Home » » ঋণখেলাপি মামলায় খালেদা ও কোকোর স্ত্রী-কন্যাকে হাজিরের নির্দেশ

ঋণখেলাপি মামলায় খালেদা ও কোকোর স্ত্রী-কন্যাকে হাজিরের নির্দেশ

Written By Unknown on রবিবার, ২২ মার্চ, ২০১৫ | ৫:০৬ AM

ঋণখেলাপি মামলায়
খালেদা ও কোকোর
স্ত্রী-কন্যাকে
হাজিরের নির্দেশ
ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া, তার ছোট
ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান
কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান
এবং কোকোর দুই কন্যা জাফিয়া ও
জাহিয়া রহমানকে আদালতে
হাজির হতে বলা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি
ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা
ঋণখেলাপির এই মামলায় ১২
এপ্রিল স্বশরীরে অথবা
আইনজীবীর মাধ্যমে খালেদা,
তার পুত্রবধূ ও নাতনিদের হাজির
হওয়ার আদেশ দেন আদালত।
রোববার ঢাকার প্রথম অর্থঋণ
আদালতের বিচারক ফাতেমা
ফেরদৌস এ আদেশ দেন। এরই মধ্যে
তার সই করা সমন খালেদা জিয়ার
গুলশান কার্যালয়ে পাঠানো
হয়েছে।
আজ সোনালী ব্যাংকের
আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন
সমন জারির আবেদন জানান।
তিনিসহ বাদীপক্ষে
অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম
ও বিবাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট
জয়নুল আবেদিন মেজবাহ
শুনানিতে অংশ নেন।
শুনানি শেষে সমন জারির পর
আদালত শেষবারের মতো
আসামিপক্ষকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত
সময় দিয়ে বলেছেন, হাইকোর্টের
আদেশ দাখিল করা না হলে ওইদিন
ইস্যু গঠন করা হবে।
মামলার এজাহার থেকে জানা
যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি
বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের
পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের
জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে
সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের
আবেদনে উল্লেখ করা ঋণ মঞ্জুর
করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর
বিবাদীদের আবেদনক্রমে
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ
তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে
বিবাদীদের আবেদনের
পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও
ঋণ পুনঃতফসিলীকরণও করে দেয়।
কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না
করে বার বার কালক্ষেপণ করতে
থাকেন। এরপর ২০১০ সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে
ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের
চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও
তারা পরিশোধ করেননি। ২০১৩
সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯
লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা
ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার
প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি
দায়ের করেন সোনালী
ব্যাংকের স্থানীয় শাখার
সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল
ইসলাম। গত ২৪ জানুয়ারি আরাফাত
রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত
হয়ে মালয়েশিয়ার একটি
হাসপাতালে মারা যান।
এ মামলায় অপর বিবাদীরা হলেন-
বিএনপির সিনিয়র ভাইস
চেয়ারম্যান তারেক রহমান, শামস
এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার,
সুমাইয়া এস্কান্দার, শাহীনা
ইয়াসমিন, বেগম নাসরিন আহমেদ,
কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন
নাহার ও মাসুদ হাসান। মামলার ১০
নম্বর বিবাদী মোজাফ্ফর আহমেদ
মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন
নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে
এ মামলায় বিবাদী করা হয়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন