Home » » রাছুল সা. এর ইসলামে মুত’আ কি বৈধ?

রাছুল সা. এর ইসলামে মুত’আ কি বৈধ?

Written By Unknown on মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫ | ১২:৩৪ AM

রাছুল সা. এর ইসলামে মুত’আ
কি বৈধ?
২০১৫ জানুয়ারি ২৬ ০০:১৮:২৪
ফকির উয়ায়ছী:
ইসলাম অর্থ শান্তি এর মধ্যে কোন
দ্বিমত করার সুযোগ নাই।
যদি মানুষের কোন কর্মে মিথ্যার
সাহায্য নিতে হয়; যে কোন
কারণে বা শান্তি রক্ষার জন্য
সেটা বৈধ কাজ হতে পারে না।
আমি এক কথায় বলতে চাই ইসলাম
যেহেতু শান্তি সে মোতাবেক
মিথ্যা এবং অশান্তি ইসলাম
হতে পারে না। রাছুল সা. এর
বানী আমার উম্মতগনের
মধ্যে ৭৩টি ফেরকা (দল/ভাগ) হবে।
ঠিক তাই হয়েছে রাছুল সা. এর
বানী বেঠিক হওয়ার কোন কারণ
নাই। আমি এখানে একটি আয়াত
উল্লেখ করেছি সূরা নাজম ৩-৪#
“রাছুল প্রবৃত্তির তাড়নায়
কথা বলেন না। কোরআন ওহী,
যা প্রত্যাদেশ হয়।” এই আয়াত
দুটি দ্বারা সহজেই বুঝা যায়।
আল্লাহর হুকুম ব্যতীত রাছুল সা.
মনগড়া কোন কিছু নিজ
থেকে বলেন না। এ কথা প্রকৃত
ঈমানদার যারা,
তারা একবাক্যেই বিস্বাশ
করে মেনে নেন। আর উত্তম যা কিছু
বলেগেছে আমাদের
নবী সেটা মানতে কোন
দিধা করতে পারে তারাই
যারা সুবিধা ভোগী। মুসলমানদের
মধ্যে এক সুবিধা ভোগী দল
সূরা নিসার ২৪
নং আয়াতটি নিজেদের
স্বার্থে ব্যবহার করে যাচ্ছে।
কিন্তু সমাজের সামনে সত্য
বলতে পারার সাহস নাই।
এমনকি ঘরের স্ত্রীর কাছে বলার
মত সাহস পায় না। আর
স্ত্রী যদি কোন
উপায়ে জেনে ফেলে তখন
মিথ্যার আশ্রয় আর অশান্তির কোন
মাত্রা থাকে না। মুত’আ নামক
জেনা সমাজে খতি অনাচার
ব্যতীত কোন উপকার
করতে পারে না। চরিত্রহীন
সুবিধাদের আয়াতটি তুলে ধরছি।
৪:২৪# আর তোমাদের
মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান
নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য
রাখে না, সে তোমাদের
অধিকারভুক্ত মুসলিম
ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে।
আল্লাহ তোমাদের ঈমান
সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত
রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক,
অতএব, তাদেরকে তাদের
মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর
এবং নিয়ম
অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্
কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ
বন্ধনে আবদ্ধ হবে-
ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-
পতি গ্রহণকারিণী হবে না।
অতঃপর যখন তারা বিবাহ
বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন
অশ্লীল কাজ করে,
তবে তাদেরকে স্বাধীন
নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ
করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের
জন্যে, তোমাদের
মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত
হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর
যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের
জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল,
করুণাময়।
এই আয়াতের উসিলায় মুসলমানদের
একদল জেনায় লিপ্ত হচ্ছে।
আল্লাহর দোহাই
দিয়ে বলছে কোরআনে আল্লাহ
মুত’আর বৈধতা দিয়েছেন।
কোরআনের আয়াত রাছুল সা.
হাদিস দিয়ে কর্তন করা যায় না।
ঠিক আছে যদি আপনাদের এই
কথা মেনে নেই তবে কেন
বীরদর্পে সমাজে এমনকি নিজের
ঘরেও বলতে পারেন না। চোরের
মত চুপি চুপি এই কাজ করতে হয়।
আপনি যদি রাছুল সা. আদেশ
অমান্য করে মুতা নামক জেনায়
লিপ্ত হন। কোন নারীর কাছেই
যেতে হবে। সে নারী আপনারই
কোনো এক ভাই/বন্ধুর মা, বোন,
স্ত্রী, খালা, চাচীর
কাছে যাবেন।
আপনি জানিয়ে দিন আপনার সেই
বন্ধুও যেন সম অধিকার পায়। আপনার
মা, বোন, স্ত্রী, খালা, চাচীর
কাছে আসতে পারে যৌন
খুধা মিটাতে পারে। আর আপনার
মা, বোন, স্ত্রী, খালা,
চাচী তাদের
তো ইচ্ছা জাগতে পারে অন্যের
সাথে আপনারই মত
জেনা করে তৃপ্তি নিতে যেমনটি
মত করে আসলেন অন্যের সাথে।
আমি একটু কঠিন ভাষাতেই
লিখলাম যেন মুত’আকারীদের
চিন্তা হয়। কোন নোংড়ামী কাজ
সঠিক ইসলামের হতে পারে না।
শিয়াদের মনে কেন এই
প্রশ্নগুলি আসে না? রাছুল সা.
কোন পরিস্থিতিতে, কাদের জন্য,
কেন মুত’আ করার
অনুমতি দিয়েছিলেন কয়দিনের
জন্য দিয়েছিলেন? ৬/৭ মাস যাবৎ
যুদ্ধ
চলাকালে সমকামীতা এবং অরাজ
ভয়ে যুদ্ধের ময়দানে রাছুল সা.
মুত’আর অনুমতি দিয়েছিলেন। মুত’আ
সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস
কিতাবে পেয়েছি তা তুলে ধরছি
হাদিসগুলি উল্লেখ করার
আগে একটি আয়াত দিচ্ছি আল্লাহ
কোরআনের ১৭:৩২# `আর
ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।
নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ
পথ।' (Nor come nigh to adultery: for it is a
shameful (deed) and an evil, opening the
road (to other evils).তাফসির
ইবনে কাসির এই আয়াতে তরজমায়
পাওয়া যায় ১৭:৩২# 'তোমরা অবৈধ
যৌন সংযোগের
নিকটবর্তী হয়ো না, এটা অশ্লীল ও
নিকৃষ্ট আচরন।' এবং রাছুল সা. এর
একাধিক হাদীস থাকা সত্ত্বেও
এই দুশ্চরিত্র প্রানীগুলি অবৈধ
জেনা নামক কবিরা গুনাহ
থেকে মুখ ফেরাতে চান না।
নিম্নে হাদিসগুলি আপনাদের
চিন্তার জন্য উঠিয়ে দিলাম।
রাছুল সা. এর পবিত্র হাদীস
থেকে; ইবনে মাজহা ১৯৬২-৬৩
নং হাদীসে উল্লেখ আছে 'ওমরের
খেলাফত কালে এক ভাষনে ওমর
বলেন রাছুল সা. আমাদের মাত্র
তিন দিনের জন্য মুত'আ বিয়ের
অনুমতি দিয়েছিলেন এরপর রাছুল
সা. আবার বলেন আমি তোমাদের
মুত'আ অনুমতি দিয়েছিলাম। এখন
জেনে নাও যে, আল্লাহ কিয়ামত
পযর্ন্ত মুত'আ হারাম করেছেন।' এই
নিষেধ রাছুল সা. এর আমল থেকেই
ছিল। এই হাদিসগুলি আপনাদের
সামনে তুলে ধরার কারণ
হচ্ছে কিছু তরিকত
পন্থী বিপথগামী মানুষ
মওলা আলী রা.কে দিয়ে খলিফা
বোনকে মুত'আ
করিয়ে ওমরকে দিয়ে নিষেধ
করায়। প্রথম ইসলাম কবুল কারী পুরুষ
হযরত
আলী রা.কে দিয়ে নবী আদেশ
অমান্য করিয়ে নবীর অবাধ্য
বানায়। হ্যায়,
এটা মনে রাখে না আল্লাহ
যাদের পুতপবিত্র
করে নিয়েছে হযরত আলী রা.
তাদের অন্যতম। নিজেরা এই অপকর্ম
করার সুযোগটা ছাড়তে চায় না।
শিয়া'রা তো মুত'আকে যায়েজ
করে রেখেছে পুরুষদের জন্য।
গল্পে শুনা যায় যে বাঘের
দাতে রক্ত লাগে সেই
বাঘকে রক্তের
মজা ছাড়ানো যেমন কঠিন হয়।
যে শিয়া নামধারী মুত'আ এর
স্বাদ গ্রহন
করেছে তাকে মানানো বড়
কঠিন। শুধু শিয়াদের দোষ
দিয়ে কি করবো; মারফতের কিছু
বিপথগামী মানুষও এটাকে বৈধ
করার
পিছনে লেগে আছে তাদের
কুরুচিপূর্ণ ইচ্ছা পুরনের আশায়।
তারা মারেফতের সূফী সাধক
সেজে বসেছেন কিন্তু মুত'আ
যায়েজ করলে যে মারফতের
বাদশাকে রাছুস সা.
বিরোধী আদপ বিহীন বানাতেও
তাদের দিধা হয় না! কি করার
আছে। তবে আমার আহব্বান হযরত
আলী রা. এর শিক্ষিত ভক্তদের
কাছে তারা যেন
বিবেচনা করে নবীর ওসিয়তকৃত
তাদের মওলা আলীকে অযুক্তিক
ভাবে হেয় প্রতিপন্ন না করে।
মুসলিম শরীফ: ৩২৯৯ ও ৪৮৫১
নং ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া (রহ.)
বর্ণনা করিয়াছেন- আলী ইবনে আবু
তালিব রা. বলেন যে, খায়বার
যুদ্ধের দিন হুযুর পাক সা.
নারীদিগকে মোতয়া বিবাহ
করা এবং গৃহপালিত গাধার গোশত
খাওয়া নিষেধ করিয়াছেন।
৩৩০১# আবুবকর ইবনে আবী শায়বাহ
ইবনে নুমাইর ইবনে হরব (রহ.)
বর্ণনা করিয়াছেন- আলী (রা.)
বলিয়াছেন যে, হুজুর পাক সা.
খায়বার যুদ্ধের সময়
মোতয়া এবং গৃহপালিত গাধার
গোস্ত নিষেধ
ঘোষনা করিয়াছেন।
৩৩০২# মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ
ইবনে নুমাইর (রহ.)
বর্ণনা করিয়াছেন--আলী (রা.)
বলিয়াছেন।
তিনি শুনিতে পাইলেন যে,
ইবনে আব্বাস (রা.) স্ত্রীলোকদের
সাথে মোতআ বিবাহের
ব্যাপারে কিছুটা নমনীয়তা প্রদর্শর
করিয়াছেন। আলী (রা.) বলিলেন,
থাম হে ইবনে আব্বাস। কারণ হুজুর
পাক সা. খায়বারের যুদ্ধের সময়
মোতয়া এবং গৃহপালিত গাধার
গোস্ত নিষেধ
ঘোষনা করিয়াছেন।
৩৩০৩ # আবু তাহের
এবং হারমালাহ
(রহ.)বর্ণনা করিয়াছেন-
ইবনে আব্বানকে লক্ষ্য
করিয়া আলী (রা.) বলিয়াছেন
যে হুজুর পাক সা. খায়বারের
যুদ্ধের দিন
মোতয়া এবং গৃহপালিত গাধার
গোস্ত নিষেধ
ঘোষনা করিয়াছেন।
নবী সা. হাদিস মুত’আ নিষিদ্ধ;
হযরত আলী রা. এর
নামধারী অনুসারী মানবেন না;
তাদের নিজ বিবেকের
কাছে প্রশ্ন করবেন
আহলে বায়াতকে মানার হুকুম
কোরআনে কোথায় আছে?
এমনকি মারফতের বাদশা কোথায়
আল্লাহ উল্লেখ করেছেন? দোহাই
নবীর হাদিসকে নিজ
কুচিন্তা নিজস্বার্থের জন্য
ব্যবহার করবেন না। লোকচক্ষুর
অন্তরালের কাজ সব সময়ই
ঘৃনাভরে পরিত্যাজ্য। মুত‘আ
খোরের দল তাদের ঘরের
স্ত্রীদের
কাছে লুকিয়ে চুরি করে অন্য
মহিলাদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক
স্থাপন করেন তারা স্ত্রীদের
সামনে বুক ফুলিয়ে একাজ
করলে তখন
বুঝতে পারবে এবং ঘরের স্ত্রীও
সঠিক বুঝিয়ে দিবেন মুত'আ কতটুকু
বৈধ। হাদিসগুলি তুলে ধরলাম
পড়ার পরও যদি কেউ বলে মুত'আ
যায়েজ; তবে আমার আর কি করার
থাকতে পারে? নবী সা.
এবং মারফতের
বাদশা মওলা আলীর
কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে তাদের
অবমাননা কারীদের বিচারের
আশায় রইলাম। অন্য
তরিকতে যে যাই বলুক
উয়ায়ছী তরিকতের মধ্যেও
যদি কেউ বলে মওলা আলীকে,
নবী সা. এর হুকুম
বিরোধী বানাতে চায়
বা চেয়েছে তাদের
মধ্যে পূর্ণতার অভাব রয়েছে।
এমনকি তারা উয়ায়ছী তরিকতে সঠ
অনুসারী নয়।
এটা আমি বলতে বা মনে করতে দি
পরিশেষে কোরআনের আরোও
একটি আয়াতের
কথা মনে করিয়ে দেই। আল্লাহ
বলেছেন “তুমি কোরআনের কতক
অংশ মান, আর কতক অংশ পরিত্যাগ
কর যেনে রেখো তুমি কিছুই
মানলে না।” এই
মতে আমি পাঠদের
কাছে বলতে চাই যারা রাছুল সা.
কিছু হাদিস মানে কিছু
মানে না। তারা মুলত নবীর কোন
কথাই মানে না। এই সমস্ত
স্বার্থপরায়ন মানুষ কি মুসলমান
হওয়ার হক রাখে?

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন