Home » , » গরু পাচার বন্ধ হলে প্রতি বছর ভারতের ক্ষতি হবে ৩১,০০০ কোটি রুপির বেশি।

গরু পাচার বন্ধ হলে প্রতি বছর ভারতের ক্ষতি হবে ৩১,০০০ কোটি রুপির বেশি।

Written By Unknown on বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫ | ১০:৫১ PM

গরু পাচার বন্ধ হলে প্রতি বছর
ভারতের ক্ষতি হবে ৩১,০০০
কোটি রুপির বেশি।
ডেস্ক রিপোর্ট
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
নয়াদিল্লি: ভারতের কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিএসএফ
জওয়ানদের উদ্দেশে বলেছেন,
বাংলাদেশে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ
করে দিতে হবে যাতে
বাংলাদেশিরা গরুর মাংস খাওয়া
ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক
প্রদিবেদনে বলা হয়, বিএসএফ জওয়ানরা
সত্যিই যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ
পালন করেন তবে প্রতি বছর ভারতের
ক্ষতি হবে ৩১,০০০ কোটি রুপির বেশি।
এই ক্ষতি এ কারণে হবে যে ভারতের
বিভিন্ন গোশালায় যে সোয়া কোটি
গরু রয়েছে তাদেরকে
স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু পর্যন্ত লালন-
পালন করতে হবে।
ভারতের শিশুদের পুষ্টির জন্য ‘সমন্বিত
শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ভারত
সরকার যে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে এই অর্থ ঠিক
তার চারগুণ।
ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি
দৈনিকটি জানায়, প্রতি বছর ভারত
থেকে প্রায় ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে
পাচার হয়। অভিযোগ রয়েছে যে
সীমান্তরক্ষীদের সাথে লেনদেনের
বিনিময়ে এই পাচারকাজ সম্পন্ন হয়।
কাজেই অর্থের কারণে হলেও এই
পাচার বন্ধ সম্ভব নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের গরুর ওপর
ভিত্তি করে বাংলাদেশে কোটি
কোটি টাকার গরুর মাংসের
প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে উঠেছে।
নিয়মিত ভারতীয় গরুর মাংস খাওয়ার
সামর্থ্য খুব কম বাংলাদেশিরই আছে।
তারা উৎসবাদিতে গরুর মাংস খেয়ে
থাকে। ভারতীয় গরুর মাংস
প্রক্রিয়াজাতকরণে শেষে উপসাগরীয়
দেশগুলোতে রপ্তানি হয়।
কিভাবে এলো ৩১০০০ কোটি রুপির
হিসাব
ভারতে গরুর গড় আয় সাধারণত ১৫-২০ বছর।
তবে আয়ু শেষ হওয়ার ৫ বছর আগ থেকেই
ওই গরুর দুধ নেয়া বন্ধ করে দেয় ডেইরি
ফার্মগুলো। প্রতি বছর বাংলাদেশে
পাচার হয় ২৫ লাখ গরু। যদি পাচার
একেবারেই বন্ধ করে দেয়া হয় তবে
অকর্মণ্য সোয়া কোটি গরুকে
স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত লালন-পালন
করতে হবে। একটি গরু লালন-পালনের
জন্য রাখালের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ,
খাবার কেনা ইত্যাদি বাবদ বছরে খরচ
হয় ২৫০০০ রুপি। ফলে সর্বসাকল্যে ক্ষতির
পরিমাণ দাঁড়াবে ৩১,২৫০ কোটি রুপি
(প্রায় ৩৯,০০০ কোটি টাকা)।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারত
সীমান্তের প্রহরারত বিএসএফ
জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বুধবার রাজনাথ
বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে যে
বিএসএফের কড়া নজরদারিতে গরু
পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর
বাংলাদেশে সম্প্রতি গরুর মাংসের
দাম ৩০ ভাগ বেড়ে গেছে।’
‘আপনারা নজরদারি আরো বাড়িয়ে
দিন যাতে গরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে
যায় এবং বাংলাদেশে গরুর মাংসের
দাম আরো ৭০-৮০ শতাংশ বেড়ে যায়
যাতে বাংলাদেশের মানুষ গরুর
মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়,’ যোগ করেন
রাজনাথ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন