Home » » আল্লাহ দয়াময়! কারও শাদি যেন এমন ভয়ঙ্কর না হয়

আল্লাহ দয়াময়! কারও শাদি যেন এমন ভয়ঙ্কর না হয়

Written By Unknown on সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ | ৫:৩৬ AM


গতকাল সকালে ছিল বিয়ের অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় ভোজসভা। আর আজ কিনা ভারতের কবিনগরের ছোট অবিন্যস্ত ফ্ল্যাটের বেতের চেয়ারে বসে হাউমাউ করে কাঁদছেন ৩০ বছরের পাত্র মনসুর হারাত খান। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলছেন, আল্লাহ দয়াময়! আর কারও শাদি যেন এমন ভয়ঙ্কর না হয়।
সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মনসুর হারাত খান। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এমবিএ। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির এইচআর ম্যানেজার। যুবকটির অপরাধ, তিনি বিয়ে করেছেন ২৮ বছরের এক হিন্দু পাত্রী নুপূর সিঙ্ঘলকে। গতকাল বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে ভারতের গাজিয়াবাদ আদালতে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সন্ধ্যায় রাজনগরে মেয়ের বাড়িতে ছিল বিয়ের রিসেপশন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ছেলে মেয়ের দুজনে প্রথমে প্রেম ছিল। তার পর দুই পরিবারের সম্মতি নিয়েই বিয়ে। কোথাও কোনও ঝামেলা ছিল না। কিন্তু খোঁজ রাখছিল হিন্দুত্বের ঠিকাদাররা। দুপুর বারোটাতেই মেয়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। বজরং দল, ধর্ম জাগরণ মঞ্চ, হিন্দু রক্ষা দল ইত্যাদি নানা গোষ্ঠীর লোকজন বিক্ষোভ করে। তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপির গাজিয়াবাদের শহর-সভাপতি অজয় শর্মা।
মেয়ের বাবা পুষ্পেন্দ্র সিঙ্ঘল গতকাল কবিনগর থানায় এফআইআর করেছেন। আজ পাড়া শান্ত। তবু মনসুর বললেন, ‘আজও বিজেপি কর্মীরা বাড়ি এসে বলে গিয়েছে, পুলিশকে দিয়ে ধর্ষণের মামলা করিয়ে দেব।
১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে মুসলিম ছেলেটি স্থানীয় বিবাহ রেজিস্ট্রারের কাছে বিয়ের অনুমতি চেয়েছিলেন। দুই পরিবারের লিখিত সম্মতি জানানো হয়েছে এক মাস আগেই। আইন অনুসারে সরকার কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানতে চেয়েছে, কারও কোনও আপত্তি আছে কি না? কেউ আপত্তি জানাননি। অথচ এখন এই আপত্তি।
স্থানীয় পুলিশ সুপার অশোক তোমর বললেন, দুজনের বাড়ির বাইরে পুলিশ মোতায়েন করেছি। আজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ পাত্রীপক্ষের সঙ্গে বজরং দলের নেতাদের বৈঠক করিয়েছে। বিশেষ লাভ হয়নি। যত বলা হয়েছে এ তো দুটো পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যাপার। হিন্দুত্ব বাহিনী বলেছে, না, এ হল রাষ্ট্রবিরোধিতা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা,

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন