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য; মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, যুদ্ধের পর জড়িয়ে পড়েন শ্রমিক লীগের রাজনীতিতে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মহিউদ্দিন চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন। চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু করে ২০০৯ পর্যন্ত কয়েক দফায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের মেয়র নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন মন্ত্রীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের তুলনায় ভোটের ব্যবধানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে পরাজিত হলেও ১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়ে ১৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন। তার মেয়াদে পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ‘অনন্য দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করেছিল বলে অনেকে মনে করেন। বন্দর নগরীর ষোলশহর এলাকায় তার বাসার গলিটি চট্টগ্রামবাসীর কাছে ‘মেয়র গলি’ হিসেবেই পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে নগরীর ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এরপর রাত ৩টার সময় সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
মহিউদ্দিন চৌধুরী কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে রাতেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমান বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তার বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রেখেছিলেন। রাত ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
Be the first of your friends to like this currentnews
551 ,608 likes
Like Page Contact Us
আর্কাইভ Like 84
0 Comments Sort by
Facebook Comments Plugin Oldest
Also post on Facebook
Log In to Post 42

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন