Home » » ব্যাংক লুটকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আত্মীয়

ব্যাংক লুটকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আত্মীয়

Written By Unknown on রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬ | ৪:৪৬ AM

ব্যাংক লুটকারীরা
সবাই ক্ষমতাসীন দলের
নেতাদের আত্মীয়
 ডেস্ক রিপোর্ট
পরের সংবাদ»  ০৯ এপ্রিল
২০১৬, ১৮:২৬ অপরাহ্ন
সরকারের সমালোচনা করে
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম
এরশাদ বলেছেন, বর্তমানে
দেশের সবচেয়ে সস্তা
জিনিস হচ্ছে মানুষের
জীবন। এই মৃত্যুর মিছিল কবে
যে শেষ হবে!
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ
জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে
জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-
বার্ষিক সম্মেলনে তিনি
এসব কথা বলেন।
সরকারের বিভিন্ন
কর্মকাণ্ডের সমালোচনা
করে এরশাদ বলেন, 'বর্তমানে
দেশের সবচেয়ে সস্তা
জিনিস হচ্ছে মানুষের
জীবন। কোথায় মরে, কোথায়
গুম হয় তার হদিস পাওয়া
যাচ্ছে না। এই মৃত্যুর মিছিল
কবে যে শেষ হবে আল্লাহই
জানেন!'
চলমান ইউনিয়ন পরিষদ
(ইউপি) নির্বাচন প্রসঙ্গে
তিনি বলেন, এ নির্বাচন
দেশের মানুষের কাছে
গ্রহণযোগ্য নয়। এই নির্বাচনে
আওয়ামী লীগের
প্রার্থীদের শ্লোগান হচ্ছে-
'আমার ভোট আমি দেবো।
তোমার ভোটও আমি দেবো'!
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান
বলেন, দেশে চলমান ইউপি
নির্বাচন একটি প্রহসনের
নির্বাচন। এর মাধ্যমে
সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন
হচ্ছে আর আওয়ামী লীগ
গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে।
সরকারি ব্যাংক থেকে
টাকা লুট প্রসঙ্গে তিনি
বলেন, বর্তমান সরকার
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০
হাজার কোটি টাকা লুট
করেছে। কিন্তু এর কোনো
বিচার হচ্ছে না। কারণ,
ব্যাংক লুটকারীরা সবাই
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের
আত্মীয়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন,
'এখন বাংলাদেশ ব্যাংক
থেকে টাকা লুটপাট হচ্ছে।
তারা বলছে- হ্যাকিং
হচ্ছে। আসলে হ্যাকিং বলতে
কিছু হয়নি। বাংলাদেশ
ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তার
আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া এই
টাকা উঠানো সম্ভব নয়।
তাদের পরিচয় আমরা এখনও
জানতে পারলাম না।'
কলেজছাত্রী তনু হত্যা
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তনু
হত্যাকাণ্ডের বিচার এ
দেশে হবে না। সরকার বলছে
তনুকে না কি ধর্ষণ করা
হয়নি। তাহলে তাকে কেন
মারা হলো। তনু হত্যার আসল
তদন্ত রিপোর্ট কখনও প্রকাশ
হবে না। তনুর মায়ের চোখের
পানিতে আল্লাহর আরশ
কেঁপে উঠবে।'
বিএনপিকে উদ্দেশ করে
এরশাদ বলেন, এই দলটির
প্রতি মানুষের আর কোনো
গ্রহণযোগ্যতা নেই। তারা
তিন মাসের আন্দোলনে
অনেক মানুষ পুড়িয়ে
মেরেছে। ফলে মানুষের কাছ
থেকে বিএনপি এখন
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জাতীয় পার্টির
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও
মানিকগঞ্জ জেলা জাপা
সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ
আবদুল মান্নানের
সভাপতিত্বে সম্মেলনে
জাতীয় পার্টির কো-
চেয়ারম্যান গোলাম
মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব
এবিএম রুহুল আমীন
হাওলাদার, যুগ্ম মহাসচিব
গোলাম মোহাম্মদ রাজু,
সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল
আলম রুবেল, দফতর সম্পাদক
সুলতান মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য
রাখেন।
সম্মেলন শেষে
সর্বসম্মতিক্রমে সৈয়দ
মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে
সভাপতি ও হাসান সাঈদকে
সাধারণ সম্পাদক করে
মানিকগঞ্জ জেলা জাতীয়
পার্টির প্রাথমিক কমিটি
ঘোষণা করা হয়।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন