Home » » বাঁশখালীতে কাফন মিছিলসহ সব কর্মসূচি স্থগিত

বাঁশখালীতে কাফন মিছিলসহ সব কর্মসূচি স্থগিত

Written By Unknown on রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৬ | ৪:৩৫ AM

বাঁশখালীতে কাফন
মিছিলসহ সব কর্মসূচি
স্থগিত
 ডেস্ক রিপোর্ট « আগের
সংবাদ
পরের সংবাদ»  ০৯ এপ্রিল
২০১৬, ১৮:১৩ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর
গণ্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎ
প্রকল্প বাতিলের দাবিতে
ঘোষিত কাফন মিছিলসহ সব
ধরনের কর্মসূচি ১৫ দিনের
জন্য স্থগিত করেছে
আন্দোলনরত বসত-ভিটা ও
কবরস্থান রক্ষা কমিটি।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার
দিকে গণ্ডামারা
হাদিফকির সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ
ঘোষণা দেন কমিটির
আহ্বায়ক লেয়াকত আলী।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ প্রকল্প
বাতিলের দাবিতে
আন্দোলন করতে গিয়ে
চারজন নিহত হওয়া এবং
ঘটনার পাঁচ দিন পরও প্রকল্প
বাতিলের সিদ্ধান্ত না
হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত
হয়ে উঠে।
সর্বশেষ শুক্রবার বিকালের
সমাবেশ থেকে প্রকল্প
বাতিলের দাবিতে ২৪
ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও কাফন
মিছিল করে উপজেলা
কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি
ঘোষণা করা হলে
উত্তেজনা আরও বাড়ে।
এ নিয়ে সব পক্ষের প্রস্তুতি-
পাল্টা প্রস্তুতির মধ্যে আজ
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে
গণ্ডামারা হাদিফকির
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাঠে এলাকার বিভিন্ন
স্তরের মানুষ ও
সাংবাদিকদের সামনে
কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা
দেন লেয়াকত আলী।
তিনি বলেন, সরকারের শীর্ষ
পর্যায় থেকে তাকে এই
মর্মে আশ্বস্ত করা হয়েছে
যে, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে
পরিবেশের ক্ষতি হবে কি
না তা আন্তর্জাতিক মানের
বিশেষজ্ঞ দিয়ে যাচাই করা
হবে। বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট
বিপক্ষে গেলে এ প্রকল্প
বাতিল করা হবে।
এছাড়া দুদিনের মধ্যে
গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও
নিরীহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে
দায়ের করা মামলা
প্রত্যাহার করা হবে এবং
চার গ্রামবাসী হত্যার
ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত
কমিটি গঠন করে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লিয়াকত আলী বলেন,
সরকারের এসব আশ্বাসের
কারণে তিনি রোববারের
আহুত কাফন মিছিলসহ কয়লা
বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধী সব
কর্মসূচি ১৫ দিনের জন্য
স্থগিত ঘোষণা করলেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
আওয়ামী লীগ নেতা
আবদুল্লাহ কবির লিটনের
মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ
পর্যায়ের এ অনুরোধ পাওয়ার
কথা উল্লেখ করে তিনি
বলেন, আশ্বাস বাস্তবায়ন
করা না হলে পরবর্তীতে
আবারও কর্মসূচি ঘোষণা
করা হবে।
এর আগে আল্টিমেটামের
বিষয়ে শনিবার বিকাল
পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না
আসায় এবং সরকারের
নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে
এলাকাবাসী।
এ অবস্থায় রোববারের
সমাবেশ ও কাফন মিছিল
ঠেকাতে পুলিশ ও
আইনশৃংখলা বাহিনী যেমন
প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তেমনি
উপজেলা আওয়ামী লীগের
পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নেয়া
হচ্ছিল।
অন্যদিকে এলাকাবাসীও
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে
প্রস্তুতি নিতে থাকলে
উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় কর্মসূচি
প্রত্যাহারের ঘোষণায়
এলাকায় কিছুটা স্বস্তি
ফিরে আসে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন