Home » » রাষ্ট্রদ্রোহীতার দায়ে একাধিক মামলায় যেকোন সময়ে গ্রেফতার হতে যাচ্ছেন মান্না

রাষ্ট্রদ্রোহীতার দায়ে একাধিক মামলায় যেকোন সময়ে গ্রেফতার হতে যাচ্ছেন মান্না

Written By Unknown on সোমবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ৩:২২ AM

রাষ্ট্রদ্রোহীতার
দায়ে একাধিক
মামলায় যেকোন
সময়ে গ্রেফতার
হতে যাচ্ছেন
মান্না
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,
জাহাঙ্গীর আলম:
যে-কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার
হতে পারেন নাগরিক ঐক্যের
আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান
মান্না। মাহমুদুর রহমান
মান্নার সাথে বিএনপি ভাইস-
চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন
খোকার ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ
চান মান্না’ শীর্ষক
একটি টেলিকথন ফাঁস হওয়ার
প্রেক্ষাপটে গ্রেফতারের
ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছেন
রাজনীতিসংশ্লিষ্ট অনেকেই
।রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র,
রাষ্ট্রদ্রোহীতা এবং কিলিং পলিট্রিক্সে বিএনপির
নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয়
জোটকে ইন্ধন দেওয়ার
অভিযোগে তাকে গ্রেফতার
করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এমন সম্ভাবনা প্রবল
হয়ে উঠেছে ।
গতরাতে ফোনালাপটি প্রথম
একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রকাশের
পর
মান্নাকে রাষ্ট্রদ্রোহী সাব্যস্ত
করে সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমগুলোতেও বিভিন্ন
ব্যাক্তি ও সংগঠনের পক্ষ
থেকে তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের
দাবী উঠে ।
তবে মান্নার পক্ষে এসব
অভিযোগ উড়িয়ে দেবার
সংখ্যাও নেহায়েত কম নয় ।
অনেকেই দাবী করেছেন
মান্নাকে ফাঁসাতেই
একটি শ্রেনী এই ‘
সাজানো নাটকের’
অবতারনা করেছেন ।
এদিকে, দেশদ্রোহিতার
অভিযোগে, সারাদেশের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মান্নাকে অবাঞ্ছিত
ঘোষণা করে গণধোলাইয়ের
ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অপরাজেয় বাংলার
পাদদেশে আজ সোমবার
দুপুরে এক বিক্ষোভ
সমাবেশে ছাত্রলীগের
সাধারণ সম্পাদক
সিদ্দিকী নাজমুল আলম এমন
ঘোষণা দেন। বিএনপি-
জামায়াতের হরতাল-অবরোধের
নামে পেট্রোলবোমা হামলা,
মানুষ হত্যাসহ নৃশংসতার
প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ
মিছিল করা হয়।
সুত্রমতে, ইতমধ্যে সরকারের
উচ্চপর্যায়ের
নির্দেশে মান্নাকে একপ্রকার
‘নজরবন্দী’
করেছে সরকারি একাধিক
সংস্থার সদস্যরা। সরকারের
উচ্চপর্যায়ের চূড়ান্ত
নির্দেশ পেলে আজ সোমবারই
গ্রেফতার হতে পারেন তিনি।
গ্রেফতারের আগে তার
বিরুদ্ধে দায়ের
করা হতে পারে একাধিক মামলা।
আওয়ামী লীগের
রাজনীতিসংশ্লিষ্ট একাধিক
সূত্র রোববার রাতে এমনই
আভাস দিয়েছে।
সূত্রমতে,
মান্নাকে গ্রেফতারের
ক্ষেত্রে মোক্ষমঅস্ত্র
সরকারের
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেই
রয়েছে। রোববার সন্ধ্যার পর
ফাঁস হওয়া মান্নার গোপন
কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস
হয়ে সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের পর
এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
হাতে রয়েছে।
ওই কথোপকথনে মান্না ঢাকার
সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস
চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন
খোকার সঙ্গে যে আলাপ
করেছেন,
তাতে কিলিং পলিট্রিক্সে ইন্ধন
দেওয়ার
স্বীকারোক্তি রয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাত অন্য এক
ব্যক্তির সঙ্গে মান্নার
গোপন
আলাপে রাষ্ট্রদ্রোহীতার
কথা আছে। ভাইবার ও
ফোনালাপের গোপন আলাপের
রেকর্ড পরীক্ষা-
নীরিক্ষা করে ওইকণ্ঠ
যে মান্নারই ছিল, তাও স্পষ্ট
হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র আরও জানিয়েছে, শুধু
খোকা ও অজ্ঞাত ব্যক্তির
সঙ্গেই নয়,
সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে বিএনপির
আরও একাধিক নেতার
সঙ্গে যোগাযোগের তথ্যও
আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
কাছে। গত ৪
জানুয়ারি রাতে গণফোরাম
সভাপতি ড. কামাল হোসেনের
বেইলি রোডের বাসায় বৈঠকের
পর ঢাকা মহানগর বিএনপির
সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আবদুল
আউয়াল মিন্টুর সঙ্গেও তার
কথা হয়েছে বলে তথ্য
আছে সরকারের একটি সংস্থার
কাছে।
বিরোধীজোটের আন্দোলন
তীব্র করতে মাহমুদুর রহমান
মান্না ওইদিন মিন্টুর
মাধ্যমে খালেদা জিয়ার
কাছে বিশেষ
বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলেও
তথ্য আছে সংশ্লিষ্টদের
কাছে। মান্নার পরামর্শে ওই
রাতে বেইলি রোডের বাসায়
গিয়ে ড. কামাল হোসেনের
সঙ্গে মিন্টু বৈঠকও
করেছিলেন।
খোকা-মান্নার
কথোপকথন ফাঁস:
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ
চান মান্না’
অজ্ঞাত ব্যাক্তির
সাথে কথোপকথন ফাঁস:
‘জেনারেলদের
সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন