Home » » সোনারগাঁয়ে বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক জসিম গ্রেপ্তার

সোনারগাঁয়ে বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক জসিম গ্রেপ্তার

Written By Unknown on শুক্রবার, ৩ জুলাই, ২০১৫ | ৬:৩৯ AM

সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর কামালদী এলাকায় বাসে পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি জসিম (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে উপজেলার মহজমপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত জসিম নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর কামালদি গ্রামের মৃত তারা মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল। সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) হারুনুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে সোনারগাঁ থানার এএসআই আবুল কালাম অভিযান চালিয়ে মহজমপুর বাজার এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে। জসিম ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গণধর্ষণের ঘটনায় গত ২৭শে মে মূল হোতা বাসচালক চান্দু মিয়াকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার পরদিন বাস হেলপার রুবেল গ্রেপ্তার হয়েছিল। এ নিয়ে এ মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলায় আরও এক ধর্ষক পলাতক রয়েছে। উল্লেখ্য, সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর কামালদি এলাকার বালুর মাঠে গত ১১ই মে সোমবার রাতে আড়াইহাজার উপজেলার ‘ফকির ফ্যাশন’ গার্মেন্টের শ্রমিকেরা যাত্রীবাহী বাসযোগে ফেরার পথে অন্য তাদের গন্তব্যে নেমে যাওয়ার পর বাসচালক, হেলপার ও তার দুই সহযোগী মিলে এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করে। পরে ওই নারী শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায় ধর্ষকরা। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার নারী শ্রমিকের পিতা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় বাসচালক চান্দু মিয়াকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন পুলিশ বাসের হেলপার রুবেলসহ বাসটি আটক করে। গত ১৩ই মে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হেলপার রুবেল। পরে ২৭শে মে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর ২৮শে মে নারায়ণঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় চান্দু মিয়া।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন