Home » , » জেনে নিন, ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি না পাওয়ার ১০টি কারণ

জেনে নিন, ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি না পাওয়ার ১০টি কারণ

Written By Unknown on সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ৩:০৯ AM

জেনে নিন, ব্রণের
সমস্যা থেকে মুক্তি না পাওয়ার
১০টি কারণ
নিউজ ডেস্ক : ব্রণ আমাদের ত্বকের
খুব পরিচিত ও বিরক্তিকর সমস্যা।
ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার
পিছনে ব্রণ দায়ী। কিন্তু কেন
আমাদের ত্বকে ব্রণ হয় বা কেন
এতো যত্ন নেওয়ার পরেও ত্বক
হতে ব্রণের সমস্যা রোধ
হয়না তা আমাদের অনেকেরই
প্রশ্ন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের
খাবার-দাবার, চলা-ফেরা,
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সব কিছুর ওপর
নির্ভর করে ত্বকের স্বাস্থ্য।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনচর্চাই
যদি সুস্থ না হয় তাহলে ত্বক সহ
দেহেও
দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা।
যেহেতু ত্বকের সমস্যা ব্রণ
নিয়ে আমরা সকলেই কম
বেশি চিন্তিত থাকি যে কেন
বার বার দেখা দিচ্ছে ত্বকে এই
সমস্যা। চলুন তাহলে জেনে নিই
ব্রণ রোধ না হওয়ার
পিছনে কারণগুলো।
১নির্দিষ্ট সময়ে বালিশের
কাভার পরিবর্তন না করা:
তোয়ালে ও বালিশের কভার
উভয়ের কারণেই
ত্বকে দেখা দিতে পারে ব্রণ।
কারণ
এগুলোতে থাকে ব্যাকটেরিয়া যার
জন্য ত্বকে সমস্যা হয়ে থাকে। তাই
সপ্তাহে ২ বার তোয়ালে ও
বালিশের কাভার পরিষ্কার
কারুন।
২ ঘন ঘন মুখ ধোয়া:
ত্বকে ব্রণ হওয়ার আরেকটি কারণ
হল ঘন ঘন মুখ ধোয়া। ত্বক পরিষ্কার
থাকলে ব্রণ
হবেনা ভেবে অনেকেই কিছুক্ষণ
পর পর মুখ ধুয়ে থাকেন
এতে করে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল
নষ্ট হয়ে ত্বক খুব শুষ্ক হয়ে যায়
এবং তখন ত্বকে আরও বেশি তেল
উৎপাদন হয়ে ব্রণের দেখা দেয়।
তাই নিয়ম করে মুখ পরিষ্কার করুন।
৩ ত্বকে চাপ প্রয়োগ করা:
যদি আপনি সারাক্ষণ
ফোনে কথা বলেন তাহলে ফোন
ত্বকে চাপ প্রয়োগ করে, ফোনে ও
হাতে থাকে প্রচুর
পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া যা খালি চোখে দেখা যায়না এবং এই
কারণেই ত্বকে ব্রণ হয়ে থাকে।
তাছাড়া অনেক সময়
আমরা গালে বা থুতনিতে হাত
দিয়ে চাপ প্রয়োগ
করে কথা বলি বা চিন্তা করি। এর
জন্য ত্বকে ব্রণ হতে পারে কারণ
হাতে থাকে অনেক জীবাণু।
৪ জামা-কাপড়:
যদি আপনার দেহের ত্বকে ব্রনের
সমস্যা থেকে থাকে তার
মানে এই
সমস্যা দেখা দিচ্ছে জামা-
কাপড়ের জন্য যা আপানি পরিধান
করছেন। আপনার জামা-কাপড়ের
দিকে নজর দিন যদি আপনি খুব
বেশি পরিমাণে সিনথেটিক
জাতীয় জামা পরেন
তাহলে দেহের ত্বকে ব্রণ হওয়ার
সম্ভবনা বেশি থাকে। কারণ এই
জাতীয় কাপড়গুলো দেহের মৃত
কোষ ও ঘাম বের হওয়ার পথ বন্ধ
করে ব্রণের সৃষ্টি করে। দেহের
শ্বাস নেয়া প্রয়োজন তাই,
ঢিলেঢালা ও সুতি জামা-কাপড়
পরা ভালো।
৫ ময়লা মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার
করা:
শেষবার কখন আপনি মেকআপ ব্রাশ
ও স্পঞ্জ পরিষ্কার করেছেন?
আপনি যখন যাই আপনার
ত্বকে ব্যবহার করেন না কেন
তা অবশ্যই পরিষ্কার
করে নেয়া জরুরি। মেকআপ
সামগ্রীগুলো বার বার ব্যবহার
করার ফলে এতে থাকে প্রচুর
পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া যা হতে ত্বকে ব্রণ
হতে পারে। তাই মেকআপ
সামগ্রী সবসময় পরিষ্কার রাখুন
এবং ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।
৬ ত্বকের যত্নে রুটিন
না মেনে চলা:
ত্বক প্রতিদিন সকালে ও
রাতে পরিষ্কার করা, ময়শ্চার
করা জরুরি এবং এটি নিয়মিত
করলে ত্বকের সমস্যা দূরে থাকবে।
কিন্তু যদি কোন
কারণে আপনি ত্বকের যত্ন
নিতে না পারেন
তাহলে ত্বকে দেখা দিতে পারে সমস্যা।
তাই সমস্যার সম্মুখীন
না হয়ে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার
রাখুন।
৭ চুলের যত্নে ব্যবহিত পণ্য:
অনেক সময় চুলের যত্নে ব্যবহিত
পণ্যের কারণেও ত্বকে ব্রণ হয়
থাকে। যে সকল চুলের
পণ্যতে প্লাস্টিসাইসার
(plasticizers) , সিলিকন (silicone) ও
তেল থাকে যার কারণের দেহের
লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়
এবং ত্বকে সমস্যা দেখা দেয়। এই
সমস্যা রোধ করার জন্য চুলের
যত্নে এই পণ্যগুলো না ব্যবহার করাই
উত্তম।
৮ দেহের হরমোন:
পিরিয়ডের সময় যদি আপনার
ত্বকে ব্রণ
হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে দেহে হরমোনের
সমস্যার কারণেই ব্রন হচ্ছে। এই
সমস্যায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল
খেলে উপকার পাওয়া যায়
তবে অবশ্যই ডাক্তারের
সাথে পরামর্শ
করে নেয়া ভালো।
৯ ঘুমের সমস্যা:
স্ট্রেস এবং ঘুমের সমস্যার
কারণেও ত্বকে ব্রন হতে পারে।
তাই চেষ্টা করুন স্ট্রেসমুক্ত
থাকতে এবং প্রতিদিন ৮
ঘন্টা ঘুমাতে। স্ট্রেস আমাদের
ত্বকে গঠনে খারাপ প্রভাব
ফেলে এবং ব্রণের
সমস্যা তৈরি করে আর ঘুমের
সমস্যার কারণে আমাদের
দেখতে আরও বেশি স্ট্রেসড
লাগে।
১০ অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত
খাবার খাওয়া:
ত্বকের ব্রণের আক্রমন
দেখা দিতে পারে ডায়েট
মেন্যুর কারণে। যদি খুব
বেশি পরিমাণে তৈলাক্ত
খাবার খেয়ে থাকেন
তাহলে ত্বকও তৈলাক্ত
হবে বেশি এবং ব্রণ হবে । তাই
চেষ্টা করুন তৈলাক্ত খাবার
এড়িয়ে চলতে যেমন- পিজা, ফাস্ট
ফুড এগুলো ত্বক অনেক
বেশি তৈলাক্ত করে ফেলে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন