Home » » যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক শুনানিতে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা :

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ বিষয়ক শুনানিতে সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা :

Written By Unknown on শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫ | ১০:২৯ PM

যুক্তরাষ্ট্রে
বাংলাদেশ বিষয়ক
শুনানিতে সামরিক
হস্তক্ষেপের আশঙ্কা :
হাসিনার কর্তৃত্ববাদী
দৃষ্টিভঙ্গি রাজনীতি
আরও সহিংস রূপ পাবে
বিরোধী হাজার হাজার
নেতাকর্মীকে ছেড়ে দিতে
সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
সৃষ্টির পক্ষে মত
ডেস্ক রিপোর্ট
« আগের সংবাদ পরের সংবাদ»
বাংলাদেশে সামরিক
হস্তক্ষেপের আশঙ্কা প্রকাশ
করেছে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র
বিষয়ক কমিটির সাব কমিটি।
শেখ হাসিনা যে কর্তৃত্ববাদী
দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ শাসন
করছেন তাতে যদি আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায় বাধা না দেয়, তাহলে
বাংলাদেশের রাজনীতি আরও
সহিংস রূপ পাবে -এমন মন্তব্যও
করেন কমিটির এক সদস্য।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অঞ্চল সম্পর্কিত সাব কমিটির এক
শুনানিতে কমিটির চেয়ারম্যান
রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেস সদস্য
ম্যাট স্যালমন বলেন, পরিস্থিতি
উপলব্ধি করে গণতন্ত্রের
স্বার্থে বাংলাদেশের প্রধান
দুই দলের সংলাপে বসা উচিৎ।
বৃহস্পতিবার এ শুনানী অনুষ্ঠিত
হয়। ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল
হিলে ‘বাংলাদেশ’স ফ্র্যাকচার:
পলিটিক্যাল অ্যান্ড
রিলিজিয়াস এক্সট্রিমিজম’
শীর্ষক এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশের চলমান
পরিস্থিতি নিয়ে পাঁচজন
বক্তৃতা করেন। শুনানিতে বক্তরা
গণতন্ত্রের স্বার্থে
বাংলাদেশের প্রধান দুই দলের
সংলাপে বসা উচিৎ বলেও মত দেন।
রাজনৈতিক সহিংসতা ও
দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক
অচলাবস্থা ২০০৭ সালের মতো আবারও
বাংলাদেশকে সামরিক
হস্তক্ষেপের পথে নিয়ে যেতে
পারে বলে শুনানিতে মন্তব্য
করেন হেরিটেজ ফাউন্ডেশন, ডেভিস
ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল
সিকিউরিটি অ্যান্ড ফরেন পলিসি
ও এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের
সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা
কার্টিস লিসা কার্টিস।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে
কর্তৃত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে
দেশ শাসন করছেন তাতে যদি
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাধা না
দেয়, তাহলে বাংলাদেশের
রাজনীতি আরও সহিংস রূপ পাবে।
বিরোধী দলের যে হাজার হাজার
রাজনৈতিক কর্মী কারাগারে আছে,
তাদের ছেড়ে দিতে অথবা সুষ্ঠু
আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার
শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারকে
যুক্তরাষ্ট্রের চাপ দেওয়া ‘উচিৎ’
বলেও শুনানিতে তিনি মত দেন
লিসা কার্টিস।
এ সময় তিনি নিরপরাধ পথচারীদের
হত্যার ঘটনায় যারা দায়ি, বিশেষ
করে পেট্রোল বোমা ছুড়ে হত্যার
ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরও বিচারের
মুখোমুখি করা প্রয়োজন বলেও মত
দেন।
বাংলাদেশে মানাবাধিকার লঙ্ঘন
বন্ধ করা, সব দলের জন্য রাজনৈতিক
মত প্রকাশ ও কর্মকাণ্ডের সমান
অধিকার নিশ্চিত করা,
বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ
রাষ্ট্রের অতিরিক্ত বল
প্রয়োগের অবসান, রাজনৈতিক
উদ্দেশ্য হাসিলে বিরোধীসহ
সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার
কথা বলেন ইলিনয় স্টেট
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও
রাজনীতি বিভাগের প্রধান
অধ্যাপক আলী রিয়াজ
শুনানি শেষে আলী রিয়াজ বলেন,
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে। এই
প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রশাসন
সমস্যার কারণ এবং তা থেকে
উত্তরণে কী করা উচিত-তা বোঝার
চেষ্টা করছে। এ কারণেই শুনানির
আয়োজন।
আবার যদি অনির্বাচিত কোনো
সরকার ক্ষমতায় বাংলাদেশে আসে
তাহলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন
দুই দলের শীর্ষ নেতারা। তাই
নিজেদের স্বার্থে হলেও
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে
নিতে তারা যেন আলোচনায় বসেন,
সে বিষয়েও শুনানিতে বক্তারা
তাগিদ দেয়া হয় বলে যোগ করে আলী
রিয়াজ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন