Home » » সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়': প্রধানমন্ত্রী

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়': প্রধানমন্ত্রী

Written By Unknown on মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ৪:০৪ AM

‘সন্ত্রাসবাদের
বিরুদ্ধে বাংলাদেশের
অবস্থান সুদৃঢ়':
প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা :
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ‘সকল
প্রকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’
অবস্থান থেকে সশস্ত্র
বাহিনীকে এগিয়ে যেতে বলেছেন
প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের
প্রতিটি প্রান্তে দ্বিপক্ষীয়,
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার
শান্তিপূর্ণ সমাধানের
প্রতি বাংলাদেশের অবস্থান
এবং ‘সমমর্যাদার
ভিত্তিতে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব,
কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- মূলমন্ত্র
স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায়
আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিশ্ব
শান্তি রক্ষা এবং সকল প্রকার
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের
অবস্থান অত্যন্ত সুস্পষ্ট। আর
সে আদর্শকে সামনে রেখে আমাদের
সশস্ত্র
বাহিনীকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
মঙ্গলবার মিরপুর
সেনানিবাসে ডিফেন্স
সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ
কলেজের ২০১৪-২০১৫ সালের
স্নাতকদের সদনদ বিতরণে সময়
একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর
অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন,
“সশস্ত্র বাহিনী আমাদের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূর্ত
প্রতীক। প্রিয় মাতৃভূমির
স্বাধীনতা রক্ষার সুমহান দায়িত্ব
আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর
ন্যস্ত। এ সুমহান দায়িত্ব পালনের
পাশাপাশি দেশ ও জণগনের
সেবায় আমাদের দেশপ্রেমিক
সশস্ত্র বাহিনী বিভিন্ন
ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক
দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবিলায়ও
প্রশংসনীয় অবদান রাখছেন।
“দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম,
অবকাঠামো নির্মাণ
এবং অন্যান্য জাতিগঠনমূলক
কাজে আমাদের সশস্ত্র
বাহিনী বেসামরিক
প্রশাসনকে প্রয়োজনীয়
সহায়তা দিয়ে আসছে। শুধু দেশেই
নয়, বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সততা,
নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব
পালন করে প্রশংসা ও সুনাম অর্জন
করেছেন।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের
অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন
দেশে শান্তিরক্ষা,
গণতন্ত্রে উত্তরণ, সামাজিক উন্নয়ন,
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনাসহ
পুনর্গঠন কার্যক্রমে বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের
‘তাৎপর্যপূর্ণ’
ভূমিকা এবং সারাবিশ্বে বাংলাদেশের
ভাবমূর্তি ‘আরও উজ্জ¦ল’ করার
কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন,
“বর্তমানে বিশ্ব
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন নতুন
পরিবর্তনের ফলে সামরিক
বাহিনীর ভূমিকা ও
দায়িত্বে এখন যোগ হয়েছে নতুন
মাত্রা ও বহুমাত্রিকতা।
সুতরাং সশস্ত্র বাহিনীর শিক্ষা ও
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও পরিবর্তিত
সময়ের এই চাহিদার প্রতিফলন
থাকা প্রয়োজন।
“সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ
কলেজের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে এ
বিষয়ে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব প্রদান
করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
এরই ধারাবাহিকতায়
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর
কর্মকর্তাদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের
লক্ষ্যে ডিফেন্স সার্ভিসেস
কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ
প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান
তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
“বর্তমানে আমাদের এই স্টাফ
কলেজ আন্তর্জাতিক
পরিমণ্ডলে এক অনন্য
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
হিসেবে পরিচিতি লাভ
করেছে। এ জন্য আমরা গর্বিত।”
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠার পর
থেকে এ পর্যন্ত স্টাফ
কলেজে সেনাবাহিনীর ৩৯টি,
নৌ বাহিনীর ৩৩টি এবং বিমান
বাহিনীর ৩৫টি স্টাফ কোর্স
সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। এর
মধ্যে ৩৭টি বন্ধুপ্রতীম দেশের
৮৬০জন কর্মকর্তাও এ কলেজ
থেকে কোর্স শেষ
করে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন
বাহিনীর দেশি-বিদেশি ২১৪ জন
কর্মকর্তাকে সনদ প্রদান করেন।
এরমধ্যে সেনাবাহিনীর ১২০ জন,
নৌবাহিনীর ২৩ জন,
বিমানবাহিনীর ১৯ জন এবং চীন,
ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব,
মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও
নাইজেরিয়াসহ ২২টি দেশের
সশস্ত্র বাহিনীর ৫২ জন
কর্মকর্তা রয়েছেন।
বাংলাদেশের ১২ জন
নারী কর্মকর্তাও সনদপত্র
পেয়েছেন।
গ্র্যাজুয়েট সনদ
পাওয়া কর্মকর্তাদের অভিনন্দন
জানিয়ে পেশাগত জীবনের
উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন
প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তিসহ
দেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের
চিত্র
তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
“২০২১ সালের আগেই
বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের
দেশে পরিণত
করতে পারবো ইনশাল্লাহ।”
অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয়
নেত্রী রওশন এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান,
ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত
ও হাইকমিশনার এবং উপপদস্থ
সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত
ছিলেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন