Home » » আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি : তসলিমা

আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি : তসলিমা

Written By Unknown on মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮ | ৮:৩৫ AM


প্রথম সকাল ডটকম ডেস্ক: ক্ষমা করে দিন, আমাকে ক্ষমা করে দিন, মুক্তমনা নির্বাসিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছেন, “এক সময় আমি ব্যক্তিত্ববানদের পেছনে ঘুরেছি।
ব্যক্তিত্বহীনরা আমার পেছনে ঘুরেছে। আমি দৈহিক সম্পর্কে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। সহজেই বুড়ো, মাঝ বয়সী ও প্রবীণ বন্ধুদের নিয়ে দেহজ খেলায় মেতে উঠতাম। কিন্তু এখন দেহজ খেলায় মত্ত থাকার বয়স আর নেই।
সুখের পায়রারা কেউ আজ আর আমার পাশে নেই। তসলিমা আরো বলেন, প্রায় দেড় যুগ ধরে তিনি নির্বাসনে দিনযাপন করছেন। মৌলবাদীদের আর্শীবাদপুষ্ট বিএনপি সরকারও তাকে দেশে ফিরতে দেননি।
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবী করা আওয়ামী লীগ সরকারও তাকে দেশে ফেরার সুযোগ দেননি। তিনি এখন ক্লান্ত। দেশে ফিরতে চান। দেশেই বাকিটা জীবন কাটাতে চান। তসলিমা নাসরিন আগের মতো এখন আর লিখতেও পারছেন না বা লিখছেন না। ‘উতল হাওয়া, ‘আমার মেয়ে বেলা’, ‘ভ্রমর কইও যাইয়া’, বা ‘ক’ -এর মতো বই আর আসছে না।
আগের মতো কাব্যও নেই, কবিতাও না। একাধিক স্বামী ও একাধিক পুরুষের সাথে তার দেহজ সম্পর্কের কথা তিনি বেশ রসিয়ে রসিয়ে লিখেছেন। কিন্তু আজকাল বয়সের কারণে নারী হিসেবে আর এই সম্পর্ক অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তসলিমা এখন হতাশ, চোখের নিচে কালি পড়েছে, চামড়ায় বয়সের চাপ, শরীরের মধ্যে নানারকম ব্যথাতো আছেই।
একাকিত্ব তাকে আরও পঙ্গু করে দিচ্ছে। এমনি অবস্থায় বিদেশের কোথাও থিতু হতেও পারছেন না। দেশে ফেরাও তার জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে গেছে। যেই মৌলবাদীদের ভয়ে তিনি দেশ ছেড়ে ছিলেন, সেই ভয় এখনও তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি টাইমওয়ার্ল্ড এর এক সাক্ষাতকারে তিনি তুলে ধরলেন তার বর্তমানের বিস্তারিত জীবনানুভুতি। সাক্ষাতকারটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলোঃ-
প্রশ্নঃ আপনার কাছে একটা প্রশ্ন। এই যে লেখালেখি করলেন, এর মূল উদ্দেশ্য কি ছিল, দেহের স্বাধীনতা না চিন্তার স্বাধীনতা? তসলিমাঃ প্রশ্নটা আপেক্ষিক। আসলে আমিতো পেশায় ছিলাম চিকিত্সক। আমার বাবা চেয়েছিলেন তার মতো হতে। আমিও অধ্যাপক ডা. রজব আলীর মতো একজন খ্যাতিমান চিকিত্সক হই।
শৈশবে, কৈশোর এবং যৌবনে আমি অনুভব করি, নারীরা আমাদের সমাজে ক্রীতদাসীর মতো। পুরুষরা তাদের ভোগ্যপণ্যের মতো ব্যবহার করে। এ কারণেই বিষয়গুলো নিয়ে প্রথমে লেখালেখির কথা ভাবি।
প্রশ্নঃ স্বাধীনতার দাবিতে কি আপনার এই লড়াই? তাসলিমাঃ আমি প্রথমত নারীর জরায়ুর স্বাধীনতার দাবি তুলি। একজন পুরুষ যখন চাইবে, তখনই তার মনোস্কামনা পূর্ণ করতে ছুটে যেতে হবে। এটা তো হতে পারে না। অথচ তখন ছুটে না গেলে জীবনের সব পূণ্য নাকি শেষ হয়ে যাবে।
চিন্তার স্বাধীনতা না থাকলে ভালো লেখক হওয়া যায় না। দেহের স্বাধীনতার বিষয়টা গৌণ। তবে একেবারে ফেলনা নয়। পুরুষই একচেটিয়া মজা লুটবে, নারী শুধু ভোগবাদীদের কাছে পুতুলের মতো হয়ে থাকবে, এটা মেনে নিতে পারিনি।
পরবর্তী খবর: সারা দেশে উপবৃত্তি পাবে ৬ লাখ শিক্ষার্থী »
মতামত দিন
সংশ্লিষ্ট খবরসমূহ
লাঠি-বল্লমের বিরুদ্ধে লড়ছেন এসপি আমেনা
সফল নারী উদ্যোক্তা হেলেনা জাহাঙ্গীর
কঠোর পরিশ্রমী সেলিনার গল্প
 
© ২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | প্রথমসকাল.কম । Developed by Are You Connected | View Non-AMP Version
This website uses cookies. Accept ►
Ad

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন