Home » » পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ছিলেন। শরিফুল ইসলাম সোমবার বিকেলে সন্তানদের হাতে পিটুনির শিকার

পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ছিলেন। শরিফুল ইসলাম সোমবার বিকেলে সন্তানদের হাতে পিটুনির শিকার

Written By Unknown on বুধবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ | ৩:৫৩ AM

রিমন রহমান,
গোদাগাড়ী (রাজশাহী)
প্রতিনিধি:
রাজশাহীর
গোদাগাড়ী উপজেলায় চার
সন্তানের
বিরুদ্ধে পিতাকে পিটিয়ে হত্যার
অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত
ব্যক্তির নাম শরিফুল ইসলাম (৫৭)।
তিনি পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য
ছিলেন। শরিফুল ইসলাম সোমবার
বিকেলে সন্তানদের
হাতে পিটুনির শিকার
হয়ে গতকাল বুধবার
ভোরে মারা যান। এ ঘটনায়
গোদাগাড়ী থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের
করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,
উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের
বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম দু’বছর
আগে জোসনা বেগম নামে এক
নারীকে দ্বিতীয়
বিয়ে করে আগের
স্ত্রী খাদিজা বেগম ও তাঁর চার
ছেলে মেয়েকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত
করেন। বিতাড়িত হয়ে প্রথম
স্ত্রী খাদিজা বেগম পাশের
গ্রামে এক আত্বীয়ের
বাড়িতে ছেলে মেয়েদের
নিয়ে থাকতেন।
পরে গত সোমবার শরিফুল ইসলামের
সন্তানেরা বাড়ির
পাশে একটি জমিতে ঘর
তুলতে গেলে বাঁধা দেন শরিফুল
ইসলাম। এক
পর্যায়ে ছেলে মেয়েদের
সঙে তাঁর সংঘর্ষ বাঁধে।
এতে সন্তানদের পিটুনিতে শরিফুল
ইসলাম আহত হলে তাঁর সন্তানেরাই
তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল
কলেজ (রামেক)
হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে চিকিৎসা শেষে তাঁকে রাতেই
বাড়িতে নিয়ে যায় তাঁর
সন্তানেরা। পরে বুধবার ভোররাত
৪টার দিকে আবারো অসুস্থ্য
হয়ে পড়েন শরিফুল ইসলাম।
এসময় তাঁর
সন্তানেরা তাঁকে আবারো রামেক
হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত
চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত
ঘোষণা করেন।
পরে বুধবার দুপুরে পুলিশ নিহতের
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এর আগে সকালে নিহতের মেজ
ছেলে আবু সাঈদকে (২৭) পুলিশ
গ্রেপ্তার করে। তবে ঘটনার পর
থেকে পলাতক
রয়েছে শরিফা খাতুন (৩০),
শিরিনা খাতুন (২৫) ও সজল
আলী (২২) নামে নিহতের আরও
তিন সন্তান।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ
জানান, শরিফুল ইসলাম
মারা যাওয়ার পর তাঁর দ্বিতীয়
স্ত্রী জোসনা বেগম সন্তানদের
আসামী করে বুধবার দুপুরে থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের
করেছেন।
পলাতক আসামীদের
গ্রেপ্তারে পুলিশ
ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন