Home » » টাঙ্গাইলে আট ঋষির ইসলাম ধর্ম গ্রহনে আলোড়ন

টাঙ্গাইলে আট ঋষির ইসলাম ধর্ম গ্রহনে আলোড়ন

Written By Unknown on মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০১৫ | ৪:৫২ AM

টাঙ্গাইলে আট
ঋষির ইসলাম ধর্ম
গ্রহনে আলোড়ন
টাঙ্গাইল, ১৭ মার্চ- টাঙ্গাইলের হিন্দু
ধর্মাবলম্বী ঋষি সম্প্রদায়ভুক্ত একই
পরিবারের আট সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করে টাঙ্গাইলে আলোড়ন সৃষ্টি
করেছেন। প্রতিদিনি তাদের দেখতে
শত শত লোক তাদের বাড়ি ভিড়
জমাচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার
দেওলাবাড়ি ইউনিয়নের দয়াকান্দি
গ্রামেতাদের বাড়ি। দুই সপ্তাহ
আগেও তারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী ঋষি
সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। এখন এলাকায়
তারা নও মুসলিম পরিবার।
জানা গেছে, ১ মার্চ পরিবারের সব
সদস্য টাঙ্গাইলের নোটারি
পাবলিকের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ
করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম
গ্রহণের পরই তাদের বাড়িতে উৎসুক
জনতার ভিড় করছে। নও মুসলিম
পরিবারটি গ্রামের পুরানো
বাসিন্দা হলেও তাদের সাথে নতুন
করে পরিচিত হচ্ছে এলাকাবাসী।
ইসলাম গ্রহণের পর একই গ্রামের
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ফরমান খান তাদের
থাকার জন্য কিছু জমি দান করেছেন।
সেই জমিতেই তারা ঘর নির্মাণ
করেছেন।
পরিবার প্রধান খগেন ঋষি বলেন,
আমার পরিবারের আট সদস্যই হিন্দু ধর্ম
ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।
খগেন ঋষি (৫০) তার নাম পরিবর্তন করে
আবদুর রহমান রেখেছেন। একইভাবে
তার পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম
পরিবর্তন করা হয়েছে।
খগেনের স্ত্রী পূর্ণি ঋষির (৪২) নাম
রাখা হয়েছে ফাতেমা বেগম, বড়
ছেলে কার্তিক ঋষির (৩২) নাম রাখা
হয়েছে আবদুল্লাহ, মেজো ছেলে
মিলন ঋষির (২৫) বর্তমান নাম জাহিদুল
ইসলাম, ছোট ছেলে সুশান্ত ঋষির (১০)
বর্তমান নাম নাসির উদ্দিন, মেয়ে
শিলা ঋষির (৮) নাম পরিবর্তন করে
রাখা হয়েছে মরিয়ম খাতুন, বড় ছেলে
কার্তিকের স্ত্রী লক্ষ্মী ঋষির (২২)
নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে
আয়েশা খাতুন এবং তার মেয়ে
সোনালী ঋষির (৫) নাম পরিবর্তন করে
আমেনা রাখা হয়েছে।
নও মুসলিম আবদুর রহমানের ছেলে
আবদুল্লাহ জানান, তিনি গত পাঁচ বছর
দুবাই প্রবাসী ছিলেন। সেখানে
থাকা অবস্থায় তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ
করেন। দেশে ফেরার পর তিনি তার
পরিবারের সকল সদস্যকে ইসলাম ধর্ম
গ্রহণে উৎসাহিত করেন। তার
ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল নোটারি
পাবলিকের মাধ্যমে পরিবারের সব
সদস্যই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
এ উপলক্ষে গত শুক্রবার গ্রামবাসী
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এ পরিবারটিকে
আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন।
উপজেলার পাকুটিয়া বটতলা
মসজিদের ইমাম মওলানা ইউসুফ আলী
তাদের কালেমা পাঠ করান।
একই সঙ্গে ওইদিন পরিবারের পুরুষ
সদস্যরা স্থানীয় মসজিদে জুমার
নামাজ আদায় করেন। বিবাহিত
দম্পতিদের ইসলাম ধর্মীয় রীতি
অনুসারে পুনঃবিবাহ পড়ানো হয়। নও
মুসলিম আবদুল্লাহ ইসলামের অনুশাসন
পালনে সবার সহযোগিতা কামনা
করেছেন।
১৭ মার্চ ২০১৫/০৩:০০পিএম/চৈতি/

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন