মাকে নিয়ে লিখতে আমি পাইনাকোনো ভাষা ,
মায়ের ছিল মানবজয়ী মস্ত ভালোবাসা ,
স্বপ্নজয়ী কর্মপ্রয়াস , চিত্তজয়ী স্নেহ ,
আমরা ছাড়া এমন মাকে আর দেখেনি কেহ ,
কোমল-কঠোর-মজায় ছিলেন অনন্যা এক নারী ,
সুশিক্ষা আর নৈতিকতার আদর্শ কাণ্ডারী ।
মাকে নিয়ে বলতে আমি পাইনা কোনো কথা ,
ডুকরে কাঁদে বুকের ভেতর লক্ষ নিরবতা ,
স্বপ্ন ছিল , ভাবনা ছিল - মাকে অনেক পাবো ,
মায়ের কোলে মাথা রেখেই শেষ শয়নে শোবো ,
ছায়ার মতোন মায়ের সাথে ব্যস্ত থেকে কাজে
সুখ পেয়েছি , প্রাণ পেয়েছি সকাল-দুপুর-সাঁঝে ।
মাকে নিয়ে ভাবতে আমি কষ্ট পাই যে বেশি ,
তাঁর ছেলে তাই আজকে আমি ধন্য বাংলাদেশি ,
বুক ফেটে যায় প্রবল ব্যথায় ভাবতে যখন থাকি
বাপহারাদের জন্য মায়ের কী কাজ ছিল বাকি ;
সারাজীবন লড়াই এবং কষ্ট ভালোবেসে
ছেলে-মেয়ের সুখের আশায় জীবন দিলেন শেষে ।
নানার স্নেহের রাজদুহিতা , বাবার প্রাণের রাণী ,
হঠাৎ বাবার মৃত্যু হলে জমলো চোখে পানি ,
নামলো কঠিন বাস্তবতা , হারলো ভালোবাসা ,
জটিল হলো এতিমগুলোর লেখাপড়ার আশা ,
হারেননি তো মা জননী , বিজয় দিলো উঁকি ,
সূর্যালোকের ভালোবাসায় হাসলো সূর্যমুখী ।
আল্লাহ , আমার মাকে করো অনন্তকাল সুখী ,
মায়ের কবর থাকুক সদাই ভেস্তী আলোকমুখী ,
বসুন্ধরায় কষ্ট যতো গ্রাস করেছে তাঁকে ,
তার কোটিগুণ শান্তি যেন তাঁর কপালে থাকে ,
সব ছেলে আর সকল মেয়ের অতুল গর্ব তিনি ,
অনন্তকাল থাকবো সদাই মায়ের কাছে ঋণী ।
রোজ হাশরের বিচার শেষে অনন্ত সেই কালে
আল্লাহ , আমায় থাকতে দিও মায়ের স্নেহের জালে ,
আব্বা-আম্মা-ছেলে-মেয়ে-নাতনি-নাতিসহ
জীবন যেন হয়ে ওঠে পূর্ণ অর্থবহ ।
মন ভরাবো , প্রাণ জুড়াবো আবার মাকে দেখে -
এই আশাতেই কাটুক সময় সত্যসুধা মেখে ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন